কলকাতা : বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলন (Bengal Global Business Summit) থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে অনুরোধ করেছেন, কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে শিল্পপতিদের যাতে ‘বিরক্ত’ না করা হয়, সেই বিষয়টি দেখার জন্য। যদিও সেই সময় তার উত্তরে কিছু বলার সুযোগ পাননি রাজ্যপাল। তবে এবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ওই ‘অনুরোধের’ জন্য পাল্টা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বললেন, “শিল্পপতি কি ওনার ভাইপো? ভয় পাচ্ছেন কেন? সব জায়গায় এজেন্সি এজেন্সি… যেখানে যান রাজনৈতিক-অরাজনৈতিক কথা। শিল্পপতিরা কি সবকিছুর ঊর্ধ্বে নাকি?”
শুভেন্দু আরও বলেন, “কোনও শিল্পপতি যদি আর্থিক দুর্নীতিতে যুক্ত থাকেন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট কেন ব্যবস্থা নেবে না? কোনও শিল্পপতি যদি কর ফাঁকি দেন, তাহলে আয়কর বিভাগ কেন ব্যবস্থা নেবে না? কাদের ভয় পাচ্ছেন? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি যে শিল্পপতিরা কিনেছিলেন… সারদা, রোজভ্যালির সঙ্গে যাঁরা যুক্ত, তাঁদের বিষয়ে? আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নয়।”
বুধবার বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলনের মঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যপালকে অনুরোধ করেন, রাজ্যকে যাতে সবরকমভাবে সাহায্য করে কেন্দ্র, সেই বিষয়টি যেন তিনি দেখেন। এরপরই তাঁর আরও সংযোজন, “শিল্পপতিরা কিছু বলতে পারবেন না। কিন্তু, এজেন্সি দিয়ে শিল্পপতিদের যেন ভয় না দেখায়। তাঁদের যেন বিরক্ত না করে।” তখন অবশ্য রাজ্যপালের কাছে মুখ্যমন্ত্রীর সেই কথার জবাব দেননি। তবে তিনি হালকা হেসেছিলেন। এই হাসিতে রাজ্যপাল ইতিবাচক বার্তা দিতে চাইলেন, নাকি অন্য কিছু তা অবশ্য স্পষ্ট নয়। কিন্ত মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের পরই তাঁকে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।
তবে শুধু শুভেন্দুই নন, মমতার এই ‘অনুরোধ’কে বক্রোক্তি করতে ছাড়েননি সুজন চক্রবর্তীও। সুজন বাবুর এই বিষয়ে বলেন, “এটার জন্য কি মুখ্যমন্ত্রীর রাজ্যপালকে বলার দরকার হয়?”