কলকাতা: বাংলায় ভোট (Post Poll Violence in Bengal) পরবর্তী হিংসা নিয়ে উদ্বিগ্ন রাজ্যপাল। মুখ্যমন্ত্রী পদে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) শপথবাক্য পাঠ করানোর কয়েক ঘণ্টা আগেই ট্যুইটে তোপ দাগলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankar)।
রাজ্যপাল লেখেন, “এরকম হিংসার ঘটনা গণতন্ত্রের লজ্জা। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটেছে। এই অবনতি অবহেলা করার মতো নয়।” প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে কথা বলার পরই ট্যুইটে তোপ দাগলেন রাজ্যপাল।
Concerned at unabated reports of unprecedented post poll retributive heart rendering violence inspite of flagging this @MamataOfficial @WBPolice @KolkataPolice.
Such senseless violence shames democracy. Such collapse of law and order will neither be overlooked nor countenanced.
— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) May 5, 2021
মঙ্গলবারই পশ্চিমবঙ্গে ভোট পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে (Governor Jagdeep Dhankhar) ফোন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)।
আগেই এই ইস্যুতে রাজ্যের কাছে রিপোর্ট চেয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। অন্য দিকে, মঙ্গলবারই এই ইস্যু নিয়ে আলোচনা করতে রাজ্যে আসেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাও। রাজ্যপাল ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রীকে বাংলার অশান্তি, হিংসা, লুঠপাটের বর্ণনাও দিয়েছেন।
ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকেই রাজ্যের কলকাতা-সহ রাজ্যের একাধিক জেলা থেকে রাজনৈতিক হিংসার খবর এসেছে। শুধু বিজেপি নয়, অন্যান্য দলের কর্মীদের মৃত্যুর খবরও সামনে এসেছে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে সরব হয়েছে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে না বলেও অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা।
বাংলার হিংসার প্রতিবাদে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের দিনই ধরনা কর্মসূচি নিয়েছে বিজেপি। কিন্তু হেস্টিংসের কর্মসূচিতেও অনুমতি দিল না পুলিস। এই তিন মোট তিন জায়গায় কর্মসূচির অনুমোদন দিল না পুলিশ।
আরও পড়ুন: বেসামাল করোনা! ‘ল্যান্ডস্লাইড ভিকট্রি’ পেয়েও অনাড়ম্বর ও সংক্ষিপ্ত শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান মমতার
এর আগে বিজেপি নেতৃত্ব ঠিক করে গান্ধী মূর্তি পাদদেশে ধরনায় বসবে। কিন্তু তাতে মেলে না অনুমোদন। এরপর মুরলিধর সেন সেনের কর্মসূচি ও শেষে হেস্টিংসের কর্মসূচিতেও অনুমতি দেয় না পুলিশ। বাধ্য হয়েই বিজেপি নেতৃত্ব ঠিক করে হেস্টিংসের দফতরে চার তলায় বসবে ধরনা। পুলিশের অনুমতি না পেয়েই জায়গা বদল করা হয়েছে। হেস্টিংসের দফতরের পাশে মোতায়েন রয়েছে পুলিশ।