Tangra: ট্যাংরার অভিজাত দে পরিবারের রহস্যমৃত্যুর নেপথ্যে ইউক্রেন যুদ্ধের যোগ! কারণ জানলে শিউরে উঠবেন
Tangra: ২০২৩-২৪ সালে শেষবারের মতো ট্রেড লাইসেন্স পুনর্নবীকরণ করেছিল দে পরিবার। তাঁদের ফ্যাক্টরির দুটি ট্রেড লাইসেন্স ছিল। ২০২৪-২৫ সাল থেকে নতুন করে আর পুনর্নবীকরণ করা হয়নি বলে পুরসভার সূত্রে খবর।

কলকাতা: ট্যাংরাকাণ্ডে দে পরিবারের তিন মহিলা সদস্যের মৃত্যুতে ক্রমেই ঘনীভূত হচ্ছে রহস্য। বাড়ির মহিলা সদস্যদের রক্তাক্ত দেহ পড়েছিল তিন তলার ঘরের মেঝেতে। আর বাড়ির তিন পুরুষ সদস্য গাড়ি দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। কিন্তু গোটাতেই এখন রহস্য। মহিলারা কি আত্মঘাতী হয়েছেন? নাকি খুন? আর এই দুর্ঘটনাও কি ইচ্ছাকৃত? এই রকম হাজারও প্রশ্নের মধ্যে যে বিষয়টি ক্রমেই স্পষ্ট হয়েছে, তা হল সম্ভ্রান্ত দে পরিবারে ইদানীং তৈরি হওয়া অর্থনৈতিক কষ্ট। প্রসূন দে ও প্রণয় দে-র চামড়ার ব্যবসা ছিল। হ্যান্ড গ্লাভস তৈরি করে বিদেশেও এক্সপোর্ট করতেন তাঁরা। কিন্তু দে পরিবারের সেই ব্যবসায় মন্দা তৈরি হয়েছিল। তার কিছুটা আভাস মিলেছিল, তাঁদের এক সময়ের ব্যবসায়ীক পার্টনারের কথাতেই। কারণ চেক বাউন্স হচ্ছিল। এবার সামনে এল আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য।
২০২৩-২৪ সালে শেষবারের মতো ট্রেড লাইসেন্স পুনর্নবীকরণ করেছিল দে পরিবার। তাঁদের ফ্যাক্টরির দুটি ট্রেড লাইসেন্স ছিল। ২০২৪-২৫ সাল থেকে নতুন করে আর পুনর্নবীকরণ করা হয়নি বলে পুরসভার সূত্রে খবর। পুরসভায় দে পরিবারের দুই মালিক প্রসূন ও প্রণয় জানিয়েছিলেন, অর্থনৈতিকভাবে তাঁরা সম্পূর্ণরূপে ভেঙে পড়েছে। যে কারণে তাঁরা ফ্যাক্টরি চালাতে পারছে না। তাই নতুন করে লাইসেন্স আর পুনর্নবীকরণ করবে না। ফ্যাক্টরি দুটি পৃথক পৃথক ট্রেড লাইসেন্স ছিল।
পুরসভার সূত্রে খবর, ট্রেড লাইসেন্স বিভাগকে তাঁরা জানিয়েছিলেন, কর্মীদের বেতন দেওয়ার মতো অর্থ তাঁদের কাছে থাকছে না। অত্যন্ত সঙ্কটজনক অবস্থা হয়ে দাঁড়িয়েছে তাঁদের ফ্যাক্টরি এবং কাজকর্মের। ইউক্রেন যুদ্ধের সময় এক্সপোর্টাররা তাঁদের সঙ্গে কাজ করা বন্ধ করেছে। ৯ জনের মধ্যে ৬ জন মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। সব মিলিয়ে ব্যাপক অর্থনৈতিক সঙ্কটে তাঁরা পড়েছেন। এ কারণেই এই ফ্যাক্টরি আর চালাতে পারছেন না বলেই তাঁরা দাবি করেছিলেন। দুটি সংস্থা তৈরি করে ব্যবসা চালাতো। দুটি সংস্থাই বন্ধ করে দিয়েছে। সে কারণেই তদন্তকারীরা মনে করছেন, এই ঘটনার নেপথ্যে অর্থনৈতিক কারণ থাকতেই পারে।
আপাতত হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন প্রসূন ও প্রণয়। প্রণয়ের ছেলেও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর কাছ থেকে বয়ান সংগ্রহ করছে পুলিশ।





