Sukanta Majumder on COVID19: ‘চোর পালালে বুদ্ধি বাড়ে…আরও আগে সচেতন হওয়া উচিত ছিল’

Kolkata: শুধু সুকান্ত নন, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অগ্নিমিত্রা পাল। শুভেন্দু অভিযোগ করেন পার্কস্ট্রিটের ওই জনজোয়ার কেন আটকানো গেল না? অনুরূপ প্রশ্ন তোলেন অগ্নিমিত্রা

Sukanta Majumder on COVID19: 'চোর পালালে বুদ্ধি বাড়ে...আরও আগে সচেতন হওয়া উচিত ছিল'
সরকারকে তোপ সুকান্তের, নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 02, 2022 | 1:35 PM

কলকাতা: রাজ্যে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। বর্ষবরণের জনউল্লাস যে বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে সেই আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। ইতিমধ্যেই রাজ্যে আংশিক লকডাউনের ঘোষণা করতে পারে সরকার এমনটাই সম্ভাবনা। এই পরিস্থিতিতে সরাসরি রাজ্য সরকারকেই তোপ দাগলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

সুকান্তর পর্যবেক্ষণ

বিজেপি রাজ্য সভাপতির মন্তব্য, “চোর পালালে বুদ্ধি বাড়ে। ২৫ ডিসেম্বর যখন পার্কস্ট্রিটে মানুষের ঢল দেখা গেল, তখনই কেন কড়াকড়ি করা হল না? আজ যে হুড়মুড়িয়ে সংক্রমণ বাড়ছে তাতে এখন সরকার আংশিক লকডাউনের চিন্তাভাবনা করছে। তাতে লাভ কী হল! সংক্রমণ তো রোখা গেল না, উপরন্তু সাধারণ মানুষ আরও হয়রানির শিকার হবেন।”

বিজেপির প্রতিক্রিয়া

শুধু সুকান্ত নন, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অগ্নিমিত্রা পাল। শুভেন্দু অভিযোগ করেন পার্কস্ট্রিটের ওই জনজোয়ার কেন আটকানো গেল না? অনুরূপ প্রশ্ন তোলেন অগ্নিমিত্রা। অন্যদিকে, গঙ্গাসাগর মেলার আয়োজন নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। পাল্টা, তা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়ে দেন, গঙ্গাসাগরের মেলা বা উৎসব উদযাপন তিনি আটকাতে পারেন না। যাঁরা উদযাপন করবেন তাঁরা  কোভিড বিধি মেনেই করবেন বলে জানিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী।

বাংলায় ঊর্ধ্বমুখী করোনা গ্রাফ

প্রসঙ্গত, বড়দিন থেকে শুরু করে নতুন বছর উদযাপন, একের পর এক উৎসবে মাতোয়ারা হয়েছে মানুষ। করোনার বিপদ উপেক্ষা করেই। আর তাতেই বিপদ দেখছে বাংলা। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের শনিবারের করোনা বুলেটিন অনুযায়ী, রাজ্যে শেষ ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন সাড়ে চার হাজারেরও বেশি মানুষ। সবথেকে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি কলকাতায়। শুক্রবার সকাল ৯ টা থেকে শনিবার সকাল ৯ টার মধ্যে কলকাতায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৩৯৮ জন।

স্বাস্থ্যকর্তারা বলছেন, পরিসংখ্যানের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি উল্লেখ্য, কত নমুনা পাঠানো হচ্ছে আর কত নমুনা পরীক্ষার পর পজিটিভ হয়ে আসছে। বৃহস্পতিবার দেখা গিয়েছে, ৬টি নমুনা পাঠানোর পর ৫ টি পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। তা থেকে কলকাতায় গোষ্ঠী সংক্রমণের ইঙ্গিত স্পষ্ট বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। অর্থাৎ বোঝাই যাচ্ছে, ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টকে ধীরে ধীরে সরিয়ে ওমিক্রন তার থাবা বসাচ্ছে। কলকাতায় টেস্ট ও পজিটিভিটি রেটও সমান হারে বাড়ছে।

ফের আংশিক লকডাউনের পথে যেতে পারে রাজ্য। মাইক্রো কনটেনমেন্ট জ়োন তৈরির ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে কলকাতা পুরনিগমে। মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, যদি একটি ফ্ল্যাটে ৫ জন করোনা আক্রান্ত হন, তাহলে ওই আবাসনকে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জ়োন হিসেবে চিহ্নিত করা হবে। ওই আবাসনের লিফট স্যানিটাইজ করতে হবে। আবাসনের সুইমিং পুল, জিম বন্ধ করে দেওয়া হবে। এখনও পর্যন্ত এরকম ১১ টি পয়েন্ট চিহ্নিত করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

আরও পড়ুন: New Year Celebration: ‘২১-কে ছাপিয়ে ‘২২! নতুন বছরে ইকো পার্কে ৭৫ হাজার মানুষের ঢল…পাল্লা দিয়ে বাড়ল সংক্রমণ