Suvendu Adhikari: আমি আশ্বস্ত করছি, মোদীজি বড় গ্যারান্টর, আমি ছোট গ্যারান্টর: শুভেন্দু

Suvendu Adhikari: ওয়াকিবহাল মহল বলছে, বাংলাদেশি মুসলিম 'অনুপ্রবেশ' নিয়ে ক্ষোভ বজায় থাকলেও, শমীক ব্যাটন ধরার পর থেকে দেশের সংখ্যালঘুদের প্রতি শুভেন্দুর গলার সুর হয়েছে লঘু।

Suvendu Adhikari: আমি আশ্বস্ত করছি, মোদীজি বড় গ্যারান্টর, আমি ছোট গ্যারান্টর: শুভেন্দু
শুভেন্দু অধিকারীImage Credit source: নিজস্ব চিত্র

| Edited By: Avra Chattopadhyay

Jul 26, 2025 | 7:32 PM

কলকাতা: আগে ৯০ লক্ষ নাম বাদ যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন শুভেন্দু। এবার সেই সংখ্যা চড়ে গেল এক ধাপ। সাফ বলে দিলেন, বিহারে ৫০ লক্ষ নাম বাদ গেলে, বাংলায় ১ কোটি ২৫ লক্ষ রোহিঙ্গা, বাংলাদেশি মুসলিমের নাম বাদ যাবে।

কিন্তু বারংবার তাঁর মুখে কেন ফিরে আসছে এই প্রসঙ্গ? ওয়াকিবহাল মহল বলছে, বিহারের পর বাংলাতেও জমি মাপছে নির্বাচন কমিশন। দিন কতক আগেই রাজ্য়ের মুখ্যসচিবের কাছে চিঠি দিয়ে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক বা সিইও-র দফতরকে ‘স্বাধীন’ করার নির্দেশ দিয়েছিল কমিশন। তখনই একটু একটু করে গোটা ব্যাপারটা স্বচ্ছ হতে শুরু হয়েছিল। কেউ কেউ বলেন, এবার বাংলাতেও হবে ভোটার সমীক্ষা। তবে গোটাটাই জল্পনা।

আর সেই জল্পনাকে আরও উস্কে দিয়েছে কমিশন। বিহার যখন ভোটার সমীক্ষার কাজ শেষে খসড় তালিকা তৈরির পালা। সেই আবহে বাংলায় কর্মীদের ট্রেনিং দেওয়ার ব্যবস্থা করল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। জানা গিয়েছে, চারটি জেলার AERO BLO, সুপারভাইজাররা এই প্রশিক্ষণে অংশ নেন। যেখানে বিশেষ ও নিবিড় সমীক্ষা নিয়েও এই আধিকারিকদের ট্রেনিং দেওয়া হবে বলে আগেই জানিয়ে দেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ কুমার আগরওয়াল।

কমিশনের পদক্ষেপ, ভোটার ইস্যুতে ‘পায়ে বল’ গেরুয়া শিবিরের। উস্কে উঠল বাংলাতেও ভোটার সমীক্ষা হওয়ার কথা। শনিবারের এই প্রশিক্ষণ পর্বের কথা শোনার পর শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘বিহারে যদি ৫০ লক্ষ নাম বাদ যায়। বাংলায় তা হলে ১ কোটি ২৫ লক্ষ রোহিঙ্গা, মুসলিম, বাংলাদেশির নাম বাদ যাবে।’ তাঁর সংযোজন, ‘তবে সব ভারতীয় হিন্দু-মুসলিম ও বাংলাদেশ থেকে ধর্মীয় কারণে আসা হিন্দুদের আমি আশ্বস্ত করছি, একটা কারওর কোনও অসুবিধা হলে উপরে মোদীজি গ্যারেন্টর। এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতাও ছোট গ্যারেন্টর। ১৫ই আগস্টের পর রাস্তায় নামব। রোহিঙ্গা-মুক্ত বাংলা চাই।’

ওয়াকিবহাল মহল বলছে, বাংলাদেশি মুসলিম ‘অনুপ্রবেশ’ নিয়ে ক্ষোভ বজায় থাকলেও, শমীক ব্যাটন ধরার পর থেকে দেশের সংখ্যালঘুদের প্রতি শুভেন্দুর গলার সুর হয়েছে লঘু।

অন্যদিকে, তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, ‘কারা রোহিঙ্গা বাংলাদেশি? ওরা কি বাংলায় কথা বলে না? এই ভাবে বিভ্রান্ত করার কোনও মানে রয়েছে? মায়ানমার থেকে এসে কেউ ঢুকলে শাহের বিএসএফ কি আঙুল চুষছে? শুভেন্দু সেই দিকে আঙুল তুলুক। বাংলায় দু’জন ঢুকলে, বিজেপি শাসিত ত্রিপুরায় ২০০ ঢুকছে।’