
কলকাতা: কমিশনের ‘দরবার’, শোনা হবে অভিযোগ-অনুযোগ। সম্প্রতি বাংলার জন্য বিশেষ পর্যবেক্ষক নিয়োগ করেছে নির্বাচন কমিশন। ১৯৯০ সালে আইএএস ব্য়াচের অবসরপ্রাপ্ত আধিকারিককে বাংলার SIR-এর দায়িত্ব দিয়েছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার। রবিবার থেকেই ‘ফুল অন অ্যাকশন মোডে’ কাজেও নেমে পড়েছেন তিনি।
এবার সেই নয়া পর্যবেক্ষকের হাত দিয়েই আরও বড় সিদ্ধান্ত নিল নির্বাচন কমিশন। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে শুরু হয়েছে এই বিশেষ ‘দরবার’। চলবে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত। এই দরবারে বসেই অভিযোগ-অনুযোগ শুনবেন বিশেষ পর্যবেক্ষক সুব্রত গুপ্ত। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরের দোতলায় বসেছেন তিনি। ইতিমধ্যেই সাধারণ মানুষ, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব কিংবা কোনও সংগঠনের এসআইআর নিয়ে তৈরি হওয়া অভিযোগ-অনুযোগ শোনার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন এই অবসরপ্রাপ্ত আইএএস অফিসার।
কমিশন সূত্রে খবর, মোট দু’ঘণ্টার জন্য এই ‘দরবার’ খুলে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিশেষ পর্যবেক্ষক। ভোটার তালিকার নিবিড় পরিমার্জন নিয়ে বাংলায় যাতনার অভাব নেই। একদিকে যেমন অভিযোগ তুলেছে রাজ্যের শাসকশিবির। একাধিক অভিযোগ রয়েছে বিরোধী শিবিরেরও। তেমনই অভিযোগ রয়েছে সাধারণ মানুষেরও। এই সবটাই শুনতে রাজি সুব্রত গুপ্ত। বেঁধে দিয়েছেন সময়ও।
সোমবার থেকেই জেলায় জেলায় ‘যুদ্ধকালীন তৎপরতার’ সঙ্গে কাজে নেমে পড়েছে কমিশনের ‘স্পেশাল ১৩’। এই বিশেষ দলের নেতৃত্বে রয়েছেন সুব্রত গুপ্ত। রবিবার ফলতায় গিয়েছিলেন তিনি। এবার সোমবার থেকে এসআইআর-এর কাজ খতিয়ে দেখতে ময়দানে নামছে অন্য ১২ জন পর্যবেক্ষকও। একেবারে তৃণমূল স্তরে নেমে হবে কাজ। প্রত্যেক পর্যবেক্ষক যাবেন নিজ-নিজ দায়িত্বপ্রাপ্ত জেলায়।