Suvendu vs Mamata: ‘বিরোধী দলনেতা কিম্ভুত কিমাকার, আপনি সুশ্রী থাকুন’, মমতাকে বললেন শুভেন্দু

Suvendu vs Mamata: বিরোধী দলনেতা বললেন, 'রাজ্যের প্রশাসনিক চেয়ারে বসে বলছেন, ভুঁইফোঁড়, কিম্ভুত কিমাকার। এই ভুঁইফোঁড়ের কাছেই তো আপনাকে হারতে হয়েছিল। আপনাকে গণতান্ত্রিকভাবে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী যদি করতে না পারি রাজনীতি থেকে সন্ন্যাস নেব।'

Suvendu vs Mamata: 'বিরোধী দলনেতা কিম্ভুত কিমাকার, আপনি সুশ্রী থাকুন', মমতাকে বললেন শুভেন্দু
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শুভেন্দু অধিকারী
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 20, 2023 | 7:56 PM

কলকাতা: বঙ্গ রাজনীতিতে দুই হেভিওয়েটের টক্কর। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। চলছে আক্রমণ, প্রতি আক্রমণের পালা। সম্প্রতি শুভেন্দু দাবি করেছেন, জাতীয় দলের তকমা ফেরানোর অনুরোধ নিয়ে অমিত শাহকে ফোন করেছেন মমতা। তার পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় মমতা আবার কারও নাম না করে বলেছেন, ‘কোনও একজন ভুঁইফোঁড় কিম্ভুত কিমাকার বলেছেন, আমি নাকি ওদের সবচেয়ে বড় নেতা শাহ না কে আছেন, তাঁকে নাকি আমি তৃণমূলের জাতীয় দলের তকমা ফেরানোর জন্য চারবার ফোন করেছি।’ মুখ্যমন্ত্রী এও বলেছিলেন, অমিত শাহ যাঁর ইশারায় চলছেন, তিনি একজন বড় ‘ডাকু’। নাম না করে এমন আক্রমণে বেজায় বিরক্ত শুভেন্দু। এদিন বিকেলে সাংবাদিক বৈঠকে বার বার সেই বিরক্তি উঠে আসে বিরোধী দলনেতার গলায়। বিশেষ করে মুখ্যমন্ত্রীর মুখে ‘ভুঁইফোঁড়’ ও ‘কিম্ভুত কিমাকার’ নিয়ে ভীষণ আপত্তি রয়েছে শুভেন্দুর।

বিরোধী দলনেতা বললেন, ‘রাজ্যের প্রশাসনিক চেয়ারে বসে বলছেন, ভুঁইফোঁড়, কিম্ভুত কিমাকার। এই ভুঁইফোঁড়ের কাছেই তো আপনাকে হারতে হয়েছিল। আপনাকে গণতান্ত্রিকভাবে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী যদি করতে না পারি রাজনীতি থেকে সন্ন্যাস নেব।’ অতীতের কথা স্মরণ করিয়ে শুভেন্দু বললেন, ‘আদা-জল খেয়ে লেগেছিলাম ২০০৭ সাল থেকে যাতে নন্দীগ্রাম থেকে সিপিএম-কে তাড়ানো যায়। মানুষকে সঙ্গে নিয়ে গণতান্ত্রিকভাবে তাড়িয়ে ছেড়েছি।’ এরপর শুভেন্দুর আরও সংযোজন, ‘কিম্ভুত কিমাকার মানে কী? বিশ্রী। আপনি খুব সুশ্রী থাকুন। মানুষ সব দেখছে। আমি ব্যক্তিগত আক্রমণ করতে চাই না।’ অতীতে যে মমতার মন্ত্রিসভার মন্ত্রী অখিল গিরি দেশের রাষ্ট্রপতির বাহ্যিক রূপ নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন, সেই কথাও স্মরণ করিয়ে দেন তিনি।

শুধু তাই নয়, অভিষেকও তাঁকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেছেন বলে অভিযোগ শুভেন্দুর। বললেন, ‘আমাকে ব্যক্তিগত চরিত্র নিয়ে অপ্রমাণিত তথ্য নিয়ে আক্রমণ করা হয়েছে।’ উঠে এল শুভেন্দুর ‘ডোন্ট টাচ’ মন্তব্যের কথাও। কেন তিনি সেদিন মহিলা পুলিশকর্মীকে বাধা দিয়েছিলেন, তাও ব্যাখ্যা করলেন বিরোধী দলনেতা। বললেন, ‘কিছু সিভিল ড্রেসের মহিলা পুলিশকর্মীকে পাঠানো হয়েছিল আমাকে শারীরিক নিগ্রহ করার জন্য। আমি হাতাহাতিতে জড়ালে আপনার সুবিধা হত শ্লীলতাহানির মামলা করতে। মাইনরিটি আইনে মামলা করতেন। কারণ, ওই অফিসার খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের। তাই আমি তাঁকে ইংরেজিতে বলেছিলাম, আমাকে না ছোঁয়ার জন্য। তার পরের দিন আপনার ভাইপো আমাকে ব্যক্তিগত স্তরে আক্রমণ করল।’

বিরোধী দলনেতা বললেন, ‘আমি শিক্ষা, সংস্কৃতি, শালীনতা মেনে কথা বলি। আপনার মতো মুখে যা খুশি এল, বলে দিই না। মানুষ তো বলেন, আপনার মুখ পরিষ্কার করা উচিত ব্লিচিং-ফিনাইল দিয়ে। ভাষার যা কদর্যতা আপনার। আপনি প্রধানমন্ত্রীকে কিম্ভুত কিমাকার বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেন হোদলকুতকুত। বিরোধী দলনেতা কিম্ভুত কিমাকারই থাকুক। এই কিম্ভুত কিমাকারের কাছে আপনি হেরেছেন, প্রাক্তনও হবেন।’