Anubrata Mondal: ‘এবার হলে আর বরদাস্ত করবে না দল’, কেষ্টকে ‘লাস্ট ওয়ার্নিং’ তৃণমূলের

Anubrata Mondal: সাম্প্রতিককালে বীরভূমে অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে কম চাপানউতোর হয়নি। পুলিশকে কদর্য ভাষায় হুমকির অভিযোগ থেকে কাজল-কেষ্ট দ্বন্দ্ব, রাজনীতির আঙিনায় জলঘোলাও কম হয়নি। এমতাবস্থায় কেষ্ট-কাজলের সঙ্গে আলাদা বৈঠকে কলকাতার হেভিওয়েটরা কী বার্তা দেন সেদিকে নজর ছিল রাজনৈতিক মহলের।

Anubrata Mondal: ‘এবার হলে আর বরদাস্ত করবে না দল’, কেষ্টকে ‘লাস্ট ওয়ার্নিং’ তৃণমূলের
অনুব্রত মণ্ডলImage Credit source: TV 9 Bangla GFX

| Edited By: জয়দীপ দাস

Jun 14, 2025 | 3:11 PM

কলকাতা: একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি বৈঠকে যোগ দিতে সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে কলকাতার উদ্দেশ্যে পাড়ি দিয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল, কাজল শেখরা। কিন্তু, কে জানত সেখানেই তাঁদের জন্য অপেক্ষা করছে বড়সড় ‘সারপ্রাইজ’। সূত্রের খবর, দুপুর ১টা নাগাদ ভবানীপুরে গীতবিতান ভবনে অনুব্রত পৌঁছাতেই তাঁর সঙ্গে কাজলকে নিয়ে বেরিয়ে যান ফিরহাদ হাকিম। সোজা চলে যান রাজ্য তৃণমূলের সভাপতি সুব্রত বক্সির দফতরে। সেখানেই আলাদা করে বেশ কিছুক্ষণ বৈঠক করেন কাজল। ছিলেন সুব্রত বক্সি নিজেও। ছিলেন অরূপ বিশ্বাসও।  

সাম্প্রতিককালে বীরভূমে অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে কম চাপানউতোর হয়নি। পুলিশকে কদর্য ভাষায় হুমকির অভিযোগ থেকে কাজল-কেষ্ট দ্বন্দ্ব, রাজনীতির আঙিনায় জলঘোলাও কম হয়নি। এমতাবস্থায় কেষ্ট-কাজলের সঙ্গে আলাদা বৈঠকে কলকাতার হেভিওয়েটরা কী বার্তা দেন সেদিকে নজর ছিল রাজনৈতিক মহলের। সূত্রের দাবি, বৈঠকে কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে বীরভূমের দুই নেতাকেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রক্তে ঘামে তৈরি এই পার্টি। কারও ব্যক্তিগত ইগোর লড়াই লড়তে গিয়ে দলের ক্ষতি বরদাস্ত করা হবে না। কাজল-অনুব্রতকে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন দলের নেতারা। সূত্র মারফত এও জানা যাচ্ছে, অনুব্রতকে চরম হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সুব্রত বক্সি। কুকথা কাণ্ড নিয়ে দেওয়া হয়েছে লাস্ট ওয়ার্নিং। আর এমন হলে বরদাস্ত করবে না দল। জানিয়ে দেওয়া হয়েছে সে কথাও। 

বছর ঘুরলেই বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে এবারে তৃণমূলের একুশ জুলাই যে আলাদা মাত্রা পাবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সে কারণেই প্রস্তুতি বৈঠকে কী কী ঠিক হয় সেদিকে নজর ছিল সব পক্ষের। সূত্রের খবর, দলের সমস্ত জেলার সভাপতি, জেলা চেয়ারম্যান ও বীরভূম এবং উত্তর কলকাতা জেলা তৃণমূলের কোর কমিটির সদস্যদের এই বৈঠকে ডাকা হয়েছে। বীরভূম ও উত্তর কলকাতার সংগঠনিক খোলনলচে বদলেছে কয়েকদিন আগেই। আর নেই কোনও জেলা সভাপতি। কাজ করছে কোর কমিটি। সে কারণেই এসেছিলেন অনুব্রত কাজলরা।