করোনা পরীক্ষা করতে হিমশিম খাচ্ছে ল্যাব, চাপ কমাতে আরটি-পিসিআর পরীক্ষায় নতুন নিয়ম জারি কেন্দ্রের

প্রতিটি রাজ্যেই করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় আরটি-পিসিআর টেস্ট করানোর হিড়িক লেগেছে। এই পরিস্থিতিতে ল্যাবগুলি থেকেও রিপোর্ট দিতে দেরী হচ্ছে।

করোনা পরীক্ষা করতে হিমশিম খাচ্ছে ল্যাব, চাপ কমাতে আরটি-পিসিআর পরীক্ষায় নতুন নিয়ম জারি কেন্দ্রের
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: May 05, 2021 | 10:29 AM

নয়া দিল্লি: দেশে নিত্যদিন বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে টেস্ট, ট্রাক ও ট্রিটমেন্টের উপরই জোর দেওয়া হয়েছে। কিন্তু দৈনিক সাড়ে তিন লাখেরও বেশি রোগীর ঠেলায় পরীক্ষা করাই সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই বিষয়ে নাথায় রেখেই করোনা পরীক্ষার নিয়মে বেশ কিছু বদল আনল। এ বার থেকে আন্তরাজ্য যাতায়াতের জন্য লাগবে না কোভিড টেস্টের নেগেটিভ রিপোর্ট।

কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়, বর্তমানে দেশে ২৫০০-রও বেশি ল্যাবরেটরিতে করোনা পরীক্ষা হয়। প্রতিদিনই ল্যবগুলিতে যে সংখ্যক মানুষ পরীক্ষা করাতে আসছেন, তাতে বিপুল চাপের সৃষ্টি হচ্ছে এবং রিপোর্ট পেতেও দু-তিনদিন দেরী হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যগুলিকে নতুন নির্দেশিকা দিল কেন্দ্র।

কেন্দ্রের তরফে বলা হয়েছে-

* কোনও সুস্থ ব্যক্তির আন্তরাজ্য যাতায়াতের জন্য আরটি-পিসিআর টেস্ট করার নিয়ম সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়া যেতে পারে। যে সমস্ত রোগীরা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছেন, তাদের নতুন করে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার সময় পরীক্ষা করার প্রয়োজন নেই।

* যদি কোনও ব্যক্তি ব়্যাপিড টেস্ট বা আরটি-পিসিআর টেস্টে পজেটিভ ধরা পড়েন, তবে তাঁকে দ্বিতীয়বার পরীক্ষা করার কোনও প্রয়োজন নেই।

এছাড়াও-

*করোনার উপসর্গ রয়েছে, এমন ব্যক্তিদের যাতায়াত বা ভ্রমণ যথাসম্ভব এড়িয়ে চলতেই বলা হয়েছে।

*উপসর্গহীন সমস্ত ব্যক্তির ক্ষেত্রে কোভিড বিধি অর্থাৎ মাস্ক, স্যানিটাইজ়ার, গ্রাভস পরে উচিত সংক্রমণ এড়াতে।

প্রতিটি রাজ্যেই করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় আরটি-পিসিআর টেস্ট করানোর হিড়িক লেগেছে। এই পরিস্থিতিতে ল্যাবগুলি থেকেও রিপোর্ট দিতে দেরী হচ্ছে। সেই কারণেই অনেক রোগী আবার বেশি টাকা খরচ করে সরাসরি সিটি স্ক্যান করাচ্ছেন, যাতে ফুসফুসের সংক্রমণ ধারা পড়ে। কিন্তু এইমস প্রধান ডঃ রণদীপ গুলেরিয়া জানান, সিটি স্ক্যানের অপব্যবহার বিপদ ডেকে আনতে পারে।

আরও পড়ুন: শক্তপোক্ত, সাইজে ছোট ও ‘পকেট ফ্রেন্ডলি’, কীভাবে পাবেন ‘নতুন’ আধার কার্ড?