Bratya Basu: CAA-র জন্য বাংলার কতজন আবেদন করেছেন? জানালেন ব্রাত্য
West Bengal Assembly: এরই মধ্যে মঙ্গলবার বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সিএএ (CAA)-র প্রসঙ্গ তোলেন। জানান নিজের মতামত।

কলকাতা: বিধানসভায় চলছে বিশেষ অধিবেশন। সেই অধিবেশন থেকেই শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর দাবি, “বাংলা থেকে মাত্র ১২ জন সিএএ-র জন্য আবেদন করেছেন।” বস্তুত, বাংলা ও বাঙালি হেনস্থা সংক্রান্ত প্রস্তাব নিয়েই চলছে আলোচনা। এরই মধ্যে মঙ্গলবার বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সিএএ (CAA)-র প্রসঙ্গ তোলেন। জানান নিজের মতামত। তখনই ব্রাত্য বলেন এই কথা। সঙ্গে এও জানান, এই বিষয়ে প্রস্তাব নিয়ে আসা হলে আলোচনা করা হবে।
উল্লেখ্য, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA) নিয়ে বিতর্ক অনেকদিনের। নতুন কিছু নয়। এই আইন ইতিমধ্যেই পাশ হয়ে গিয়েছে। তবে বিরোধী দলগুলি এই ইস্যুতে হামেশাই সুর চড়িয়ে থাকে। তৃণমূল কংগ্রেস বাংলা ও বাঙালিদের CAA ও NRC থেকে দূরে রাখতে চায়। খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বহুবার নিজের রাজনৈতিক কর্মসূচি থেকে সাধারণ মানুষকে সতর্ক করেছেন, কোনও ফর্ম ফিলাপ না করার জন্য। এমনকী এও বলেছিলেন, “নিজের জীবন দিয়ে দেব, তবু কারও নাগরিকত্ব কাড়তে দেব না।” সম্প্রতি, পশ্চিমবঙ্গের কয়েকজনকে অসম সরকার NRC-র নোটিসও পাঠিয়েছিল। তা নিয়েও সরব হন মমতা।
এদিকে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনে আবেদন করার জন্য মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষকে বনগাঁয়ের ঠাকুরবাড়ি থেকে কার্ড ও হিন্দু শংসাপত্র দেওয়ার কাজ চলছিল। আজ সেই প্রসঙ্গও বিধানসভায় উঠে আসে। তবে তা মূল আলোচনার সঙ্গে সম্পর্কহীন বলে দাবি করে তৃণমূল। ব্রাত্য বসু বলেন, “CAA-তে এই বাংলা থেকে মাত্র ১২ জন আবেদন করেছেন। বিরোধী দলনেতা এই প্রস্তাব আনুন, আমরা আলোচনা করব। কিন্তু আপনারা বাংলা ভাষার আলোচনায় এই প্রসঙ্গ কী করে আনছেন?”
বস্তুত, মঙ্গলবার আলোচনার মাঝে বিরোধী দলনেতা সাসপেন্ড করা হয় শুভেন্দু অধিকারীকে। তিনি অধিবেশন কক্ষ ছাড়তেই বাকি বিধায়করাও ছেড়ে কক্ষ ত্যাগ করেন।
