
কলকাতা: নবান্ন অভিযানের দিন তিলোত্তমার মা অভিযোগ তোলেন তাঁকে পুলিশ মেরেছে। যদিও, ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, এমন ঘটনা ঘটে থাকলে অবশ্যই পুলিশ খতিয়ে দেখবে। তবে এই অভিযোগে মামলা দায়ের হয় হাইকোর্টে। তিলোত্তমার মা-বাবা মামলা দায়ের করেন। মঙ্গলবার ছিল বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের একক বেঞ্চে এই মামলার শুনানি। যে বেসরকারি হাসপাতালে তিলোত্তমার মা ভর্তি ছিলেন, সেই হাসপাতালের নথি চেয়ে পাঠাল কোর্ট।
ইতিমধ্যেই আদালতের নির্দেশ মতো নিউ মার্কেট এবং শেক্সপিয়ার সরণী থানার তরফ থেকে রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে। তা দেখে বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ‘Zero FIR’ বা অন্য পদক্ষেপের প্রয়োজন আছে বলে মনে করছে না পুলিশ। অপরদিকে, রাজ্যের তরফ থেকে যে রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে সেটা পুরো রিপোর্ট নয় বলে মনে করছে আদালত। আগামী সোমবার পরবর্তী শুনানি।
এ দিন, প্রথম পর্যায়ে শুনানি চলার সময় মামলাকারীর আইনজীবী আদালতে জানান, বিভিন্ন জায়গায় মারের চিহ্ন ছিল তিলোত্তমার মায়ের। তাঁর কপালে এবং পিঠে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এরপরেই, রাজ্যের থেকে রিপোর্ট তলব আদালতের। বস্তুত, নবান্ন অভিযানে গিয়ে মাথায় আঘাত পেয়েছেন তিলোত্তমার মা। এই অভিযোগে পুলিশের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন তাঁরা। আর কীভাবে সেই আঘাত লাগল, তা নিয়েই চরম জলঘোলা হয়। পরবর্তীতে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে বাড়ি ফেরেন তিনি। তবে তিলোত্তমার মায়ের ইনজুরি রিপোর্টের বয়ান নিয়েই বিস্তর অসঙ্গতি ধরে পড়ে। তিলোত্তমার বাবার অভিযোগ, হাসপাতালের তরফ থেকে বদল করে দেওয়া হয় মেডিক্যাল রিপোর্ট। ডিসচার্জ রিপোর্টে ছিল না আঘাত নিয়ে রোগীর বয়ান। শেষে তিলোত্তমার বাবা ও আইনজীবীর প্রশ্নের মুখে পড়ে রিপোর্ট বদল করে মায়ের অভিযোগ উল্লেখ করা হয়। এরপরই সরব হন তাঁরা।