Tangra: স্ত্রীদের গলা কেটে খুন করেছেন দুই ভাই-ই, প্ল্যান ছিল আরও বড়! পুলিশের কাছে দুই ভাইয়ের নতুন বয়ানে চাঞ্চল্যকর তথ্য
Tangra: সেই মতো ১৭ জানুয়ারি রাতে বাড়ির সবাই পায়েসের মধ্যে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খান। ১৮ জানুয়ারি সকালে ঘুম থেকে দুই ভাই দেখেন, তাঁদের মধ্যে ওষুধের কোনও প্রতিক্রিয়া হয়নি। তবে মেয়েটির মৃত্যু হয়েছে। বাড়ির বউদের মধ্যে আংশিক কাজ করেছে ওষুধ।

কলকাতা: ট্যাংরাকাণ্ডে পুলিশের কাছে নতুন বয়ান দুই ভাই প্রসূন দে ও প্রণয় দে-র। তাঁদের বয়ানে উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। ১০ ফেব্রুয়ারি আত্মহত্যার পরিকল্পনা। ১১ ও ১২ ফেব্রুয়ারি তাঁরা বিষয়টি নিজেদের কাছেই রাখেন। ১৩ ফেব্রুয়ারি বাড়ির বউদের গোটা প্ল্যানটা জানান। দুই ভাইয়ের স্ত্রী রোমি ও সুদেষ্ণা স্পষ্ট জানিয়ে দেন, আত্মহত্যা করতে হলে, তাঁরা একসঙ্গে ৬ জনই আত্মহত্যা করবেন। বাচ্চাদেরকে বাঁচিয়ে রাখতে চাইনি বউয়েরা। কারণ, বাবা মা ছাড়া বাড়ির বাচ্চারা অসহায় হয়ে পড়বে, এমনটাই মত ছিল রোমি-সুদেষ্ণার।
সেই মতো ১৭ জানুয়ারি রাতে বাড়ির সবাই পায়েসের মধ্যে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খান। ১৮ জানুয়ারি সকালে ঘুম থেকে দুই ভাই দেখেন, তাঁদের মধ্যে ওষুধের কোনও প্রতিক্রিয়া হয়নি। তবে মেয়েটির মৃত্যু হয়েছে। বাড়ির বউদের মধ্যে আংশিক কাজ করেছে ওষুধ।
তারপর ১৮ তারিখ দুপুরের দিকে বউদের হাত ও গলা কাটা হয়। এক্ষেত্রে দুই ভাই পুলিশের কাছে জানিয়েছেন, তাঁরাই খুন করেছেন গলা কেটে। খুনের পর দুই ভাই ও তাঁদের এক ছেলে হাত কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। কিন্তু সফল না হওয়ায় তারা বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়ে আত্মহত্যার পরিকল্পনা করেন। ছেলেটিকে মাঝপথে নামিয়ে দেওয়ার কথা বললে বা হাসপাতালে পাঠানোর কথা বলেছেন রাজি হযননি।
মন মত জায়গা না পাওয়ার জন্যই তাঁরা দীর্ঘ পথ ঘুরেছেন বলে দাবি করেন। একটি লরির পিছনে ধাক্কা মারার চিন্তা করলেও লরিওয়ালা ফেঁসে যাবেন বলে তা করেননি।
আপাতত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দুই ভাই ও নাবালক ছেলে। দুই ভাইয়ের মধ্যে প্রসূনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
