Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Mamata on DA Agitation : যে চোর ডাকাতগুলো চিরকুটে চাকরি পেয়েছিল এখন ডিএ-র ওখানে বসে আছে: মমতা

Mamata on DA Agitation : “ওদের একটা ফাইল খুঁজুন, পাবেন না। ২০০১ সালের ফাইল খুঁজন, পাবেন না। লুকিয়ে রেখেছে। ২০০২, ২০০৯, ২০২০ এর খুঁজুন পাবেন না। হয় চুরি করেছে, নয় পুড়িয়ে দিয়েছে, নয় লুকিয়ে রেখেছে।” মমতার নিশানায় সিপিএম।

Mamata on DA Agitation : যে চোর ডাকাতগুলো চিরকুটে চাকরি পেয়েছিল এখন ডিএ-র ওখানে বসে আছে: মমতা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 29, 2023 | 8:54 PM

কলকাতা : কয়েকদিন আগেই হয়েছে বনধ। দফায় দফায় চলেছে কর্মবিরতি। প্রাপ্য ডিএ-র দাবিতে (DA Agitation) লাগাতার আন্দোলনে সামিল হয়েছে সরকারি চাকুরিজীবীদের একটা বড় অংশ। এবার সেই আন্দোলনকারীদেরই ‘চোর-ডাকাত’ বলে কটাক্ষ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee)। কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে রেড রোডে দুদিনের ধরনায় বসেছেন তিনি। সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে এদিন বিজেপির তুলোধনা করতে গিয়ে এক হাত নিলেন সিপিএমকেও (Mamata attacks CPIM)। বললেন, “যে চোর ডাকাতগুলো চিরকুটে চাকরি পেয়েছিল সব গিয়ে ডিএ-র ওখানে বসে রয়েছে। তাঁদের কাছে আমায় জ্ঞান শুনতে হবে? সব চোর-ডাকাত।” 

পাল্টা তোপ দেগেছে ডিএ আন্দোলনকারীরাও। বলছেন, “চিরকুটের অভ্যাস আসলে ওঁর‌ ভাল আছে। তাই বিধানসভায় ৩ শতাংশ ডিএ ঘোষণা চিরকুটে করেছিলেন। উনি যে চাপে পড়েছেন বোঝা যাচ্ছে। তাই নিজের সরকারি কর্মচারী, শিক্ষক, অধ্যাপক, সচিবালয়ের একাংশের কর্মীকে চোর-ডাকাত বলছেন। এ সব কথা যত বলেন তত‌ই মঙ্গল। তাঁর আশপাশে যাঁরা থাকেন তাঁরা‌ই চিরকুটে চাকরি পান। আমরা নয়।”

এদিকে মমতার নির্দেশেই বাম আমলের নিয়োগ দুর্নীতির ময়নাতদন্তে ব্যস্ত তৃণমূল নেতারা। পঞ্চায়েতের আগেই বাম দুর্নীতির শ্বেতপত্র সামনে আসবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে দিয়েছেন সেচ মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। মুখে আদর্শের কথা বললেও ‘সাধু’ নয় বামেরা, প্রায় রোজই এ কথা বলছেন কুণাল ঘোষ, ব্রাত্য বসুর মতো নেতারা। সিপিএমের চিরকুটে চাকরি নিয়ে জোর চর্চা চলছে সোশ্য়াল মিডিয়া। প্রশ্নের মুখে বাম নেতা সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রীর চাকরি। চাকরিতে স্বজনপোষণের অভিযোগ পশ্চিম মেদিনীপুরের দাপুটে সিপিএম নেতা সুশান্ত ঘোষের বিরুদ্ধে। 

মমতার দাবি, “প্রাইমারি স্কুল হোক, মাধ্যমিক স্কুল হোক, যত কাগজ বেরোচ্ছে এখন সব সিপিএমের লোকেরা করছে বিভিন্ন জায়গায় বসে থেকে। ওদের একটা ফাইল খুঁজুন, পাবেন না। ২০০১ সালের ফাইল খুঁজন, পাবেন না। লুকিয়ে রেখেছে। ২০০২, ২০০৯, ২০২০ এর খুঁজুন পাবেন না। হয় চুরি করেছে, নয় পুড়িয়ে দিয়েছে, নয় লুকিয়ে রেখেছে। আর আজকে তোমার গলার বেশি জোর। সিপিএমের মুখপত্রে যাঁরা চাকরি করে তাঁদের স্ত্রীরা সব শিক্ষকতার চাকরি পেয়েছেন। কী করে? খুলব খাতাটা?”