কলকাতা: সামনে রাখা অজস্র সংবাদ মাধ্যমের বুম। চেয়ারে বসে রয়েছেন তিলোত্তমার মা-বাবা। চারপাশে রয়েছেন বাড়ির লোক, প্রতিবেশী থেকে জুনিয়র চিকিৎসকদের একাংশ। সকলেই তাকিয়ে আছেন তাঁদের দিকে। কী বলবেন? তিলোত্তমার বাবা আগেই জানিয়েছিলেন তিনি প্রশ্নের উত্তর দেবেন না, শুধু প্রশ্ন করবেন। ফলে সবাই তাকিয়ে কী বলবেন? তিলোত্তমার বাবাকে প্রশ্ন করতে দেখা গেলেও, খুব বেশি কথা বলতে পারলেন না। হাজার-হাজার জনতার সামনে কথা বলতে গিয়ে ধরে এল গলা….খানিকটা সামলালেন নিজেকে। আন্দোলনকারীদের ‘সন্তানসম’ বলে অনেক আশীর্বাদ করলেন।
গতকাল রাত দখলের প্রতিবাদ কর্মসূচিতে আরজি করে উপস্থিত হয়েছিলেন তিলোত্তমার মা-বাবা। আন্দোলনকারীদের মতো মেয়েদের দোষীদের শাস্তির দাবি জানাতে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে গিয়েছিলেন তাঁরা। সেখানে তিলোত্তমার মা প্রথমে বলেন, “আরজি কর যেমন আমার পাশ থেকে একটা মেয়ে কেড়ে নিয়েছে, তেমন লক্ষ-লক্ষ ছেলে মেয়েকে আমার পাশে দিয়েছে। এটা আমার যেমন হারানোর তেমন প্রাপ্তিরও। তাই ওদের পাশে দাঁড়াতে পেরে আমিও শান্তি পেয়েছি। এতদিন গুমড়ে-গুমড়ে আর পারছি না। এরা সবাই আমার ছেলে মেয়েদের মতো। আর যাঁরা নাগরিক আমার মেয়ের জন্য পথে নেমেছেন তারাই আমার শক্তি।”
এরপরই চোখ বন্ধ করে নেন তিলোত্তমা মা। ধরে আসে গলা। দাঁতে দাঁত চেপে বলেন, “সেই রাতে আমার মেয়ের চিৎকার, মা মা করে হয়ত কত কেঁদেছিল। আমি শুনতে পাইনি।” এরপর খানিকটা শক্ত হয়ে বললেন, “যাঁরা আমার মেয়ের সঙ্গে এই ঘটনা ঘটিয়েছে, আমি চাই তাঁরাও ঘুম হারা হোক। তাঁরাও যেন আমার মতো প্রতিনিয়ত এই কষ্টটা পায়।” এরপর তাঁর আর্জি সমাজের সকল মানুষের কাছে, “আমরা যতদিন না বিচার পাই আপনারা পাশে থাকুন।”
আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)