Sujay Krishna Bhadra: ‘রাত ১টায় মাকে সরিয়ে দিল ওরা, ‘কাকু’ এলেন…’ SSKM সেই রাতের অভিজ্ঞতা রোগীর ছেলের
Sujay Krishna Bhadra: কী বলছেন সন্ধ্যা পোড়িয়ার ছেলে সুভাষ পোড়িয়া? তিনি বললেন, "রাত একটা। মাকে অন্য বেডে দিয়ে দিল। আমাদের কিছু প্রশ্ন করার আগেই বলল, মা সুস্থ রয়েছে। মায়ের হার্টে সমস্যা ছিল। মঙ্গলবার ভর্তি করি। পরিস্থিতি এমন ছিল, পরদিনই বুকে স্টেন্ট লাগানো হয়। আর তার পরের দিনই সাধারণ বেডে।"
কলকাতা: কাকে সরিয়ে বৃহস্পতিবার মধ্য রাতে বেড পান কাকু? TV9 বাংলা হদিশ পেল সেই রোগীর। কোলাঘাটের বাসিন্দা সন্ধ্যা পোড়িয়া। যিনি বুকে ব্যথা নিয়ে মঙ্গলবার এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি হন। পরিস্থিতি এতটাই সঙ্কটজনক ছিল, বুধবারই তাঁর অস্ত্রোপচার হয়। তারপর তাঁর ঠিকানা কার্ডিওলজির আইসিইউ-র ১৮ নম্বর বেড। বুধবার বুকে তাঁর অস্ত্রোপচার হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্তও বছর পঁয়ষট্টির সেই মহিলার অ্যানাস্থেসিয়ার ঘোরে আচ্ছন্ন ছিলেন, বলছেন তাঁর ছেলেরাই। কিন্তু বৃহস্পতিবার মধ্যরাতেই রীতিমতো তাঁর স্থানবদল। ICU থেকে তাঁকে যেন জরুরিকালীন তৎপরতায় সরিয়ে দেওয়া হয় জেনারেল বেডে। ছেলেরা জিজ্ঞাসা করতে আয়া ও হাসপাতালের অন্যান্য কর্মীরা জানিয়েছিলেন, তাঁদের মা সুস্থ রয়েছেন। তা বলে মধ্যরাতে জেনারেল বেডে স্থানান্তর?
উত্তর, কারণ ঠিক ওই বেডেই সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে রাখা হয়। রাত দেড়টায় কার্ডিওলজির আইসিইউ ১৮ নম্বর বেডে আনা হয় সুজয়কৃষ্ণকে। কালীঘাটের ‘কাকু’ আইসিইউ-তে বেড পেলেন। বর্তমানে নীল রঙের পর্দার আড়ালে সাধারণের মাঝে ‘VIP’ হয়ে রয়েছেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র।
কী বলছেন সন্ধ্যা পোড়িয়ার ছেলে সুভাষ পোড়িয়া? তিনি বললেন, “রাত একটা। মাকে অন্য বেডে দিয়ে দিল। আমাদের কিছু প্রশ্ন করার আগেই বলল, মা সুস্থ রয়েছে। মায়ের হার্টে সমস্যা ছিল। মঙ্গলবার ভর্তি করি। পরিস্থিতি এমন ছিল, পরদিনই বুকে স্টেন্ট লাগানো হয়। আর তার পরের দিনই সাধারণ বেডে।”
শনিবারের সকালের আপডেট অনুযায়ী, সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের সিটি অ্যাঞ্জিওগ্রাফি করার পরিকল্পনা রয়েছে চিকিৎসকদের। শুক্রবার কয়েকটি রক্তপরীক্ষা হয়েছে।