Jadavpur University Case: যাদবপুরকাণ্ডে গ্রেফতার আরও তিন
Jadavpur University Case: আগেই গ্রেফতার করা হয়েছে ৯ জনকে। এবার গ্রেফতার করা হল আরও তিন জনকে। তালিকায় দুই প্রাক্তনী ও এক বর্তমান পড়ুয়া।
কলকাতা: বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) অভ্যন্তরীন তদন্ত কমিটির রিপোর্টেও উঠে এসেছে র্যাগিংয়ের তত্ত্ব। ঘটনার তদন্তে মাঠে নেমেছেন লালবাজারের তাবড় তাবড় গোয়েন্দারা। আগেই গ্রেফতার করা হয়েছে ৯ জনকে। এবার গ্রেফতার করা হল আরও তিন জনকে। মোট গ্রেফতারের সংখ্যা দাঁড়াল ১২। এদিন গ্রেফতার করা হয়েছে শেখ নাসিম আক্তার, হিংমাশু কর্মকার, সত্যব্রত রায়কে। এরমধ্যে নাসিম যাদবপুরের প্রাক্তনী বলে জানা যাচ্ছে। রসায়নে স্নাতকোত্তর পাশ আউট। অন্যদিকে হিমাংশুর পড়াশোনা গণিত নিয়ে। সেও প্রাক্তনী। সত্যব্রত রায়ের পড়াশোনা চলছে কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে। বর্তমানে সে চতুর্থবর্ষের ছাত্র বলে জানা যাচ্ছে। এই সত্যব্রতই ঘটনার দিন ডিনকে ফোন করেছিলেন বলে পুলিশ সূত্রে খবর। ফোন করে মিথ্যা ঘটনার ন্যারেটিভ দিয়েছিল বলে জানতে পারা যাচ্ছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, এই তিনজকে বারবার জেরা করা হলেও বারবার বয়ান বদল করছিল। তিনজনই অভিযুক্ত সৌরভ চৌধুরীর খুব কাছের বলে জানা যাচ্ছে। যাদবপুরকাণ্ডে প্রথম গ্রেফতার করা হয়েছিল এই সৌরভ চৌধুরীকে। সেও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী। গত বছর স্নাতকোত্তর পাশ করলেও থাকছিল মেইন হস্টেলেই। এদিন গ্রেফতার হাওয়া তিনজনের মধ্যে শুধু সত্যব্রতকে আগেও জিজ্ঞাসাবাদ হয়েছিল বলেও জানা গিয়েছে। বাকি দুই প্রাক্তন পড়ুয়া ঘটনার পর হস্টেল ছেড়ে চলে গিয়েছিল।
প্রসঙ্গত, যাদবপুরের বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র মৃত্যুর তদন্তে একদিন আগেই ডিন অফ স্টুডেন্টস রজত রায়কে ডেকে পাঠিয়েছিল লালবাজার। তাঁর আগে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসুকে। সূত্রের খবর, যাদবপুরের অভ্যন্তরীন তদন্ত কমিটির কাছে পুরো RAGGING এর সময়ে উপস্থিত থাকার কথা স্বীকার করেছে সত্যব্রত। তাঁকে আবার ডিনকে ফোন করতে জোর করেছিল তাঁর সিনিয়ররা। জিজ্ঞাসাবাদের সময়, সে এমনটাই জানিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ঘটনার কথাও স্বীকার করেছে। তবে হস্টেলের তিন তলার ব্যালকনি থেকে ওই ছাত্রের পড়ে যাওয়ার সময় সে ছিল না বলে দাবি করেছে। অন্যদিকে নাসিম আখতার আবার স্বীকার করেছে, সে RAGGING এর সময় ওই ঘরেই ছিল।