
কলকাতা: রাজনৈতিক দল যাই হোক না কেন, শাসক-বিরোধী তরজা দেখতেই অভ্যস্ত বাংলার মানুষ। কিন্তু বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের চলে যাওয়ায় শুধুই সৌজন্যের স্মৃতি হাতড়াচ্ছেন কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য। বুদ্ধবাবু যখন রাজ্যের মুখ্যনমন্ত্রী ছিলেন, বিরোধী দল কংগ্রেসের প্রদেশ সভাপতি তখন প্রদীপ ভট্টাচার্য। তখনও তাঁদের মধ্যে কখনও সৌজন্যের অভাব হয়নি বলেই জানালেন প্রদীপ ভট্টাচার্য।
বৃহস্পতিবার সকালে পাম অ্যাভিনিউয়ের ফ্ল্যাটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন প্রাক্ত মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। ওই একই কমপ্লেক্সে থাকেন প্রদীপ ভট্টাচার্য। রাজনৈতিক বিরোধ থাকলেও, বরাবর সৌজন্যের সম্পর্ক রেখেছেন, এ দিন সে কথাই বলেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা। ছিল একটা সামাজিক বন্ধুত্বও।
স্মৃতিচারণ করে প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন, “একই কমপ্লেক্সে থাকতাম। উনি তখন মুখ্যমন্ত্রী। আমি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। সেই সময় আমি বাংলা বন্ধের ডাকও দিয়েছি। কিন্তু কখনও রাজনৈতিক তিক্ততা তৈরি হয়নি। সবসময় একটা সৌজন্য ছিল, সামাজিক বন্ধুত্ব ছিল। সেটা আমরা কখনও ভাঙতে দিইনি, উনিও ভাঙেননি।” আজ নতুন প্রজন্মের রাজনীতিতে সেই সৌজন্য চলে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বাংলার রাজনীতির ক্ষেত্রে বড় শূন্যতা তৈরি হল বলে উল্লেখ করেন প্রদীপ ভট্টাচার্য। কথা বলতে গিয়ে গলা কেঁপে আসে তাঁর। বলেন, “কোভিভের সময় যখন ফিরে এল, তখন ভেবেছিলাম আরও অনেকদিন থাকবে। আজ বন্ধুকে হারালাম। সময় হয়েছিল… কিছু করার নেই।”