Sweta Chakraborty: অয়নের অ্যাকাউন্ট থেকে কেন ধাপে ধাপে টাকা গিয়েছে আপনার অ্যাকাউন্টে? ব্যাখ্যা দিলেন শ্বেতা
Sweta Chakraborty: আরও একটি বিষয় উল্লেখ্য, ইডি- বলেছিল, তল্লাশির আগের রাতেই অয়ন শীলের কাছে শ্বেতার তরফে মেসেজ আসে। সেই চ্যাট হিস্ট্রি দেখে ইডি বলে, রেইডের বিষয়ে আগে থেকেই অয়নকে সাবধান করেছিলেন শ্বেতা।
অয়নের সঙ্গে আর্থিক লেনদেন প্রসঙ্গেও মুখ খোলেন শ্বেতা। তিনি বলেন, “চুঁচুড়ায় আমি ওঁর কাছ থেকে ফ্ল্যাট কিনি। আমার কাছে চুক্তির কাগজপত্রও রয়েছে। ফ্ল্যাট কেনার সময়ে টাকাও দিই। সেই ফ্ল্যাটটা আমি রেজিস্ট্রি করিনি। কারণ সেখান থেকে পরবর্তীকালে আমি চলে আসি। যেহেতু আমি রেজিস্ট্রি করিনি, তাই সেই টাকা আমাকে ফেরত দেন। ৫৫ লক্ষ টাকা আমার অ্যাকাউন্টে ফেরত দেন।”
ইডি- সূত্রে খবর, অয়নের সংস্থা ‘এবিএস ইনফোজোন প্রাইভেট লিমিটেড’ বিভিন্ন পুরসভায় নিয়োগের টেন্ডার পেতেন। সেই সংস্থাই ছিল ‘কাবাড্ডি কাবাড্ডি’ সিনেমার প্রযোজনার দায়িত্বে। ওই ছবিতেই ডেবিউ করেছিলেন অয়নের বান্ধবী শ্বেতা চক্রবর্তী। আর প্রথম সিনেমাতেই মোটা অঙ্কের পারিশ্রমিক নিয়েছিলেন অয়ন-বান্ধবী। এই বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হয় শ্বেতাকে। তাঁর উত্তর, “আমি পারিশ্রমিকবাবদ কোনও টাকা নিইনি। ছবিতে আমি অভিনয় করেছি। ছবিটা এখনও রিলিজ হয়নি। ডাবিংও শেষ হয়নি। আমি আগে মডেলিং করতাম। অনেক জায়গায় মডেলিং করেছি, কিছু শর্ট ফিল্ম করেছি।” তাহলে কি অয়ন শীল প্রযোজক বলেই এই ছবি ডেবিউ হল তাঁর? তিনি বলেন, “আমি তো নিজেই মডেলিং করতাম। সেই সূত্রেই কাজ পেয়েছি। পারিশ্রমিক নিই নি।” যদিও পরে তিনি স্বীকার করেছেন, পারিশ্রমিক নেননি বটে, তাঁকে অয়ন একটা গাড়ি ব্যবহার করতে বলেছিলেন, সেই গাড়ি তিনি নেন।
শ্বেতাকে প্রশ্ন করা হয়, বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটে নাকি তাঁরা মামা-ভাগ্নে পরিচয় দিয়ে থাকতেন? প্রশ্ন শুনতেই চটে যান শ্বেতা। তাঁর সপাটে জবাব, “এই গুলো সূত্র থেকে খবর পাচ্ছেন জানি না। আমি একজন মহিলা বলে এভাবে রঙ চড়িয়ে কথা বলছেন। আপনাদের চ্যানেলের টিআরপি বাড়বে বলে। সেটা তো বুঝতেই পারবেন। এটা এক জন মহিলার ফেস লস করছেন।” তবে ওই ফ্ল্য়াটটি যে তাঁর তা স্বীকার করেছেন শ্বেতা, সঙ্গে বলেছেন, সেখানে অয়ন কোনওদিনও যাতায়াত করেননি।
আরও একটি বিষয় উল্লেখ্য, ইডি- বলেছিল, তল্লাশির আগের রাতেই অয়ন শীলের কাছে শ্বেতার তরফে মেসেজ আসে। সেই চ্যাট হিস্ট্রি দেখে ইডি বলে, রেইডের বিষয়ে আগে থেকেই অয়নকে সাবধান করেছিলেন শ্বেতা। সে বিষয়ে প্রশ্ন করতে সাংবাদিককে সেই টিআরপি-তত্ত্ব দিয়েই উত্তর এড়িয়ে যান শ্বেতা। অয়ন যে নিয়োগ দুর্নীতি জড়িত তাও জানতেন না শ্বেতা, অন্তত দাবি তেমনই। তাঁকে ইডি ডাকলে, নিশ্চয়ই তিনি যাবেন বলেও জানালেন। এত কিছুর পরও কেন কীভাবে ইডি-র হাতে উঠে এল কেবল শ্বেতারই নাম? সেটার উত্তর অধরাই থাকল। আপাতত আইনি পরামর্শ নিচ্ছেন অয়ন বান্ধবী।