
কলকাতা: ‘বন্দে মাতরম’ এর ১৫০ বছর উদযাপন। বাঙালি অস্মিতায় শান বিজেপির। ঠনঠনিয়া কালীবাড়ি থেকে কলেজস্ট্রিট পর্যন্ত রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী নেতৃত্বে মিছিল। ‘ভারত মাতা কি জয়’, ‘বন্দে মাতরম’ স্লোগান তুলে মিছিল এগোতে থাকে। বিকাল পাঁচটায় শুরু হয় মিছিল। পথে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে কয়েক জন কংগ্রেস সমর্থক তাঁকে পতাকা দেখান। তা নিয়ে সামান্য উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হয়। কিন্তু নিজের গন্তব্যে এগোতে থাকেন শুভেন্দু। কিন্তু এরপরই টুইস্ট। বঙ্কিমচন্দ্রের মূর্তিতে মাল্যদানের কথা ছিল শুভেন্দুর। কিন্তু যে রাস্তা দিয়ে যাওয়ার কথা, অভিযোগ, সেই রাস্তার অত্যন্ত বেহাল পরিস্থিতি। একেবারেই এবড়ো খেবড়ো। পলেস্তরা উঠে রয়েছে। শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেন, তিনি আসবেন বলেই ইচ্ছাকৃত ও পরিকল্পিতভাবে রাস্তা খুঁড়ে দেওয়া হয়েছে।
শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “যেই শুনেছি আমি আসব, ইচ্ছা করে কালকে রাস্তা খুঁড়ে দিয়েছে।” এবড়ো খেবড়ো রাস্তা পেরিয়েই বঙ্কিমচন্দ্র স্মৃতি গ্রন্থাগারে এসে পৌঁছন। কিন্তু সেখানে পৌঁছানোর পথে তাঁকে বেগ পেতে হয়। গ্রন্থাগারের গেটও বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। রাস্তার অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। অত্যন্ত বিরক্ত হন শুভেন্দু। তিনি বলেন, “বাংলা বাংলা বলে চিৎকার করে তো ওরা। বাঙালি দেখুন সাহিত্য সম্রাট ঋষি বঙ্কিমচন্দ্রের প্রতি কতটা অপমান। ফাঁকা বুদ্ধিজীবী শুভাপ্রসন্ন, অপর্ণা সেন, কৌশিক সেনকে দেখান এই রাস্তা! শীর্ষেন্দুবাবুকে দেখান, এসে দেখে যান, রাস্তার কী পরিস্থিতি।”
তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, “যাঁরা বন্দে মাতরম স্লোগানটার মর্ম বোঝেন না। যাঁদের স্বাধীনতা আন্দোলনে কোনও ভূমিকা নেই। যাঁরা বাংলাকে অপমান করেন, যাঁরা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে অপমান করেন, যাঁরা জনগণমনকে অপমান করেন, তাঁরা আজকে নাটক করছেন। তাঁদের বন্দে মাতরম বলার কোনও নৈতিক অধিকারই নেই।”
তৃণমূলের রাজ্য সহ সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, “উন্নয়নের জন্য রাস্তা খুঁড়তে হয়। কবে শুভেন্দু অধিকারী আসবেন, উন্নয়ন বন্ধ থাকবে, রাস্তার কাজ বন্ধ থাকবে, এরকম অন্যায় আবদার তো কেউ শোনেননি। গলা চিৎকার করে বললেই সেটা শুনতে হবে!”