কলকাতা : রাজ্য সরকার বা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের (Jagdeep Dhankhar) সংঘাত নতুন নয়। বারবার বিভিন্ন ইস্যুতে সংঘাত তৈরি হয়েছে দু পক্ষের। রাজ্যপালকে সরানোর আর্জি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠিও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তবে, এবার সেই সংঘাত আরও প্রকট। দলীয় মুখপত্রে রাজ্যপালের (Governor) বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাল ঘাসফুল শিবির। বিলাসবহুল জীবনযাপণের জন্য কোনও বিশেষ রাজনৈতিক দলের পদলেহন করছেন রাজ্যপাল, সমালোচনা করতে গিয়ে এমন ভাষাই ব্যবহার করেছে তৃণমূল। সাংবিধানিক পদে থাকা কারও সম্পর্কে এমন সমালোচনা করা যায় কি না, সেই প্রশ্ন উঠেছে রাজনৈতিক মহলে।
রাজ্যপালের পদ নিয়ে তৃণমূলের ব্যাখ্যা, তাঁর চাকরি বা অবসর সবটাই নির্ভর করছে বিজেপির ওপর। ঘাসফুল শিবিরের দাবি, বিজেপির স্বার্থ চরিতার্থ না হলে তাঁকে রাজভবন ছেড়ে চলে যেতে হবে, পাশাপাশি, বিজেপির কথা শুনে চলার জন্য জগদীপ ধনখড়কে ভারতরত্ন দেওয়া হতে পারে বলেও কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। শাসক দলের দাবি, চাটুকারিতা করলেই রাজ্যপালের বিলাবহুল জীবন পাওয়া যায়, তাই এরকম ব্যক্তি খুঁজে পেতে কোনও অসুবিধা হয় না কেন্দ্রের। রাজ্যপাল তাঁর পদটা মস্করার পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছেন বলেও মন্তব্য করা হয়েছে মুখপত্রের সম্পাদকীয়তে। কার্যত গেরুয়া শিবিরকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়েছে, ‘চিরদিন কাহারো সমান নাহি যায়’।
কয়েকদিন আগেই রাজ্যপাল টুইট করে মুখ্যমন্ত্রীকে রাজভবনে তলব করেছিলেন। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে মামলাও হয় হাইকোর্টে। মামলাকারী প্রশ্ন তোলেন, রাজ্যপাল সংবিধান বহির্ভূত কাজ করছেন। এই ধরনের আচরণ একজন রাজ্যপালের কাছ থেকে কাম্য নয়। একদিকে রাজ্যপালের এ ভাবে প্রকাশ্যে সমালোচনা করায় শাসক দলের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলছে রাজনৈতিক মহল। অন্যদিকে, শাসক দলের প্রশ্ন, রাজ্যপাল যে সব পদক্ষেপ করছেন, তা আদৌ করা যায় কি না।
বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা এই প্রসঙ্গে মন্তব্য করেন, এ ভাবে সমালোচনা করে প্রথাবিরুদ্ধ কাজ করেছে তৃণমূল। তিনি বলেন, ‘ধনখড় যেটা করছেন, তাতে বাংলা জাগবে, আর তৃণমূল চাইছে বাংলা পিছিয়ে যাক। সরকার দুর্নীতি করবে, স্বেচ্ছাচার করবে, আর রাজ্যপাল থুঁটো জগন্নাথ হয়ে বসে থাকবে, সেটাই চান মুখ্যমন্ত্রী।’ তাঁর দাবি, মুখপত্রে রাজ্যপালের সমালোচনা করে প্রথা বিরুদ্ধ কাজ করেছে তৃণমূল। রাহুল সিনহার মতে, জগদীপ ধনখড় সংবিধানের প্রতি দায়বদ্ধ, কিন্তু তৃণমূল যখন দেখছে কোনও ভাবেই রাজ্যপালকে বশে আনা যাচ্ছে না, তখন জাগো বাংলার মাধ্যমে কুৎসা ছড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন : Municipal Election: কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন, তবে অশান্তি হলে নিতে হবে দায়
আরও পড়ুন : Kasba Bomb Recovered: জল দেওয়ার সময়ে ফুলের টবে দেখেছিলেন সেই জিনিস! বিভীষিকায় বাকরুদ্ধ গৃহকর্তা