কলকাতা: অবশেষে রাজ্যে লোকায়ুক্ত নিযুক্ত হতে চলেছে। সোমবারই বিধানসভা ভবনে অধ্যক্ষের দফতরে এই বৈঠক হওয়ার কথা। বৈঠকেই যে কমিটি এই নিয়োগের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়, পদাধিকারবলে, সেই কমিটিতে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee), বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়, পরিষদীয়মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ( Suvendu Adhikari)। যদিও, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা স্পষ্ট জানিয়েছেন, ১৫ মিনিটের ওই ‘প্রহসনের’ বৈঠকে থাকবেন না তিনি।
কেন বৈঠক ‘বয়কট’ বিরোধী দলনেতার?
সূত্রের খবর, সোমবার বেলা ১২টা ৩০ মিনিটে লোকায়ুক্ত নিয়োগ সংক্রান্ত বৈঠক হওয়ার কথা। ঠিক তার ১৫ মিনিট পরেই বেলা ১২ টা ৪৫ মিনিটে মানবাধিকার কমিশনের নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগ সংক্রান্ত আরও একটি বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দুটি বৈঠকের কোনওটিতেই থাকবেন না রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এমনটাই সাফ জানিয়েছেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, রাজ্যের প্রস্তাবিত নাম দেখে তিনি বিকল্প প্রস্তাব দিতে পারেন। কিন্তু, নবান্নে সেকথা জানিয়ে চিঠি দিলেও প্রত্যুত্তরে কোনও পদক্ষেপ করেনি রাজ্য সরকার।
এখানেই শেষ নয়, শুভেন্দুর আরও অভিযোগ, রাজ্য সরকার নিজেই নিজের মতো নাম ঠিক করে নিয়েছে। ১৫ মিনিটের ওই বৈঠকে কেবল সম্মতি জানানোর জন্য ডাকা হয়েছে শুভেন্দুকে। তাঁর মতামত জানতে চাওয়া হয়নি। শুধু লোকায়ুক্ত নিয়োগই নয়, মানবাধিকার কমিশনের নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগের ক্ষেত্রেও একই পন্থা অনুসৃত হয়েছে বলেই অভিযোগ অধিকারী নেতার। তাই বৈঠক বয়কট করেছেন শুভেন্দু।
অধিকারী পুত্রের কথায়, “প্রহসেনর একটা বৈঠক। ১৫ মিনিটের ওই বৈঠকে সব কিছু আগে থেকে ঠিক করা রয়েছে। আমাকে কেবল হ্যাঁ-তে হ্যাঁ বলতে হবে। আমি নবান্নে জানিয়েছিলাম, আমাকে প্যানেলের লিস্ট দেওয়া হোক। আমি আগে নাম দেখব। কিন্তু তা দেওয়া হয়নি। তাই আমি বৈঠকে থাকব না। বিষয়টি রাজ্যপালকেও জানাতে পারি।”
তাঁর আরও সংযোজন, “এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক ১৫ মিনিটের মধ্যে শেষ হয়ে যাবেন এটা ধরে নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ফলে আলোচনার কোনও সুযোগ থাকছে না এটা মনে করতে হবে। নিয়োগে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার এক্তিয়ার রাজ্যপালের রয়েছে। এখনও অবধি সরকারের প্রস্তাব দেখিনি। তাই প্রয়োজন হলে বিকল্প প্রস্তাব পাঠাব। সংবিধান অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন রাজ্যপাল।”
নিয়োগ-সংঘাত!
লোকায়ুক্ত ও মানবাধিকার কমিশনের নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগ সংক্রান্ত বৈঠকে শুভেন্দু অধিকারীর অনুপস্থিতিতে কার্যত আরও একটি সরকার-বিরোধী সংঘাত তৈরি হতে পারে বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশ। যদিও, এ নিয়ে তৃণমূলের তরফে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
লোকায়ুক্ত নিয়োগের ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী, বিধানসভার স্পিকার, পরিষদীয় মন্ত্রী এবং বিরোধী দলনেতার মতামত নেওয়া হয়। রাজ্যের মন্ত্রী–বিধায়কদের দুর্নীতি সংক্রান্ত বিষয়ে নির্দিষ্ট অভিযোগ নিয়ে তদন্ত করার দায়িত্বে থাকেন এই লোকায়ুক্ত। সাধারণত, সুপ্রিম কোর্ট বা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতিদেরই এই পদে নিয়োগ করা হয়।
অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী, স্পিকার ও বিরোধী দলনেতার আলোচনার ভিত্তিতে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্য নির্বাচনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। ওই কমিটির আলোচনার ভিত্তিতে নিয়োগে চূড়ান্ত অনুমোদন দেন রাজ্যপাল।
কিন্তু শুভেন্দুর অভিযোগ, বৈঠকে আলোচনার কোনও সুযোগই নেই। তাই, কোনওভাবেই বৈঠকে থাকবেন না তিনি। উল্লেখ্য, এর আগে, তথ্য কমিশনার পদে নবীন প্রকাশ এবং বীরেন্দ্রর নিয়োগের বৈঠকের ক্ষেত্রেও অনুরূপ কারণ দেখিয়ে অনুপস্থিত ছিলেন শুভেন্দু। যদিও, ওই দুটি নিয়োগে এখনও সম্মতি দেননি রাজ্যপাল। ফের কার্যত একই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তিতে সংঘাতের জল কোনদিকে গড়ায় সেদিকে তাকিয়ে সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশ।
কলকাতা: অবশেষে রাজ্যে লোকায়ুক্ত নিযুক্ত হতে চলেছে। সোমবারই বিধানসভা ভবনে অধ্যক্ষের দফতরে এই বৈঠক হওয়ার কথা। বৈঠকেই যে কমিটি এই নিয়োগের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়, পদাধিকারবলে, সেই কমিটিতে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee), বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়, পরিষদীয়মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ( Suvendu Adhikari)। যদিও, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা স্পষ্ট জানিয়েছেন, ১৫ মিনিটের ওই ‘প্রহসনের’ বৈঠকে থাকবেন না তিনি।
কেন বৈঠক ‘বয়কট’ বিরোধী দলনেতার?
