Sukanta Majumder: ‘কপি ক্যাট’! অভিষেকের ‘জাস্টিস ফর প্রদীপ কর’ স্লোগানে পাল্টা খোঁচা সুকান্তর

Sukanta Majumder on Abhishek Banerjee: আরজি কর কাণ্ডের পর পানিহাটির তিলোত্তমার বিচারের দাবিতে সারা কলকাতা সরব হয়েছিল 'জাস্টিস ফর আরজি কর' স্লোগানে। রাস্তায় হয়েছিল গণঅভ্যুত্থান। এবার প্রদীপ করের এই মৃত্যু, আর তাতে বিচারের দাবিতে অভিষেক এই স্লোগান সেই পানিহাটি-আগরপাড়া এলাকাতে দাঁড়িয়েই চড়ালেন।

Sukanta Majumder: কপি ক্যাট! অভিষেকের জাস্টিস ফর প্রদীপ কর স্লোগানে পাল্টা খোঁচা সুকান্তর
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে খোঁচা সুকান্ত মজুমদারেরImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Oct 30, 2025 | 2:28 PM

কলকাতা: প্রদীপ করের মৃত্যুতে এখন তুঙ্গে রাজনীতি। বুধবারই আগরপাড়ায় প্রদীপ করের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই মৃত্যুর জন্য কমিশন ও বিজেপিকে একযোগে তোপ দাগেন তিনি। তারপর তিনি স্লোগান তোলেন, ‘জাস্টিস ফর প্রদীপ কর।’ সামাজিক মাধ্যমে নিজের ডিপিও পরিবর্তন করেন তিনি। এবার এই নিয়ে সরব হলেন বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, “কপি ক্যাট। নকল করার চেষ্টা করছে।”

প্রদীপ করের মৃত্যু নিয়ে আরও একবার প্রশ্ন তোলেন সুকান্ত। তিনি বলেন, ” অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, পানিহাটির ব্যক্তি SIR- আতঙ্কে আত্মহত্যা করেছেন। তাঁর ডায়েরিতে লেখা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।” কথা প্রসঙ্গেই তিনি বলেন, “যে কোনও মৃত্যু দুঃখের। যে ব্যক্তির নাম ২০০২ এর ভোটার তালিকায় রয়েছে, তাঁর চিন্তা থাকার কথা নয়। তৃণমূল কংগ্রেস মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যাঁরা SIR নিয়ে আতঙ্ক ভয় দেখাচ্ছেন।” SIR নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করার অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। পাল্টা সুকান্ত বলেন, ” ভুল বুঝিয়ে মিথ্য ভয়ের বাতাবরণ তৈরি করেছে। এর কারণেও এ ধরনের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটতে পারে।”

উল্লেখ্য, আরজি কর কাণ্ডের পর পানিহাটির তিলোত্তমার বিচারের দাবিতে সারা কলকাতা সরব হয়েছিল ‘জাস্টিস ফর আরজি কর’ স্লোগানে। রাস্তায় হয়েছিল গণঅভ্যুত্থান। এবার প্রদীপ করের এই মৃত্যু, আর তাতে বিচারের দাবিতে অভিষেক এই স্লোগান সেই পানিহাটি-আগরপাড়া এলাকাতে দাঁড়িয়েই চড়ালেন।

এ প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, “আরজি কর এর ঘটনায় অভিষেক চুপ ছিলেন।সে সময় উনি তো নিজের জিমে ব্যস্ত ছিলেন। উনি এই বক্তব্য এর মধ্যে দিয়ে বুঝিয়ে দিলেন সারা বিশ্ব আন্দোলন করলেও তৃণমূলের কিছু করতে পারবে না। বাংলার মানুষকে হিউমিলিয়েট করার চেষ্টা করলেন। চরম ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ।”

উল্লেখ্য, বুধবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আগরপাড়ায় দাঁড়িয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন, কেন বিজেপির তরফে কোনও নেতা গিয়ে এখনও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে যাননি। তাঁর বক্তব্য, যে ব্যক্তি নিজে লিখে গিয়েছেন, তাঁর মৃত্যুর জন্য NRC দায়ী, তা নিয়েও কেন রাজনীতি?  বিজেপিকে খোঁচা দিয়ে তিনি বলেন, “যারা নিজেদের হিন্দু ধর্ম, হিন্দুদের রক্ষাকর্তা, ধারকবাহক বলে দাবি করেন, তাঁদের কেউ এসে পরিবারটার খোঁজ নিয়েছেন।”