TMC: ‘ভোটারদের মন বুঝতে বাংলায় ঘুরছে এজেন্সি, ঢুকে পড়ছে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপেও’, নেতাদের সতর্ক করল TMC
TMC: উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এটা স্পষ্ট করে দেন, বিভিন্ন এজেন্সির নাম করে বাড়ি বাড়ি যাচ্ছে 'কুচক্রীরা'। আদতে জানতে চাওয়া হচ্ছে, কাদের ভোট দিয়েছিলেন, আগামী দিনে কাকে চান? এরকমও ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল, দলেরও হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে এজেন্টরা ঢুকে পড়ছে।

কবকাতা: আগেই সতর্ক করেছিল তৃণমূল। বাঁকুড়ায় জনমত সমীক্ষা করতে গিয়ে পুলিশের জালে দুই মহিলা-পাঁচ। ভুয়ো পরিচয় দিয়ে তথ্য সংগ্রহ করছিলেন বলে ধৃতদের বিরুদ্ধে অভিযোগ। তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে দলীয় নেতাদের হোয়াটসঅ্যাপে গ্রুপে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল। তাতে বলা হয়েছিল, সেলসম্যান সেজে ভোটারদের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। তাতে নজর রাখতে হবে। হলুদ গুঁড়ো, লঙ্কার গুঁড়ো-এরকম নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস বিক্রি করার নামে এসে তথ্য সংগ্রহ করছে একদল। পাশাপাশি বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নাম ভাঁড়িয়ে জনমত সমীক্ষার নামে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।
উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এটা স্পষ্ট করে দেন, বিভিন্ন এজেন্সির নাম করে বাড়ি বাড়ি যাচ্ছে ‘কুচক্রীরা’। আদতে জানতে চাওয়া হচ্ছে, কাদের ভোট দিয়েছিলেন, আগামী দিনে কাকে চান? এরকমও ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল, দলেরও হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে এজেন্টরা ঢুকে পড়ছে।
গত ২১ তারিখের প্রশাসনিক সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “অসম থেকে, অনেক জায়গা থেকে বিভিন্ন লোক বিভিন্ন এলাকায় ঢুকছে। পুলিশকে বলব বি অ্যালার্ট। চোখ কান খোলা রেখে কাজ করতে হবে। বিভিন্ন পরিকল্পনা চলছে।”
সোমবারই বাঁকুড়ায় এই কাজ করতে গিয়ে পাঁচ জনের ধরা পড়ার পর বিষয়টি আরও মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। যদিও বিজেপি- নেতা দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, “এই কাজটা তৃণমূলই বেশি করে। প্রফেশনাল টিম রেখে টাকা দিয়ে রাজনীতিকে ব্যবসার জায়গায় নিয়ে গিয়েছি। শুধু অন্য পার্টির নয়, টিএমসি-র পার্টির নেতা, এমএলএ, এমপি-দের সঙ্গে যোগাযোগ করছে ওরা। কে কার সঙ্গে মিশছে, সেদিকে নজর রাখছে।”

