Bowbazar Blast: বউবাজার বিস্ফোরণের চক্রী খালিদকে মেয়াদের আগে ছাড়তে নারাজ রাজ্য
Bowbazar Blast: খালিদ আদালতের কাছে জানান, ৩০ বছরের বেশি সময় জেলে থাকাকালীন তাঁর চরিত্রে পরিবর্তন এসেছে। সমাজের মূলস্রোতে তিনি ফিরতে চান। গত মঙ্গলবার এই মামলার শুনানিপর্বে হাইকোর্ট জানায়, ১৫ দিনের মধ্যে খালিদকে মুক্তি দেওয়ার ব্যাপারে সেনটেন্স রিভিউ বোর্ড সিদ্ধান্ত নিক।

কলকাতা: ৩১ বছরের বেশি সময় ধরে লৌহকপাটের আড়ালে। এই তিন দশকে নিজের চারিত্রিক বদল হয়েছে বলে দাবি করে সমাজের মূল স্রোতে ফিরতে চাওয়ার আবেদন জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ বউবাজার বিস্ফোরণের চক্রী মহম্মদ খালিদ। এ নিয়ে এবার রাজ্যকে নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের বেঞ্চের নির্দেশ, মেয়াদ শেষের আগেই মুক্তি দিতে হবে বউবাজার বিস্ফোরণের অন্যতম চক্রীকে। তবে রাজ্য এ নিয়ে আদালতকে জানিয়েছে, কিছু জটিলতা আছে এই নির্দেশ কার্যকরের ক্ষেত্রে। সে কারণেই আদালত এই নির্দেশ কার্যকরে চার সপ্তাহের জন্য অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছে।
খালিদ আদালতের কাছে জানান, ৩০ বছরের বেশি সময় জেলে থাকাকালীন তাঁর চরিত্রে পরিবর্তন এসেছে। সমাজের মূলস্রোতে তিনি ফিরতে চান। গত মঙ্গলবার এই মামলার শুনানিপর্বে হাইকোর্ট জানায়, ১৫ দিনের মধ্যে খালিদকে মুক্তি দেওয়ার ব্যাপারে সেনটেন্স রিভিউ বোর্ড সিদ্ধান্ত নিক।
বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের বেঞ্চ জানিয়েছে, ‘এ ক্ষেত্রে স্পষ্ট যে আবেদনকারীর তিন দশকের চারিত্রিক পরিবর্তন সরকারের দৃষ্টি এড়িয়ে গিয়েছে। তাঁর অতীতের ছায়া যদি বর্তমানের উপর এতটা প্রভাব ফেলে, তা অনভিপ্রেত। শাস্তি দেওয়ার মূল উদ্দেশ্যই অপরাধীকে শুধরে সমাজের মূল স্রোতে ফেরানো।’
রাজ্য সরকারের অধীনে সেনটেন্স রিভিউ বোর্ড। যাবজ্জীবন সাজা হয় যাঁদের, এই বোর্ডে তা পুনর্বিবেচনা করার জন্য আবেদন করার সুযোগ থাকে। তবে নির্দিষ্ট সময়ের আগে মুক্তি পাওয়ার ক্ষেত্রে দণ্ডিতের বন্দিজীবনের আচার আচরণ, মানসিকতার বদল, অপরাধের গুরুত্বের সঙ্গে অপরাধীর শাস্তির সময়সীমা যথেষ্ট কি না সব কিছুই বিবেচনা করে দেখা হয়।
সাধারণত ১৪ বছর কেউ সাজা খাটার পর পুনর্বিবেচনা পর্ষদ সংশ্লিষ্ট বন্দির মুক্তির বিষয়টি পর্যালোচনা করে। খালিদ সেক্ষেত্রে ৩১ বছর ধরে জেলে সাজা খাটছেন। সেটা বিবেচনা করে ১৫ দিনের মধ্যে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এখন রাজ্য কী জানায়, সেদিকেই নজর। প্রসঙ্গত, ১৯৯৩ সালের ১৬ মার্চ সেন্ট্রাল কলকাতার বউবাজারে ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়। দু’টি বাড়িতে বিস্ফোরণে ৬৯ জন মারা যান। সেই দুই বাড়িতে বিস্ফোরক রেখেছিলেন রশিদ খানই।





