Mamata Banerjee : ‘কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে শিল্পপতিদের যেন বিরক্ত করা না হয়’, মমতার অনুরোধে মুচকি হাসলেন ধনখড়
Mamata-Dhankhar : বাণিজ্য সম্মেলনের শুরুতে পাশাপাশি বসে কথা বলতে দেখা যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও জগদীপ ধনখড়কে। এমনকী, শুরুতে শিল্প সম্মেলন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগের প্রশংসা করেন রাজ্যপাল(GovernorJagdeep Dhankhar)।
কলকাতা : শুরু থেকে সবকিছু ঠিক চলছিল। ‘সংঘাত’ দূরে সরিয়ে রাজ্যপাল-মুখ্যমন্ত্রীকে পাশাপাশি বসে কথা বলতে দেখা গিয়েছে। তবে বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলনে নিজের বক্তব্যের শেষে কেন্দ্রকে ‘খোঁচা’ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। রাজ্যপালের উদ্দেশে বললেন, এজেন্সি দিয়ে শিল্পপতিদের বিরক্ত না করতে বলুন কেন্দ্রকে। যা শুনে সম্মেলনে সামনের সারিয়ে বসে থাকা রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় হেসে ফেললেন। মমতার এই ‘খোঁচা’-য় সম্মেলনের তাল কাটল কি না, সেই প্রশ্ন উঠেছে।
আজ বিশ্ববাংলা কনভেনশন সেন্টারে ২ দিনের বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলন (বিজিবিএস) শুরু হয়েছে। কনভেনশন সেন্টারে ৩ হাজার ৬০০ আসন রয়েছে। বাণিজ্য সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন দেশ বিদেশের শিল্পপতিরা। সম্মেলনের শুরুতে রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রীকে পাশাপাশি বসে কথা বলতে দেখা যায়। এমনকী, তাঁর বক্তব্যে মমতার শিল্প সম্মেলনের উদ্যোগের প্রশংসা করেন। যা দেখে অনেকের মনে হয়, রাজ্য-রাজ্যপাল যে টানাপোড়েন চলছে, তার কোনও প্রভাব আজকে দু’জনের আপালচারিতায় দেখা যায়নি।
সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বাংলায় বিনিয়োগের আহ্বান জানান মুখ্যমন্ত্রী। বাংলায় বিনিয়োগের সুবিধা তুলে ধরেন শিল্পপতিদের কাছে। নিজের বক্তব্যের শেষে গিয়ে কেন্দ্রকে ‘খোঁচা’ দেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সাহায্য থেকে বঞ্চিত বলে বারবার অভিযোগ করেন মমতা। আজ সেই সুর শোনা গেল তাঁর কণ্ঠে। রাজ্যপালকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, “আপনাকে একটা অনুরোধ করব, রাজ্যকে সবরকম সাহায্যের জন্য কেন্দ্রকে বলুন। রাজ্যপালদের সম্মেলনে এই নিয়ে কথা বলুন।”
কেন্দ্রকে সাহায্যের অনুরোধ জানিয়েই থামেননি মমতা। রাজ্যপালকে মমতা বলেন, “শিল্পপতিরা কিছু বলতে পারবেন না। কিন্তু, এজেন্সি দিয়ে শিল্পপতিদের যেন ভয় না দেখায়। তাঁদের যেন বিরক্ত না করে।” মুখ্যমন্ত্রীর কথা শুনে মুচকি হাসেন রাজ্যপাল। রাজনীতির কারবারিরা বলছেন, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অপব্যবহারের অভিযোগে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বারবার সরব হয়েছেন মমতা। শিল্পপতিরা বিশ্ববাংলা বাণিজ্য সম্মেলনে যোগ দেওয়ায়, তাঁদের যেন এজেন্সি দিয়ে ভয় না দেখানো হয়, সেকথাই বোঝাতে চাইলেন তিনি।