AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Abhishek Banerjee: কীভাবে দিলীপ-সুকান্ত-শুভেন্দুরা নিজের বুথেই হেরেছেন, হাতে কাগজ নিয়ে বোঝালেন অভিষেক

Abhishek Banerjee: বিজেপি-র এই খারাপ ফলাফল নিয়েই এবার কটাক্ষ তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তাবড়-তাবড় নেতাদের বুথেই বিজেপি-র ফলাফলের হিসাব তুলে ধরেন তিনি।

Abhishek Banerjee: কীভাবে দিলীপ-সুকান্ত-শুভেন্দুরা নিজের বুথেই হেরেছেন, হাতে কাগজ নিয়ে বোঝালেন অভিষেক
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সর্বভারতীয় তৃণমূল সাধারণ সম্পাদকImage Credit: Facebook
| Updated on: Aug 28, 2023 | 4:05 PM
Share

কলকাতা: পঞ্চায়েত ভোটে ভাল ফল হয়নি বিজেপি-র। উত্তরবঙ্গ তো বটেই, দক্ষিণবঙ্গেও আশানুরূপ ফল হয়নি। এই নিয়ে কয়েকদিন আগে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা একপ্রস্থ বৈঠকও করে গিয়েছেন। আলোচনা কাটাছেঁড়া করা হয়েছে ফলাফল নিয়ে। বিজেপি-র এই খারাপ ফলাফল নিয়েই এবার কটাক্ষ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তাবড়-তাবড় নেতাদের বুথেই বিজেপি-র ফলাফলের হিসাব তুলে ধরেন তিনি।

সোমবার তৃণমূল ছাত্র-যুবর সমাবেশে প্রথমে মঞ্চে উঠে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় চাঁচাছোলা ভাষায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর সহ একাধিক নেতাকে আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, “নব জোয়ার কর্মসূচি চলাকালীন কীভাবে বনগাঁয় আমাদের আটকানো হয়। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আমায় ঠাকুরবাড়িতে ঢুকতে দেয়নি। বলেছিল আমায় আগাম অনুমতি নিয়ে ঠাকুরবাড়িতে ঢুকতে হবে। আমি সেই দিনই বলেছিলাম এর জবাব মানুষ দেবে। নিজের বুথে ওরা নিজেরা হেরেছে।”

এরপরই হাতে কাগজের টুকরো নিয়ে ‘তৃণমূল সেনাপতি’ একে-একে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষের নাম উল্লেখ করে বলেন, “সুব্রত ঠাকুর নিজের বুথে  হেরেছে। বনগাঁ দক্ষিণের এমএলএ স্বপন মজুমদার হেরেছেন, চমকানো নেতা দিলীপ ঘোষ নিজের বুথে হেরেছেন। মাথাভাঙার বিধায়ক সুশীল বর্মণ নিজের বুথে হেরেছেন,বরেন চন্দ্র বর্মণ শীতলকুচির বিধায়ক হেরেছেন। বিজেপি রাজ্যসভাপতি সুকান্ত মজুমদার যেই গ্রাম দত্তক নিয়েছিলেন সেই গ্রামে হেরেছেন। শুভেন্দু অধিকারী পুরসভা ভোটে নিজের বুথে হেরেছেন।” অভিষেক বলেছেন, “মানুষের আশীর্বাদ নিয়ে আমরা গণতান্ত্রিক ভাবে পঞ্চায়েত জিতেছি।”

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি যা ভোট পেয়েছিল, তার থেকে এবার ৪ শতাংশ ভোট বেড়েছে। তবে ২০১৮-র পর রাজ্যে রাজনৈতিক ছবিটাও তো বদলেছে। ১৮ সাংসদ পেয়েছে বিজেপি, পেয়েছে ৭৭ জন বিধায়ককে। কিন্তু বিশ্লেষকদের মতে, পঞ্চায়েত ভোটে যে গতিতে বিজেপির এগনোর কথা ছিল, তা হয়নি। তাহলে দলের সংগঠনে কোথাও খামতি ছিল? ভোট লুঠ হওয়ার অভিযোগ তুললেও এই প্রসঙ্গে বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেছেন, দলের কোথাও ত্রুটি ছিল কি না, তা বিবেচনা করে দেখা হবে। ফলাফল নিয়ে আলোচনা করতে উপস্থিত হন জে পি নাড্ডাও। লোকসভা নির্বাচনে যাতে এই ফলের পুনরাবৃত্তি না হয় হয় বিস্তর আলোচনাও