কলকাতা : বিধানসভায় অধিবেশন চলাকালীন হাতাহাতির জেরে সাসপেন্ড হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী সহ পাঁচ বিধায়ক। এরপর সোমবার বিকেলে রাজভবেন গিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিজেপির এক প্রতিনিধি দল। রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে সাক্ষাতের পরে শুভেন্দু জানিয়েছেন, “সংবিধান ক্ষমতা দিয়ে রেখেছে, তাঁর কাছে আমাদের আসতেই হয়। আমরা পাঁচ সাসপেন্ডেড বিধায়ক এখানে রাজ্যপালের কাছে আসতে চেয়েছিলাম। মনোজ টিগ্গার পাঁজরে একটি সামান্য চিড় আছে। চিকিৎসার জন্য আগামিকাল তিনি দিল্লি যাবেন। তাঁকে বিশ্রামে রেখে আমরা বাকি চারজন আজ এসেছিলাম দেখা করতে।”
অতীতের ইতিহাস তুলে ধরে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “মহারাষ্ট্র বিধানসভায় এই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল। সাসপেন্ড করা হয়েছিল। বিধায়করা সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলেন। সুপ্রিম কোর্টের পরিষ্কার রায় আছে, একটি অধিবেশনের বাইরে সাসপেনশন হয় না। আমি আগামিকালই বিধানসভার আপ্তসহায়ক, বিধানসভার সচিবের কাছে তৃণমূলের মোশন ও অধ্যক্ষের সিদ্ধান্তের প্রতিলিপি সংগ্রহ করব। মহারাষ্ট্র বিধানসভার বিধায়কদের মামলায় সুপ্রিম কোর্টের যে রায় আছে, তার কপিও আমার কাছে আছে।”
উল্লেখ্য মহারাষ্ট্র বিধানসভায় ১২ জন বিজেপি বিধায়কের উপর অনির্দিষ্টকালের জন্য যে সাসপেনশন ঘোষণা করা হয়েছিল, তা খারিজ করে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। চলতি বছরেরই জানুয়ারি মাসে এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। আর এই নিয়ে বেশ অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছিল মহারাষ্ট্রের শিবসেনা সরকারকে।
বিধানসভার বিরোধী দলনেতা জানিয়েছেন, “আমরা রাজ্যপালকে বলেছি, আজ বিধানসভায় যা যা ঘটেছে, বিধানসভার প্রত্যেকটি পদক্ষেপ লোকের চোখে এসে গিয়েছে। ক্যানিংয়ের গুন্ডা শওকত মোল্লার গুন্ডামি, নরহরি মাহাতকে ফেলে মারছেন। মালতিপুরের আর এক গুন্ডা, রহিম বক্সি, আগে আরএসপির গুন্ডা ছিলেন, এখন তৃণমূলের বিধায়ক হয়েছেন। আমি নিজের চেয়ার থেকে এক ইঞ্চিও সরিনি। পূর্বস্থলির বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায়, আমাকে বলছেন ‘মারব’। আমি বললাম, গালটা এগিয়ে দিলাম, মেরে দেখুন। এই অসভ্য বর্বরদের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমদানি করেছেন বিধানসভার ভিতরে। এরা শিষ্টাচার জানে না, ভোট পরবর্তী হিংসা করে, সেই লোকগুলিকে আমদানি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঝাঁড় যেমন, বাঁশ তেমন তো হবেই।”
সেই সঙ্গে তিনি আরও বলেন, “আজ রাজ্যপালকে আমরা পুরো ঘটনা জানিয়েছি। কলকাতা পুলিশের লোকদের, সিভিল পোশাকে ঢুকিয়ে প্রথমে মারামারি শুরু করেছে। তারপর মিনি পাকিস্তানের জনক একাধিক অভিযোগে অভিযুক্ত, যিনি আমতায় আনিস খানের বাড়িতে ঢুকতে গিয়েছিলেন, সংখ্যালঘু ভাইরা খেদিয়েছে, সেই ববি হাকিমের ইশারায় প্রায় ১৫-২০ জন তৃণমূলের গুন্ডা-বিধায়ক বিধানসভার ভিতরে যা যা করেছে সবাই দেখেছেন।”
আরও পড়ুন : Kunal Ghosh: ‘তদন্তের কথা সিবিআইকে বলুন, বিধানসভায় নাটক কেন?’ প্রশ্ন কুণালের