Maa Canteen: ‘৫ টাকার ডিম-ভাতের মা ক্যান্টিনে ১০০ কোটির স্ক্যাম’! বিস্ফোরক শুভেন্দু

TV9 Bangla Digital | Edited By: Soumya Saha

Apr 11, 2022 | 8:26 PM

Suvendu Adhikari: রাজভবন থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু বলেন, "মা ক্যান্টিনের জন্য রাজ্যের কোষাগার থেকে ১০০ কোটি টাকা নেওয়া হয়েছে ২০২১-২২ অর্থবর্ষে। মা ক্যান্টিন নিয়ে আদালতে যাব। মা ক্যান্টিন হল মুখ্যমন্ত্রী এবং অর্থমন্ত্রীর করা ১০০ কোটির স্ক্যাম।"

Maa Canteen: ৫ টাকার ডিম-ভাতের মা ক্যান্টিনে ১০০ কোটির স্ক্যাম! বিস্ফোরক শুভেন্দু
শুভেন্দু অধিকারী। ফাইল ছবি।

Follow Us

কলকাতা : মা ক্যান্টিন নিয়ে এবার বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দুর অভিযোগ, মা ক্যান্টিন হল আসলে একটি বড়সড় দুর্নীতি। সোমবার বিকেলে এই নিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের কাছে অভিযোগও জানিয়ে এসেছেন বিরোধী দলনেতা। রাজভবন থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “মা ক্যান্টিনের জন্য রাজ্যের কোষাগার থেকে ১০০ কোটি টাকা নেওয়া হয়েছে ২০২১-২২ অর্থবর্ষে। মা ক্যান্টিন নিয়ে আদালতে যাব। মা ক্যান্টিন হল মুখ্যমন্ত্রী এবং অর্থমন্ত্রীর করা ১০০ কোটির স্ক্যাম।” এই নিয়ে স্পেশাল ক্য়াগ অডিটের দাবিও জানান শুভেন্দু।

রাজ্যের বিরোধী দলনেতার কথায়, “৫ টাকার ডিম – ভাত। সে সব এখন উঠে গিয়েছে। বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এখন দেউলিয়া সরকার। ২০২১-২২ অর্থবর্ষের বাজেটে ৫ টাকার ডিম ভাতের মা ক্যান্টিন ঘোষণা হয়। বাজেটে ঘোষণা হওয়া মানে ২০২১ সালের ১ এপ্রিল থেকে এই ১০০ কোটি টাকার প্রকল্প চালু হওয়ার কথা। ২৬ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন ঘোষণা হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ১ এপ্রিল পর্যন্ত অপেক্ষা না করে ১৬ ফেব্রুয়ারি এই ১০০ কোটি টাকা কোষাগার থেকে মা ক্যান্টিনের জন্য নামিয়ে দেওয়া হয়েছিল বিভিন্ন পুরসভাগুলিতে। আমি মনে করি এটি একটি বড় অর্থনৈতিক দুর্নীতি। বাজেটের উল্লেখিত অর্থ এভাবে ভাঙা যায় না। স্পেশাল ক্যাগ অডিট হওয়ার দরকার আছে। মুখ্যমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী থেকে কোষাগারের সব অফিসারদের তাতে যুক্ত করা হবে।”

সেই সঙ্গে তিনি আরও বলেন, “আমি বিষয়টি নিয়ে আদালতে যাব যাতে আদালতের তত্ত্বাবধানে ক্যাগ অডিট করা হয়। এটি একটি ১০০ কোটি টাকার স্ক্যাম এবং এটি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী মিলে। কোষাগারে সব অফিসাররা এর সঙ্গে যুক্ত।” উল্লেখ্য, মা ক্যান্টিনের জন্য আর্থিক বরাদ্দ নিয়ে এর আগেও প্রশ্ন উঠেছিল। প্রশ্ন তুলেছিলেন খোদ রাজ্যপাল। বিষয়টি নিয়ে রাজভবন থেকে অর্থ দফতরে চিঠিও পাঠানো হয়েছিল। তাতে অর্থ দফতরের সচিবের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, ২০২১ সালের ১ এপ্রিল থেকে প্রকল্প চালু হওয়ার কথা থাকলেও তা দেড় মাস আগে কীভাবে চালু হয়ে গেল? মেয়াদ শুরুর আগেই কীভাবে মা প্রকল্পের জন্য টাকা বরাদ্দ হয়ে গেল? এই সব নিয়ে চিঠি পাঠিয়েছিলেন রাজ্যপাল।

আরও পড়ুন : Weather Update: চাঁদিফাটা রোদ্দুর থেকে রেহাই! দক্ষিণের কোন জেলায় কবে বৃষ্টি?

আরও পড়ুন : Adhir Chowdhury: ‘রাজ্যকে দুর্নীতিশ্রী পুরস্কার দেওয়া উচিত’, এসএসসি নিয়ে খোঁচা অধীরের

Next Article