Anubrata Mondal: ‘দিদির জন্য আমি আছি, বরাবরই থাকব’, ‘বীরের সম্মানে’ই ফিরছেন কেষ্ট
Anubrata Mondal: রেলগেট বন্ধ থাকায় বেশ কিছুক্ষণ আটকেছিল অনুব্রত মণ্ডলের গাড়ি। আর সে সময় তাঁর গাড়ির সামনে কার্যত হামলে পড়েন উৎসাহী লোকজন। দীর্ঘদিন পর ফিরছেন নেতা, স্লোগানে স্লোগানে তাঁকে অভ্যর্থনা জানান দলের কর্মী সমর্থকরা।
বীরভূম: দু’বছর পর নিজের বাড়িতে ফিরছেন অনুব্রত মণ্ডল। মঙ্গলবার ভোরে কলকাতা বিমানবন্দরে নেমে গাড়িতে বোলপুরের পথে রওনা দেন তিনি। বিশাল কনভয়ে, রাজ্য পুলিশের নিরাপত্তায় বীরভূমের পথে রওনা হয় অনুব্রতর গাড়ি। বর্ধমানের শক্তিগড়ে গাড়ি ঢুকতেই রাস্তার ধারে তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের ভিড় নজরে আসতে থাকে। অনুব্রতকে দেখে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন তাঁরা। বর্ধমান পেরিয়ে বোলপুর যাওয়ার পথে তালিতে রেলগেটে কেষ্ট মণ্ডলের গাড়ি পৌঁছতেই উচ্ছ্বাস ছিল দেখার মতো।
রেলগেট বন্ধ থাকায় বেশ কিছুক্ষণ আটকেছিল অনুব্রত মণ্ডলের গাড়ি। আর সে সময় তাঁর গাড়ির সামনে কার্যত হামলে পড়েন উৎসাহী লোকজন। দীর্ঘদিন পর ফিরছেন নেতা, স্লোগানে স্লোগানে তাঁকে অভ্যর্থনা জানান দলের কর্মী সমর্থকরা।
এদিন তালিত রেলগেটের সামনে সাংবাদিকদের প্রশ্নেরও জবাব দেন অনব্রত মণ্ডল। জানান, শরীর ভাল নেই। বলেন, “পায়ে বেদনা, কোমরে বেদনা। আইনকে সম্মান করি। মানুষের জন্য আছি।” কেষ্ট যেদিন জেলায় ফিরছেন সেদিনই আবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বীরভূমে। প্রশাসনিক বৈঠক করার কথা।
২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাস। তখন সিবিআইয়ের হাতে ‘বন্দি’ অনুব্রত। কলকাতায় নেতাজি ইন্ডোরে তৃণমূলের সমাবেশ থেকে বীরভূমের নেতাদের উঠে দাঁড়াতে বলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বার্তা দিয়েছিলেন, “কেষ্ট যতদিন ফিরে না আসছে, লড়াই আরও তিনগুণ বাড়বে। বীরের সম্মান দিয়ে কেষ্টকে জেল থেকে বের করে আনতে হবে। এই মানসিকতা নিয়ে তৈরি থাকুন।” তাহলে কি আজই মমতা-কেষ্ট সাক্ষাৎ, ঘুরপাক খাচ্ছে প্রশ্ন। অনুব্রতর কাছে এ নিয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, “শরীর যদি ভাল থাকে। দিদি ভাল থাকুক, দিদির জন্য আমি আছি, বরাবরই থাকব।”