
কলকাতা: সময় বেঁধে দিয়েছিল কমিশন, ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজে রাজ্য সরকারি কর্মচারিদের বিরুদ্ধে বেনিয়মের অভিযোগ ওঠায় তাঁদের চাকরি থেকে সাসপেন্ড করে এফআইআর দায়ের করার সুপারিশ করেছিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। পাল্টা চিঠি লিখে রাজ্য কমিশনকে জানিয়েছিল নির্বাচনি কাজ থেকে সংশ্লিষ্ট কর্মচারীদের সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এতে মন ভরেনি কমিশনের। দিল্লিতে ডাক পড়ে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের। বেঁধে দেওয়া সময় বৃহস্পতিবার শেষ হতে না হতেই জানা গেল রাজ্য সরকার অভিযুক্ত কর্মচারিদের সাসপেন্ড করেছে। কিন্তু, কারও বিরুদ্ধে কোনও এফআইআর দায়ের করেনি। তবে বলা হয়েছে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত করে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। এমতাবস্থায় ওয়াকিবহাল মহল বলছে নবান্ন নির্বাচন কমিশনের চাপের মুখে ভাঙল তবু মচকাল না।
সম্প্রতি এই ইস্যুতে সুর চড়াতে দেখা গিয়েছিল রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানকে। কমিশনের বিরুদ্ধে তোপ দেগে মমতা বলেছিলেন, “কোনও অফিসারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। আমি প্রাণ দিয়ে রক্ষা করব।” তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে বিস্তর চাপানউতোর হয়। এরইমধ্যে দিল্লিতে ডাক পড়ে মুখ্যসচিবের।
গুরুতর অভিযোগ উঠেছিল বারুইপুর পূর্বের ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার (ERO) দেবোত্তম দত্ত চৌধুরী, ওই কেন্দ্রের AERO তথাগত মণ্ডল, আর ময়নার ইআরও বিপ্লব সরকার এবং ওই কেন্দ্রের AERO সুদীপ্ত দাসের বিরুদ্ধে। তালিকায় নাম ছিল সুরজিৎ হালদার নামে এক ডেটা এন্ট্রি অপারেটরের। বাস্তবে কোনও অস্তিত্বই নেই, এমন অফিসারের নাম তুলে দেওয়া হয়েছে ভোটার লিস্টে। এই অভিযোগেই ৫ জনের বিরুদ্ধে সাসপেন্ডের পাশাপাশি এফআইআর দায়েরের কথা বলেছিল নির্বাচন কমিশন। তীব্র বিতর্কের মধ্যেই পরবর্তীতে রাজ্য শুধু AERO সুদীপ্ত দাস ও ডেটা এন্ট্রি অপারেটর সুরজিৎ হালদারকে কমিশনের কাজ থেকে অব্যাহতি দিয়ে দেয়।