Sujan Chakraborty: ‘মিলি-র এত গুরুত্ব জেনে ভাল লাগছে, আমি বিগলিত’, শিক্ষামন্ত্রীকে কটাক্ষ সুজনের

Sujan Chakraborty: বাম নেতা সাফ জানান, শাসক দল যে নথি সামনে এনেছে, তাতে আদতে কিছুই প্রমাণ হয় না।

Sujan Chakraborty: 'মিলি-র এত গুরুত্ব জেনে ভাল লাগছে, আমি বিগলিত', শিক্ষামন্ত্রীকে কটাক্ষ সুজনের
সুজন চক্রবর্তী
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 25, 2023 | 1:45 PM

কলকাতা: সুজন চক্রবর্তীর (Sujan Chakraborty) স্ত্রী কীভাবে চাকরি পেয়েছেন? তা নিয়েই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। প্রথমে তৃণমূলের তরফে এই মিলি চক্রবর্তীর চাকরি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি জানিয়েছিলেন, মিলি দেবীর চাকরি সংক্রান্ত নথি শিক্ষামন্ত্রীকে পাঠানো হয়েছে। আর তাঁর কোর্টে বল যেতেই মুখ্যমন্ত্রীর কথা বললেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। আদৌ তদন্ত হবে কি না, সেটা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ই ঠিক করে দেবেন। এই কথা শুনেই ‘বিগলিত’ সুজন চক্রবর্তী। বাম নেতার দাবি, তাঁর স্ত্রী এতটা গুরুত্বপূর্ণ, এটা জেনে তিনি খুশি।

TV9 বাংলার মুখোমুখি হয়ে সুজন চক্রবর্তী বলেন, মিলি চক্রবর্তীর চাকরি নিয়ে উত্তর দেওয়া আমার কাজ নয়। টাকা নিয়ে যে বিপুল চাকরির অভিযোগ উঠেছে, ১০০ দিনের কাজের টাকা যে সরকার নিয়েছে, ডিএ-র ফারাক যে ক্রমশ বাড়ছে, এসব নিয়ে আলোচনা হওয়া উচিত।

বাম নেতা সাফ জানান, শাসক দল যে নথি সামনে এনেছে, তাতে আদতে কিছুই প্রমাণ হয় না। তিনি জানান, তৃণমূল প্রকাশ করেছে মিলি চক্রবর্তীর নিয়োগ পত্র আর জয়েনিং লেটার। আর সেগুলো নিয়ে কোনও ভ্রান্তি থাকার কথা নয় বলেই মনে করেন তিনি। তাঁর দাবি, এই নথিগুলো যে কোনও চাকরিতে থাকাই স্বাভাবিক।

শুক্রবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন, মিলি চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে তদন্ত হবে কি না, সে ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে হবে। শিক্ষামন্ত্রীর যুক্তি, মিলি দেবী রাজ্য সরকারি কর্মী। বর্তমানে রাজ্য সরকারের পেনশন পান। তাই তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত করার আগে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলা জরুরি।

সেই প্রসঙ্গেই সুজন বলেন, ‘এতদিন দল বলছিল। এবার কে বললেন? খোদ শিক্ষামন্ত্রী। বললেন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন। আমার স্ত্রী এত গুরুত্বপূর্ণ, জেনে খুব ভাল লাগল।’ তিনি আরও বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী বিষয়টা দেখবেন জেনে বিগলিত হয়ে গিয়েছি। মিলি এত গুরুত্বপূর্ণ, আমি জানতাম না।’

সেই সঙ্গে ব্রাত্যকে কটাক্ষ করে সুজন চক্রবর্তী বলেন, ব্রাত্যবাবু কোনও অভিযোগই করতে পারেননি। ৩৩ বার বলেছেন- জানি না। মিলি দেবীর পরীক্ষা হয়েছিল কি না সেটাও বলতে পারলেন না। তবে তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, শুধুমাত্র পাল্টা আক্রমণ করার জন্য ব্রাত্যর চাকরি নিয়ে কিছু বলতে চান না তিনি।