বেসামাল করোনা! ‘ল্যান্ডস্লাইড ভিকট্রি’ পেয়েও অনাড়ম্বর ও সংক্ষিপ্ত শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান মমতার

রাজ্য জুড়ে করোনা পরিস্থিতির বাড়বাড়ন্ত। এই আবহে তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।

বেসামাল করোনা! 'ল্যান্ডস্লাইড ভিকট্রি' পেয়েও অনাড়ম্বর ও সংক্ষিপ্ত শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান মমতার
ছবি- পিটিআই
Follow Us:
| Updated on: May 05, 2021 | 9:16 AM

কলকাতা: যাকে বলে ল্যান্ডস্লাইড ভিকট্রি!  তবুও তার সেলিব্রেশন একেবারেই জাঁকজমকহীন। রাজ্য জুড়ে করোনা পরিস্থিতির বাড়বাড়ন্ত। এই আবহে তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আর সেকথা মাথায় রেখেই এবারের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান হবে একেবারেই  জাঁকজমকহীন ও সংক্ষিপ্ত।

আজ তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সকাল পৌনে ১১টা নাগাদ রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের উপস্থিতিতে রাজভবনে হবে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান। রাজভবনের থ্রোনরুমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শপথবাক্য পাঠ করাবেন রাজ্যপাল। আমন্ত্রিতদের তালিকায় রয়েছেন শাসলকদলের প্রতিনিধিরা। পাশাপাশি, অনান্য রাজনৈতিক দলের নেতাদেরও থাকার কথা শোনা যাচ্ছে। আমন্ত্রিত হয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু, কংগ্রেস সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য।

অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিক ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল, ভোট কৌশুলী প্রশান্ত কিশোর, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আমন্ত্রণ করা হয়েছে রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও বিজেপি পরিষদীয় দলের প্রাক্তন নেতা মনোজ টিগ্গাকেও।

শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে তেমন যে বড় কোনও আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠান হবে না, এ কথা আগেই জানিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৫০ জন অতিথিকে নিয়ে বুধবার তৃতীয় বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সকাল ১০টার সময়ে তিনি কালীঘাটের বাড়ি থেকে বেরোবেন। ১০.২০ নাগাদ পৌঁছবেন রাজভবনে। পৌনে ১১টার সময়ে শপথগ্রহণের পর সরাসরি চলে যাবেন নবান্নে। মুখ্যমন্ত্রীর শপথগ্রহণের পর রাজভবনে একটি চা চক্রের আয়োজন করা হয়েছে। তারপরই মমতা চলে যাবেন নবান্নে। সেখানে সাড়ে ১১টা থেকে বৈঠক রয়েছে।

আরও পড়ুন: করোনা পরীক্ষা করতে হিমশিম খাচ্ছে ল্যাব, চাপ কমাতে আরটি-পিসিআর পরীক্ষায় নতুন নিয়ম জারি কেন্দ্রের

একদিকে. করোনা পরিস্থিতি, অন্যদিকে রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা – এই দুই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে কী সিদ্ধান্ত তিনি নেন, সেই দিকেই তাকিয়ে রয়েছে রাজনৈতিক মহল।