AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Sujay Krishna Bhadra: গ্রেফতার ‘কালীঘাটের কাকু’ সুজয়কৃষ্ণ, উত্তরে সন্তুষ্ট নয় ED

Sujay Krishna Bhadra: কিছুদিন আগেই প্রায় ১৫ ঘণ্টা তল্লাশি চালানো হয়েছিল সুজয়কৃষ্ণের বাড়ি ও অফিসে।

Sujay Krishna Bhadra: গ্রেফতার 'কালীঘাটের কাকু' সুজয়কৃষ্ণ, উত্তরে সন্তুষ্ট নয় ED
সুজয় ভদ্র
| Edited By: | Updated on: May 30, 2023 | 11:20 PM
Share

কলকাতা : প্রায় ১২ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে গ্রেফতার করল ইডি। মঙ্গলবার সকাল থেকে কলকাতায় ইডি-র দফতরে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছিল। তাঁর উত্তরে গোয়েন্দা আধিকারিকরা সন্তুষ্ট হননি বলেই সূত্রের খবর। সকাল ১১ টা থেকে ৪-৫ দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় ‘কালীঘাটের কাকু’ বলে পরিচিত সুজয়কৃষ্ণকে। রাত ১১ টার কিছু আগে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। গত সপ্তাহে তাঁর বাড়িতে ১৫ ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চালায় ইডি। উদ্ধার হয় নথিপত্র। বাজেয়াপ্ত করা হয় মোবাইল। তারপর সেই সূত্র ধরেই গত সপ্তাহে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের কোম্পানির ডিরেক্টর ও হিসাব রক্ষকদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সেই বয়ানের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় সুজয়কৃষ্ণকে।

নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে গোয়েন্দাদের হাতে একের পর এক নাম উঠে এসেছে। সেরকমই একজন গোপাল দলপতি। তাঁর মুখেই প্রথম শোনা গিয়েছিল এই ‘কালীঘাটের কাকু’র নাম। তিনি দাবি করেছিলেন, নিয়োগ মামলায় ধৃত কুন্তল ঘোষ নাকি চাকরি বিক্রির টাকা পাঠাতেন ‘কালীঘাটের কাকু’কে। তবে সেই ‘কাকু’র আসল নাম সামনে আনেননি তিনি। পরে জানা যায়, এই সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রই হলেন কালীঘাটের কাকু। বেহালার বাসিন্দা হওয়া সত্ত্বেও কীভাবে ‘কালীঘাটের কাকু’ হয়ে উঠলেন তিনি? চাকরি বিক্রির টাকার সঙ্গে তাঁর যোগ ছিল কি না, তা জানতেই তদন্ত শুরু করে কেন্দ্রীয় সংস্থা।

সূত্রের খবর, জিজ্ঞাসাবাদ করতে গিয়ে অনেক অসঙ্গতি পেয়েছেন তদন্তকারীরা। তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগও উঠেছে। গোয়েন্দাদের অনুমান, কুন্তল ঘোষ, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্য়ায়রা নিয়োগের নামে যে টাকা তুলতেন, তা হাত ঘুরে পৌঁছে যেত সুজয়কৃষ্ণের হাতে।

নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষ যে তাঁকে কাকু বলে সম্বোধন করতেন, সে কথা নিজেই স্বীকার করেছিলেন তিনি। এছাড়া আর এক অভিযুক্ত শান্তনু বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের স্ত্রী প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে লেনদেনের প্রমাণও এসেছে গোয়েন্দাদের হাতে। সব মিলিয়ে চাকরি বিক্রির নেটওয়ার্কে যে সুজয়ের সরাসরি যোগ আছে, তেমনই মনে করছেন গোয়েন্দারা।