
কলকাতা: বুধবার বিকালে মুর্শিদাবাদের আক্রান্ত ও ঘরছাড়াদের নিয়ে ভবানী ভবনে রাজ্যে পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সঙ্গে দেখা গিয়েছিল আরও তিন বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্য়ায়, তাপস রায় ও অর্জুন সিংকেও। প্রথমে তাদের অনুমতিপত্র ছাড়া সেখানে প্রবেশে বাধা দেওয়া হলে, ভবানী ভবনের সামনেই হিংসা-বিধ্বস্তদের নিয়ে ধর্নায় বসেন বিজেপি নেতারা। তার কিছু ক্ষণেই মেলে দেখা। চার জনের প্রতিনিধি দল ঢোকে ভিতরে। চলে বৈঠক।
এদিন বৈঠক শেষে ভবানী ভবন থেকে বেরিয়ে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন সুকান্ত। প্রথমেই বলেন, ‘আশ্বস্ত হওয়ার মতো কিছু পেলাম না। আমরা একাধিক দিক তুলে ধরেছি। পুলিশ দুস্থদের খাওয়াতে পারছে না, এদিকে আমরা যখন ত্রাণ দিতে যাচ্ছি আমাদের আটকে দিচ্ছে।’
সুকান্তর অভিযোগ, ‘আমাদের তোলা সমস্ত অভিযোগগুলিই উনি শুনেছেন ও নোট করেছেন। কিন্তু রাজ্য পুলিশের প্রধান হয়েও উনি এই ঘরছাড়াদের এমন কিছু বললেন না যাতে এনারা আশ্বস্ত হয়। ডিজি শুধু বললেন, আমরা আইন মেনে কাজ করব।’ এরপরই দাঙ্গা নিয়ন্ত্রণে পুলিশের ভূমিকা টেনে সুকান্ত বলেন, ‘ আমরা যে যে প্রশ্ন করেছি, তার উত্তর পাইনি। বিএসএফ পুলিশ পাশাপাশি রাখলে, পুলিশ সব থেকে বেশি দাঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম, ওরা প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত। এদিকে আক্রান্তরা বলছে, বিএসএফ বেশি ভাল কাজ করেছে। এদিকে ডিজি আমাদের জানিয়েছেন, পুলিশ নাকি পর্যাপ্ত ছিল না। অর্থাৎ গোয়েন্দা বিভাগ তাদের আগাম কোনও খবরই দেননি। এটার মানে একটাই, তারা ব্যর্থ। কিন্তু এই ব্যর্থতার দায়টা নেবে কে?’
বুধের বৈঠকের পর আক্রান্তদের প্রয়োজনে রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করানোর কথা বলেন সুকান্ত। এমনকি, রাজ্যের কাছে আক্রান্তদের জন্য পরিবার পিছু পাঁচ লক্ষ টাকা, যাদের বাড়ি-দোকান ভেঙেছে, তাদের জন্য নতুন করে তা তৈরি করে দেওয়ারও দাবি জানান কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী।