
কলকাতা: বিতর্ক-চাপানউতোর, একরাশ প্রশ্ন নিয়েই হয়ে গিয়েছে এসএসসি-র নতুন শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা। আবেদনকারীর সংখ্যা, মোট ৫ লক্ষ ৬৫ হাজার। ৭ সেপ্টেম্বর হয়ে গিয়েছে নবম-দশমের পরীক্ষা, একাদশ-দ্বাদশের পরীক্ষা হয়ে গিয়েছে ১৪ সেপ্টেম্বর। এরমধ্যে ৭ তারিখ নবম-দশমের পরীক্ষায় আবেদনকারীর সংখ্যা ছিল ৩ লক্ষ ১৯ হাজার ৯১৯ জন। ১৪ তারিখ একাদশ-দ্বাদশের আবেদনকারী সংখ্যা ছিল ২ লক্ষ ৪৬ হাজার। কিন্তু কবে বের হবে রেজাল্ট তা নিয়ে চাপনউতোর চলছেই।
যদিও পরীক্ষার পরেই সাংবাদিক বৈঠকে বসেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ও এসএসসি-র চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার। সেখানেই জানান হয়েছিল পুজোর পরেই বেরিয়ে যাবে ফল। তবে দিনক্ষণ জানান হয়নি। সূত্রের খবর, কালীপুজোর পর অর্থাৎ অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে বের হতে পারে রেজাল্ট। অক্টোবরের শেষ সপ্তাহকেই রেজাল্ট প্রকাশের ডেডলাইন ধরে কাজ করছে এসএসসি।
যদিও অক্টোবরে উৎসবের আবহে একাধিক ছুটি রয়েছে। সে ক্ষেত্রে যদিও অক্টোবরের শেষে ফলপ্রকাশ সম্ভব না হয় তাহলে তা নভেম্বরের শুরুতেই প্রকাশ হয়ে যাবে। তারপরই সামনে আসবে ইন্টারভিউয়ের তালিকা। আগের সাংবাদিক বৈঠকেই বলা হয়েছিল নভেম্বর মাস থেকে শুরু হয়ে যাবে ইন্টারভিউ পর্ব। তা চলবে বেশ কিছু দিন। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যেই নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হয়ে যাবে।
দুর্নীতির অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টের ২০১৬ সালের পুুরো প্যানেলই বাতিল হয়ে যায়। প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল হয়ে যায়। কলকাতা হাইকোর্ট থেকে জল গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে। কিন্তু চাকরি আর ফেরেনি। এরইমধ্যে যোগ্য়-অযোগ্যদের নিয়ে চাপানউতোরের মধ্যেই নতুন পরীক্ষার কিছুদিন আগে ১৮০৬ জব দাগির নাম সামনে আনে এসএসি।