Post-Poll Violence : ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় নতুন কমিটি গড়ার নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের, ক্ষতিপূরণ নিয়েও নতুন সিদ্ধান্ত
ভোট পরবর্তী হিংসা মামালায় ফের নতুন রায় দিল কলকাতা হাইকোর্ট। ঘর ছাড়াদের ঘরে ফেরাতে ফের জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে মাঠে নামার নির্দেশ।
কলকাতা : ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় নতুন মোড়। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে (National Human Rights Commission) ৩ সদস্যের কমিটি গড়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। যা নিয়েই ফের জোরদার চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। প্রসঙ্গত ভোট পরবর্তী হিংসায় যে সাধারণ মানুষ ঘরছাড়া হয়েছেন এমনটা নয়, সিআইএসফের (CISF) জওয়ানদের পরিবারের উপরে আক্রমণের অভিযোগ উঠেছে। এক জওয়ান এই বিষয়ে একটি অভিযোগও দায়ের করেছেন। এই অভিযোগের ভিত্তিতেই রাজ্যের ডিজিপি-র কাছে যথাযথ প্রক্রিয়া মেনে দ্রুত তদন্ত শুরুর আবেদন জানানো হয়েছিল কেন্দ্রের তরফে।
কিন্তু পরপর দুটি চিঠি আসার পরেও রাজ্যের ডিজি কোনও উত্তর দেননি। এই বিষয়টিও এদিনের রায়ে বিবেচনা করার কথা বলা হয়েছে। একইসঙ্গে, ঘরছাড়াদের ক্ষতিপূরণের বিষয়ে কী নীতি নেওয়া হবে সেই বিষয়েও রাজ্যকে জানাতে বলা হয়েছে। রাজ্যের মুখ্যসচিবকে এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে রাজ্যেকে দু’মাসের সময় দেওয়া হয়েছে। এই মামলায় পরবর্তী শুনানির দিনেই রাজ্য তাদের সিদ্ধান্তের কথা কোর্টে জানাবে। প্রসঙ্গত, ভোট পরবর্তী হিংসা মামলা যখন রুজু হয়েছিল তারপর কেটে গিয়েছে বেশ কয়েকটি মাস। এখনও পর্যন্ত বিশেষ করে বিজেপির পক্ষ থেকে বারবার বলা হচ্ছে যে এতদিন পরেও ঘর ছাড়াদের ঘরে ফেরাতে পারেনি রাজ্য। নতুন করে প্রায় ৩০৩টি মামলার কথা বিজেপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। এবং অবশেষে একটি নতুন কমিটির কথা বলা হল। এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বিজেপি নেত্রী তথা গেরুয়া শিবিরের আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল বলেন, ‘ আগের দুই সদস্যের কমিটি কাজ করেছিল। ওই কমিটির হাত ধরে যাঁরা যাঁরা বাইরে ছিল আমরা তাদের বাড়ি ফিরিয়ে এনেছিলাম। আজকে গোটা পশ্চিমবঙ্গে যাঁরা য়াঁরা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তাদের জন্য এই ব্যবস্থা করা হল। কোর্টের কাছে আবেদন করেই এই দাবি আদায় করা গিয়েছে। এবার প্রত্যেকটা পুলিশ স্টেশনের সঙ্গে মানবাধিকারের কমিশনের সদস্যরা বসবে। আমি নিজে গিয়ে ঘর ছাড়া বাড়ি ফিরিয়ে দেব।’
এদিকে এর আগে বিজেপি অভিযোগ তুলেছিল রাজ্যের মানবাধিকার কমিশনের সদস্যরা বৈঠকে সঠিক সময়ে হাজিরা দেননা। কিন্তু তাদের অভিযোগ সত্ত্বেও এবারেও রাজ্যের প্রতিনিধিদের রাখা হয়েছে। এই প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করা হলে প্রিয়াঙ্কা বলেন, ‘আমরা সিস্টেম মেনেই কাজ করি। কিন্তু শেষবারও রাজ্যের প্রতিনিধিদের রাখা হয়েছিল কিন্তু ওরা আসেনি। এখন রাজ্যের মানবাধিকার কমিশনের লোকজন বলছেন তাদের কাছে অর্থ নেই, পরিকাঠমো নেই। কিন্তু আমরা বলছি এসবের আগে ভালো কাজ করার সদিচ্ছা থাকতে হয়। এটা পুলিশের কাজ, এটা প্রশাসনের কাজ যে তারা দেখবে মানুষ যাতে শান্তিতে বাড়িতে থাকতে পারে’।
আরও পড়ুন- পাখির চোখ চব্বিশের লোকসভা, ভোট বৈতরণী পার করতে ‘নেতা’ রূপেই পিকে-কে চায় কংগ্রেস