সূত্রের খবর, সোমবার বেলা ১২টা ৩০ মিনিটে লোকায়ুক্ত নিয়োগ সংক্রান্ত বৈঠক হওয়ার কথা। ঠিক তার ১৫ মিনিট পরেই বেলা ১২ টা ৪৫ মিনিটে মানবাধিকার কমিশনের নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগ সংক্রান্ত আরও একটি বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দুটি বৈঠকের কোনওটিতেই থাকবেন না রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এমনটাই সাফ জানিয়েছেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, রাজ্যের প্রস্তাবিত নাম দেখে তিনি বিকল্প প্রস্তাব দিতে পারেন। কিন্তু, নবান্নে সেকথা জানিয়ে চিঠি দিলেও প্রত্যুত্তরে কোনও পদক্ষেপ করেনি রাজ্য সরকার।
এখানেই শেষ নয়, শুভেন্দুর আরও অভিযোগ, রাজ্য সরকার নিজেই নিজের মতো নাম ঠিক করে নিয়েছে। ১৫ মিনিটের ওই বৈঠকে কেবল সম্মতি জানানোর জন্য ডাকা হয়েছে শুভেন্দুকে। তাঁর মতামত জানতে চাওয়া হয়নি। শুধু লোকায়ুক্ত নিয়োগই নয়, মানবাধিকার কমিশনের নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগের ক্ষেত্রেও একই পন্থা অনুসৃত হয়েছে বলেই অভিযোগ অধিকারী নেতার। তাই বৈঠক বয়কট করেছেন শুভেন্দু।
অধিকারী পুত্রের কথায়, “প্রহসেনর একটা বৈঠক। ১৫ মিনিটের ওই বৈঠকে সব কিছু আগে থেকে ঠিক করা রয়েছে। আমাকে কেবল হ্যাঁ-তে হ্যাঁ বলতে হবে। আমি নবান্নে জানিয়েছিলাম, আমাকে প্যানেলের লিস্ট দেওয়া হোক। আমি আগে নাম দেখব। কিন্তু তা দেওয়া হয়নি। তাই আমি বৈঠকে থাকব না। বিষয়টি রাজ্যপালকেও জানাতে পারি।”
তাঁর আরও সংযোজন, “এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক ১৫ মিনিটের মধ্যে শেষ হয়ে যাবেন এটা ধরে নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ফলে আলোচনার কোনও সুযোগ থাকছে না এটা মনে করতে হবে। নিয়োগে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার এক্তিয়ার রাজ্যপালের রয়েছে। এখনও অবধি সরকারের প্রস্তাব দেখিনি। তাই প্রয়োজন হলে বিকল্প প্রস্তাব পাঠাব। সংবিধান অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন রাজ্যপাল।”
নিয়োগ-সংঘাত!
লোকায়ুক্ত ও মানবাধিকার কমিশনের নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগ সংক্রান্ত বৈঠকে শুভেন্দু অধিকারীর অনুপস্থিতিতে কার্যত আরও একটি সরকার-বিরোধী সংঘাত তৈরি হতে পারে বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশ। যদিও, এ নিয়ে তৃণমূলের তরফে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
লোকায়ুক্ত নিয়োগের ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী, বিধানসভার স্পিকার, পরিষদীয় মন্ত্রী এবং বিরোধী দলনেতার মতামত নেওয়া হয়। রাজ্যের মন্ত্রী–বিধায়কদের দুর্নীতি সংক্রান্ত বিষয়ে নির্দিষ্ট অভিযোগ নিয়ে তদন্ত করার দায়িত্বে থাকেন এই লোকায়ুক্ত। সাধারণত, সুপ্রিম কোর্ট বা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতিদেরই এই পদে নিয়োগ করা হয়।
অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী, স্পিকার ও বিরোধী দলনেতার আলোচনার ভিত্তিতে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্য নির্বাচনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। ওই কমিটির আলোচনার ভিত্তিতে নিয়োগে চূড়ান্ত অনুমোদন দেন রাজ্যপাল।
কিন্তু শুভেন্দুর অভিযোগ, বৈঠকে আলোচনার কোনও সুযোগই নেই। তাই, কোনওভাবেই বৈঠকে থাকবেন না তিনি। উল্লেখ্য, এর আগে, তথ্য কমিশনার পদে নবীন প্রকাশ এবং বীরেন্দ্রর নিয়োগের বৈঠকের ক্ষেত্রেও অনুরূপ কারণ দেখিয়ে অনুপস্থিত ছিলেন শুভেন্দু। যদিও, ওই দুটি নিয়োগে এখনও সম্মতি দেননি রাজ্যপাল। ফের কার্যত একই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তিতে সংঘাতের জল কোনদিকে গড়ায় সেদিকে তাকিয়ে সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশ।