Kunal Ghosh: বিজেপির রাজ্য অফিসে দিলীপের ঘর ভাঙা নিয়ে ‘নব্য’ পদ্ম নেতাদের খোঁচা কুণালের

Dilip Ghosh: দিলীপ ঘোষ বিজেপির রাজ্য সভাপতি পদ খুয়েছিলেন একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর পর। সম্প্রতি খোয়ান বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতির পদও। এই মুহূর্তে দলে কোনও সাংগঠনিক পদে নেই দিলীপ। শাসকদলের নেতাদের একাংশ বারবারই ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দেন, দলের অন্দরে ক্রমেই কোণঠাসা হচ্ছেন দিলীপ ঘোষ।

Kunal Ghosh: বিজেপির রাজ্য অফিসে দিলীপের ঘর ভাঙা নিয়ে 'নব্য' পদ্ম নেতাদের খোঁচা কুণালের
কুণাল ঘোষ ও দিলীপ ঘোষ। Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 25, 2023 | 6:04 PM

কলকাতা: দিলীপ ঘোষের পাশে দাঁড়িয়ে এর আগেও একাধিকবার ‘দলবদলু’দের এক হাত নিয়েছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। সোমবার আরও একবার দিলীপের পাশে দাঁড়িয়ে আদি বিজেপি কর্মীদের প্রতি সুর নরম করলেন কুণাল। সম্প্রতি মুরলীধর সেন লেনের বিজেপি পার্টি অফিসে দিলীপ ঘোষের বসার একটি ঘর ভাঙা হচ্ছে বলে জানতে পারেন তিনি। এসি মেশিনও খুলে ফেলা হয় সে ঘরের। সোমবার এ নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কুণাল ঘোষ বলেন, “দিলীপ ঘোষের সঙ্গে আমাদের মতে মেলে না। উনি যে ভাষা ব্যবহার করেন তা আমরা সমর্থন করি না। কিন্তু এটাও তো ঘটনা দিলীপবাবু বিজেপির একজন সিনিয়র নেতা। দিলীপবাবু আমাদের রাজনৈতিক বিরোধী। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের একজন প্রভাবশালী নেতা। তা বলে একজন নেতার ঘর ভেঙে দেওয়া হবে, তাঁকে অপমান করা হবে? রাজনীতিতে এ ধরনের জিনিসগুলি ঠিক নয়। তিনি তাঁর দলে সসম্মানে থাকবেন। তিনি আমাদের বিরুদ্ধে মানুষের কাছে যাবেন। আমরা তাঁর বিরুদ্ধে মানুষের কাছে যাব। লড়াই হবে। একপক্ষ জিতবে, একপক্ষ হারবে। তবে দিলীপবাবুকে তাঁর দল এভাবে অসম্মান করবে, ঘর ভেঙে দেবে, এগুলো সুস্থ রাজনীতিতে হতে পারে না। আমাদের দল থেকে কিছু আবর্জনা গিয়ে ওদের দল দখল করে ওদের পুরনো নেতাদের এভাবে উচ্ছেদ করবে এটা রাজনীতিতে ঠিক নয়।”

দিলীপ ঘোষ বিজেপির রাজ্য সভাপতি পদ খুয়েছিলেন একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর পর। সম্প্রতি খোয়ান বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতির পদও। এই মুহূর্তে দলে কোনও সাংগঠনিক পদে নেই দিলীপ। শাসকদলের নেতাদের একাংশ বারবারই ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দেন, দলের অন্দরে ক্রমেই কোণঠাসা হচ্ছেন দিলীপ ঘোষ। সংঘ পরিবার থেকে উঠে আসা নেতা দিলীপ ঘোষ একটা সময় বঙ্গ বিজেপির মুখ ছিলেন। যদিও একুশের ভোটের পর থেকে বিজেপির অন্দরে আদি-নব্যর লড়াই বেড়েছে। আর তাতেই বহু পুরনো মুখ পিছনের সারিতে।

কুণাল ঘোষের কথায়, “দিলীপবাবু তো পুরনো নেতা, সিনিয়র নেতা। ওঁর নেতৃত্বে রাজ্য বিজেপি চলেছে। কিছু আসনও পেয়েছে এক সময়। সে অর্থে দেখতে গেলে, ভদ্রলোক দু’বার ভোটে দাঁড়িয়েছেন, জিতেওছেন। বিজেপিতে এরকম নজিরও নেই। দল বদলেও আসেননি। আমাদের দল থেকে কিছু লোক গিয়ে ওঁকে সরিয়ে দিচ্ছেন। কাগজে পড়লাম ঘর ভেঙে দেওয়া হয়েছে, এসির লাইন কেটে দিয়েছে। আমাদের দলে থেকেও তারা নোংরামো করেছে। তাদের আরও চাই, আরও খাব। এখন বিজেপিতে গিয়ে এসব করছে। আমাদের আবর্জনাগুলো ওদের দলে গিয়ে দল দখল করে দিলীপবাবুদের বের করে দেবে এটা হয় না।”

যদিও এই ঘর ভাঙা বিতর্কে আগেই বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেছিলেন, “রাজ্য অফিসে কোনও নেতার ঘর থাকবে না। সব ভেঙে দেওয়া হবে। এটা দলের সিদ্ধান্ত।” তবে কুণাল ঘোষ বলেন, “বিজেপির পুরনো নেতা-কর্মীদের সঙ্গে তৃণমূলের ১০০ ভাগ লড়াই আছে। কিন্তু তৃণমূল থেকে যাওয়া, এদিক ওদিক থেকে যাওয়া কিছু অতৃপ্ত আত্মা যেভাবে বিজেপিটা দখল করে নিয়েছে। আদি বিজেপি, পুরনো বিজেপি তা সহ্য করতে পারছে না। তারা ওখানে নিগৃহীত, অত্যাচারিত। দলবদলুরা গিয়ে ওখানে দল দখল করেছে। তাই পুরনো বিজেপিরা ভাল নেই। তারা নতুন করে ভাবছে কী করবে। আত্মসম্মান নিয়ে দল করতে পারছে না।”