
কলকাতা: নাগরিকত্ব আবেদনের (CAA) মেয়াদ আরও ১০ বছর বাড়িয়েছে কেন্দ্র। ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। এবার কলকাতা ICCR -এ ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ ছাত্র সম্মেলনের মঞ্চ থেকে বললেন, ওপার থেকে আসা দলিতদের জন্য আগে কেউ কখনও ভাবেননি। এই প্রথম নরেন্দ্র মোদী ভাবলেন। তাঁর কথায়, “সেকুলারিজম, প্লুরাজিম, কমিউনিজম ততক্ষণই থাকবে, যতক্ষণ হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ থাকবে, নচেৎ থাকবে না।”
এদিনের মঞ্চে বক্তৃতা রাখার সময়ে CAA প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে সুকান্ত বলেন, “এসসি সমাজের মানুষ যোগেন মণ্ডলের ওপর বিশ্বাস করে থাকেন ওপার পাকিস্তানে। কী হল, যোগেন মণ্ডল হলেন পাকিস্তানের প্রথম আইন মন্ত্রী। পাকিস্তানে ফ্ল্য়াট পেলেন। কয়েক মাস পরই ওপার বাংলা থেকে পালিয়ে এলেন স্ত্রী-মেয়েকে নিয়ে ইজ্জত বাঁচাতে। পাকিস্তানের প্রথম বাঙালি মন্ত্রী আশ্রয় নিলেন এপার বাংলায়। এই বাংলা শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের তৈরি করা। তখন থেকেই দলিত ভাইরা ওপার বাংলা অর্থাৎ পূর্ব পাকিস্তানে থাকতে বাধ্য হয়েছিল। ”
এর আগেও বাংলাদেশি শরণার্থীদের জন্য ক্যাম্প খুলেছিলেন সুকান্ত। বালুরঘাটের পালিনগরে নিজের দফতরেই ক্যাম্প খুলেছিলেন। সিএএ আবেদন করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশি শরণার্থীদের সাহায্যের চেষ্টা করেছিলেন। প্রথম থেকেই তিনি বলে এসেছিলেন কীভাবে ওপারে অত্যাচারিত হয়ে এপারে এসেছিলেন দলিতরা। এদিনের অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে তাঁর সংযোজন, “১৯৪৭ সালের পর থেকে ক্রমাগত ভারতে আসতে বাধ্য হচ্ছেন। মহিলাদের ওপর ক্রমাগত অত্যাচার করা হচ্ছে। তাঁদের অনেকে এখন বামপন্থী নেতা হয়েছেন। সেকুলারিজম শিখিয়েছেন. কিন্তু সত্যি হল, সেকুলারিজম, প্লুরাজিম, কমিউনিজম ততক্ষণই থাকবে, যতক্ষণ হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ থাকবে, নচেৎ থাকবে না।” সুকান্তর কথায়, ” বছরের পর বছর তাঁরা ভারতে আসছেন, কেউ ভাবেননি। প্রথম নরেন্দ্র মোদী ভেবেছেন ও CAA অ্যাক্ট পাশ করিয়েছেন।”
উল্লেখ্য, নাগরিকত্ব আবেদনের মেয়াদ আরও ১০ বছর বাড়িয়েছে কেন্দ্র। ২০২৫ এর আগে ধর্মীয় কারণে আসা শরণার্থীদের জন্য পদক্ষেপ। ধর্মীয় কারণে আসা অমুসলিমরাও আবেদন করতে পারবেন। বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তানের অমুসলিম শরণার্থীদের ছাড়। এই সময়সীমা আগে ছিল ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।