Suvendu Adhikari on COVID19: ‘পার্কস্ট্রিটের জনজোয়ার আর মেয়রের শপথগ্রহণ থার্ড ওয়েভের আঁতুড়ঘর’

TV9 Bangla Digital | Edited By: tista roychowdhury

Dec 30, 2021 | 8:12 AM

Kolkata: ফিরহাদ হাকিমের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন এমন প্রায় ৪০ শতাংশ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। উত্তর কলকাতার এক বোরো চেয়ারম্যান ছাড়াও বেশ কয়েকজনের করোনা পজিটিভি ধরা পড়েছে বলে খবর

Suvendu Adhikari on COVID19: পার্কস্ট্রিটের জনজোয়ার আর মেয়রের শপথগ্রহণ থার্ড ওয়েভের আঁতুড়ঘর
শুভেন্দুর তোপ, নিজস্বচিত্র

Follow Us

কলকাতা: ওমিক্রনের হাত ধরে করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে, এমন আশঙ্কাই করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। তবে রাজ্যে বছর শেষে যে এ ভাবে সংক্রমণ বাড়বে, তেমন আঁচ আগে পাওয়া যায়নি। বর্ষবরণ ও বর্ষপূর্তির মুখে উৎসবমুখর বঙ্গে এখন চিন্তা ধরাচ্ছে করোনা গ্রাফ। এ বার ঊর্ধ্বমুখী করোনা নিয়ে সরাসরি রাজ্যসরকারকেই নিশানা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

শুভেন্দুর দাবি, কলকাতায় ও সর্বোপরি রাজ্যে করোনা বৃদ্ধির কারণ পার্কস্ট্রিটের জনজোয়ার ও মেয়রের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান। শুভেন্দুর কথায়, “পার্কস্ট্রিটের জনজোয়ার আর মেয়রের শপথগ্রহণ থার্ড ওয়েভের আঁতুড়ঘর।” তাঁর আরও সংযোজন, “মেয়রের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে খোঁজ নিয়ে দেখুন, সেখানেও এক আধজন করোনা আক্রান্ত। অনেকেরই জ্বর এসেছে। টেস্ট করালে অনেক কাউন্সিলরেরও করোনা ধরা পড়বে। ওখান থেকেই থার্ড ওয়েভ আসছে।”

উল্লেখ্য, সম্প্রতি, কলকাতার মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন ফিরহাদ হাকিম। মেয়রের শপথগ্রহণের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ৪ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান সাধনা বসু। তাঁর কোভিড পজিটিভ ধরা পড়েছে। শুধু সাধনাই নন, আক্রান্তের তালিকায় রয়েছেন খোদ মেয়র ফিরহাদ হাকিমের ঘরে কর্মরত ডাটা এন্ট্রি অপারেটরও। বুধবার তাঁর করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। মঙ্গলবার এই কর্মীর উপরেই যাবতীয় অনুষ্ঠানের একাধিক বিষয়ের দায়িত্বভার ন্যস্ত ছিল বলে খবর।

সূত্রের খবর, ফিরহাদ হাকিমের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন এমন প্রায় ৪০ শতাংশ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। উত্তর কলকাতার এক বোরো চেয়ারম্যান ছাড়াও বেশ কয়েকজনের করোনা পজিটিভি ধরা পড়েছে বলে খবর। পুরনিগমের বেশ কয়েকজন কর্মীও জ্বর-জ্বর অনুভব করছেন। যাঁদের যাঁদের শরীরে উপসর্গ দেখা যাচ্ছে, তাঁদের প্রত্যেকের করোনা পরীক্ষা করানো হচ্ছে। ওইদিনের অনুষ্ঠানে রীতিমতো গাদাগাদি ভিড় নজরে পড়েছে।

প্রসঙ্গত, বিধানসভা নির্বাচন আবহে, শাসকশিবির বারবার অভিযোগ করেছে বাইরের রাজ্য থেকে লোক এনে  প্রচার চালিয়েই রাজ্যে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রকোপ আছড়ে পড়েছিল।  বঙ্গে ভোটযুদ্ধ এখনও শেষ হয়নি। সদ্যই মিটেছে কলকাতা পুরভোট। রাজ্যের বাকি পুরসভাগুলিতে পুরভোট দ্রুত করাতে চাইছে বিরোধী দলগুলি। নির্বাচনের দিনক্ষণ কমিশন ঘোষণা করলেও ঝুলে রয়েছে হাওড়া পুরভোট। এই পরিস্থিতিতে যদিও, উৎসবে কোনও খামতি নেই। বর্ষপূর্তির উৎসবে জনজোয়ারে ভেসেছে মানুষ। সম্প্রতি, আলোয় সাজানো পার্কস্ট্রিটের ছবি ভয় ধরিয়েছে। কিন্তু কোথায় প্রতিরোধ! কোথায়ই বা সতর্কতা! উৎসবের আমেজেই গা ভাসিয়েছেন সাধারণ মানুষ। কেন নিয়ন্ত্রিত নয় জনজোয়ার? প্রশ্ন বিরোধীদের।

বুধবার গঙ্গা সাগরে প্রশাসনিক বৈঠকে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কার কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরিস্থিতির ওপর নজর রাখার নির্দেশ দেন আধিকারিকদের। কলকাতায় কনটেনমেন্ট জ়োন তৈরি করা যায় কি না, সে দিকেও নজর দেওয়ার কথা বলেন তিনি। এরপরই জরুরি বৈঠক হয় স্বাস্থ্য ভবনে। উৎসব পরবর্তী বঙ্গের কী অবস্থা হয় সেদিকেই নজর এখন বিশেষজ্ঞমহলের।

আরও পড়ুন: Siliguri Municipal Election: শঙ্করই মুখ বিজেপির, শিলিগুড়ি পুরভোটে পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ পদ্মের

 

Next Article