SIR: ‘কমিশন ছেলেখেলা করছে…’, SIR-এর ৭ দিন সময় বাড়ানো নিয়ে শুরু রাজনৈতিক জলঘোলা

SIR In WB: ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এনুমারেশন ফর্ম দেওয়া যাবে। ১৪ ফেব্রুয়ারি চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করার কথা। ফর্ম ডিজিটাইজেশনে দেরি হওয়ায় প্রথম থেকেই সময়সীমা বাড়ানোর জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন বিএলও-দের একাংশ। শেষমেশ সেই আবেদনে মান্যতা। বিজেপির তরফ থেকে বলা হচ্ছে, পুরোটাই কমিশনের সিদ্ধান্ত। কিন্তু তোপ দেগেছে তৃণমূল।

SIR: কমিশন ছেলেখেলা করছে..., SIR-এর ৭ দিন সময় বাড়ানো নিয়ে শুরু রাজনৈতিক জলঘোলা
কী বলছে তৃণমূল? Image Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Nov 30, 2025 | 4:21 PM

কলকাতা: সাত দিন বেড়েছে এসআইআর-এর সময়। ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এনুমারেশন ফর্ম দেওয়া যাবে। ১৪ ফেব্রুয়ারি চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করার কথা। ফর্ম ডিজিটাইজেশনে দেরি হওয়ায় প্রথম থেকেই সময়সীমা বাড়ানোর জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন বিএলও-দের একাংশ। শেষমেশ সেই আবেদনে মান্যতা। বিজেপির তরফ থেকে বলা হচ্ছে, পুরোটাই কমিশনের সিদ্ধান্ত। কিন্তু তোপ দেগেছে তৃণমূল। শাসকদলের বক্তব্য, এসআইআর নিয়ে ছেলেখেলা করছে কমিশন। মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, “আমাদের শুধু একটাই দুঃখ, অনেকগুলো প্রাণ চলে গেল। তারপর সময় বাড়ানো হল। আমি রোজই কোনও না কোনও ওয়ার রুমে আসছি, আমাদের ছেলেরা প্রাণ ঢেলে কাজ করছে। এরপর যদি রেফারি নিরপেক্ষ না হয়,  যে কোনও বল পায়ে লাগলেই যদি রান আউট হয়ে যায়, তাহলে মুশকিল হয়ে যাবে।”

তৃণমূলের বক্তব্য, আসলে তো বিজেপি কমিশনকে একটা টার্গেট ফিক্সড করে দিয়েছে। এক কোটি ২০ লক্ষ! সেই টার্গেট যেহেতু এই সময়ে পূরণ হয়নি, তাই সময় বাড়ানো হচ্ছে। তৃণমূল মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তী বলেন, “এটা কি ছেলেখেলা চলছে? বিজেপির টার্গেট মানে ১ কোটি ২০ লক্ষ নাম বাদ দেওয়া না পর্যন্ত এসব চলবে। আসলে বিজেপির টার্গেট পূরণ হয়নি। কারণ তৃণমূলের বিএলএ রা জোনার মার্কিং করে বিএলও-দের সঙ্গে দাঁড়িয়ে থেকে কাজ করেছে। সমস্ত তথ্য আমাদের অ্যাপেও নথিভুক্ত করা হয়েছে। তাই কোনও রকমের জাল করতে হলেই ধরা পড়বে।”

কমিশনের সিদ্ধান্ত নিয়ে কেবল তৃণমূল নয়, বামেরাও বিরক্ত। প্রাথমিক পর্যায়ে ফর্ম ডিজিটাইজেশনের ক্ষেত্রে যে সমস্যা গুলো হচ্ছিল, তাতে কমিশনের সিদ্ধান্ত নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে বামেরা।  মহম্মদ সেলিম বলেন, “কীভাবে ফর্ম ফিল আপ করাবে, তার প্রশিক্ষণ দেওয়া হল না। বিজ্ঞাপন দিয়ে তো বলতে পারত, কী করতে হবে আন কী করতে হবে না। বিএলও-দের সত্যিই ওষ্ঠাগত প্রাণ। কারণ প্রতিদিন কাজ পাল্টাচ্ছে।”

প্রসঙ্গত, এসআইআর-এর ফর্ম যখন ডিজিটাইজ করে অ্যাপে আপলোডের নির্দেশ এসেছিল, তখন থেকেই বিএলও-দের একাংশের তরফ থেকে সময় বাড়ানো নিয়ে আবেদন জানানো হচ্ছিল। CEC জ্ঞানেশ কুমারের সঙ্গে বৈঠকে জেলাশাসকদের তরফেও এই বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছিল। কিন্তু জ্ঞানেশ কুমার স্পষ্ট করে দেন, কোনওভাবেই সময় বাড়ানো হবে না। কিন্তু পরবর্তীতে সময় এক সপ্তাহ বাড়ানো হয়েছে। যা নিয়েই শুরু হয়েছে জলঘোলা।

যদিও বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্য, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো বলেছিলেন, ২ বছর সময় লাগে এসআইআর করতে। ২ বছর সময় দেওয়া উচিত। আমরাও দাবি করছিলাম, রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করে এসআইআর করানো হোক। “