নেগেটিভ RTPCR রিপোর্ট ছাড়া কলকাতায় প্রবেশ নয়, একাধিক দেশের জন্য এমনই নিয়ম জারি হল

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকও নির্দেশ দিয়েছে, বিভিন্ন রাজ্যে যে বিমানবন্দরগুলি রয়েছে সেখানে যাত্রীর যাতায়াতের ক্ষেত্রে বিশেষ নজরদারি যেন রাখা হয়।

নেগেটিভ RTPCR রিপোর্ট ছাড়া কলকাতায় প্রবেশ নয়, একাধিক দেশের জন্য এমনই নিয়ম জারি হল
নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 07, 2021 | 8:14 PM

কলকাতা: করোনার প্রাদুর্ভাব যে ভাবে নতুন করে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, তাতে কঠোর হাতে পরিস্থিতি সামাল দিতে চাইছে স্বাস্থ্য ভবন। এরই মধ্যে মঙ্গলবার কলকাতা বিমান বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসেন স্বাস্থ্য ভবনের কর্তারা। সেখানে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, বাংলাদেশ, চিন, নিউজিল্যান্ড-সহ একাধিক দেশ থেকে যাত্রীরা কলকাতা বিমান বন্দরে নামলে আরটিপিসিআর অত্যাবশ্যক। রিপোর্ট নেগেটিভ হলে তবেই মিলবে শহরে প্রবেশের অনুমতি। না হলে কোয়ারেনটাইনে থাকতে হবে আগের নিয়ম মেনে।

করোনার নতুন যে ভ্যারিয়েন্ট দেখা দিয়েছে তা নিয়ে চিন্তিত স্বাস্থ্য দফতর। দক্ষিণ আফ্রিকা, বাংলাদেশ, চিন, নিউজিল্যান্ড জিম্বাবোয়ে, মায়ানমার-সহ বেশ কয়েকটি দেশে করোনার নতুন উপসর্গ পাওয়া গিয়েছে। এই সমস্ত দেশ থেকে কেউ শহরে আসলে তাঁদের কোনও ভাবেই কলকাতা বিমান বন্দরের বাইরে বেরোনোর অনুমতি মিলবে না, যতক্ষণ না তাঁদের আরটিপিসিআর টেস্ট করানো হচ্ছে।

আরটিপিসিআর টেস্টের রিপোর্ট নেগেটিভ আসলে তবেই মিলবে শহরে ঢোকার ছাড়পত্র। এ ছাড়াও বেশ কিছু বিষয় নিয়ে মঙ্গলবার সল্টলেক স্বাস্থ্য ভবনে কলকাতা বিমান বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে আলোচনা করেন স্বাস্থ্য দফতরের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা। এদিনের বৈঠক প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য আধিকারিক সৌমিত্র মোহন বলেন, “বাইরের দেশ থেকে আসলে আরটিপিআর টেস্টের ক্ষেত্রে যা নিয়ম তাই মানতে হবে।”

উৎসবের মরসুমে নতুন করে হুমকি হয়ে উঠেছে কোভিড। তার ডেল্টা, ডেল্টা প্লাসের দাপটে ত্রস্ত গোটা দেশ। এই মুহূর্তে দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রক হোক কিংবা রাজ্যগুলির স্বাস্থ্য দফতর, সকলের কাছেই মাথা ব্যথা করোনা। যে ভাবেই হোক সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ প্রতিহত করতে বদ্ধ পরিকর দেশ। এ রাজ্যেও নানা রকম পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। টিকাকরণকে মূল হাতিয়ার হিসাবে রাখা হলেও স্বাস্থ্য বিধি অবশ্যই মেনে চলার কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা। বাইরে বেরোলে মাস্ক অত্যাবশ্যক। মুখে-চোখে হাত দেওয়ার আগে হাত ধোয়া প্রয়োজন, একই সঙ্গে শারীরিক দূরত্বও মেনে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকও নির্দেশ দিয়েছে, বিভিন্ন রাজ্যে যে বিমানবন্দরগুলি রয়েছে সেখানে যাত্রীর যাতায়াতের ক্ষেত্রে বিশেষ নজরদারি যেন রাখা হয়। স্বাস্থ্য বিধিতে যেন কোনও রকম শিথিলতা বরদাস্ত না করা হয়। সেই নির্দেশের পর এবার রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর বিমান যাত্রীদের উপর নজরদারি বাড়াতে বৈঠকে বসতে চলেছে। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলতে চাইছেন সংশ্লিষ্ট দফতরের আধিকারিকরা। স্বাস্থ্য-সুরক্ষার ক্ষেত্রে কোনও রকম আপোষ যেন না করা হয়, সেদিকে আরও নজরদারি বাড়াতে বদ্ধ পরিকর স্বাস্থ্য দফতর।

কোভিডের নতুন নতুন ভ্যারিয়েন্ট সামনে আসছে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এই নয়া ভ্যারিয়েন্টের দাপটও দেখা যাচ্ছে। ফলে সেই সমস্ত দেশ থেকে যাত্রী এলে তাঁদের ক্ষেত্রে কোন স্বাস্থ্য বিধি বলবৎ হবে সেটাও দেখার বিষয়। এই তালিকায় বাংলাদেশ, নিউজিল্যান্ড, জিম্বাবোয়ে, চিন, মরিশাস, দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দেশগুলি রয়েছে। এই দেশগুলি থেকে যাঁরা আসছেন, সেই দেশের যাত্রীদের উপর যেন নজরদারি ঠিক মতো হয়, পুরো প্রক্রিয়াটি পর্যালোচনার জন্য এবং সে বিষয়ে দমদম বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে অবগত করার জন্য স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে যাতে সমন্বয় থাকে তা দেখার জন্যই এদিন এই বৈঠক ডাকা হয়। আরও পড়ুন: আততায়ী ডানহাতি, পেশাদারও নয়! মা-ছেলে খুনের ঘটনায় রহস্য বাড়ছে