কলকাতা: মদন মিত্রের ফেসবুক লাইভ এতদিন শুধু ‘কালারফুল’ ছিল। শনিবার রাতের পর থেকে বেশ ‘মিনিংফুল’ও হয়ে উঠেছে। একইসঙ্গে রাজ্য রাজনীতিতে আলোচ্য বিষয়ও বটে। সাড়ে ২২ মিনিটের ফেসবুক লাইভ ঘিরে শনিবার রাত থেকে শুরু হয়েছে হইচই। লাইভে একের পর এক কটাক্ষের মদন-বাণ! তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে বেশ ‘গরমাগরম’ বক্তব্য রেখেছেন তৃণমূল নেতা, রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্র। এরই মধ্যে রবিবার সাংবাদিক বৈঠক ডাকেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সেখানে অন্যান্য সমস্ত বিষয়ে নিজের স্পষ্ট বক্তব্য করলেও, মদন মিত্রের প্রসঙ্গ উঠতেই ভারী গলা করে বলে দেন, দলের বিষয় দলই দেখে নিচ্ছে। অন্যদের এ নিয়ে মাথা ঘামানোর দরকার নেই।
রবিবারও মদন মিত্র বলেছেন, “পার্টি বার বার বলছে আইনশৃঙ্খলা, শৃঙ্খলা রক্ষা। কিন্তু পার্থ তো খুব ব্যস্ত! তাঁর এত ডিপার্টমেন্ট। তারপর মন্ত্রিসভা! পারছে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন ভারতবর্ষের বিকল্প মুখ। আর অভিষেক ভারতবর্ষের নব যৌবনের দূত। তা হলে আমরা কোথায় যাব? আমাদের বাড়িতে লোক আসলে জিজ্ঞাসা করে ওয়াশরুমটা কোন দিকে? আমরা দেখিয়ে ওদিকে। তেমনি নিয়মরক্ষা কোনদিকে বলে দিলে, সেদিকে যেতে পারি। আমারও যদি কিছু মনে হয় নিয়মরক্ষায় জানাব। পার্টি যদি মনে করে বেআইনি আমাকে চিঠি দেবে, আমি উত্তর দেব।”
অথচ মদন মিত্র প্রসঙ্গে তৃণমূলের মহাসচিব তথা তৃণমূলের শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমাদের দলের ব্যাপার আমাদের বুঝে নিতে দিন।” দলের মহাসচিবের এই সংক্ষিপ্ত বক্তব্য ঘিরে রাজনৈতিকমহলের প্রশ্ন, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর মদন মিত্র তৃণমূলের অন্দরে যে অস্বস্তি বাড়িয়েছেন, তা কি আর বাড়তে দিতে চাইছে না দল?
শনিবার ফেসবুক লাইভে মদন মিত্র বলেছিলেন, “কিছু চুটকি নেতা হঠাৎ আমি দেখছি বলছে, ‘এই জানিস আমি কে’ বলে নাচানাচি করছেন। মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন…আমি বলছি মহাসচিব মহাশয়, আপনি বলছেন আপনি কেবল পার্থ চট্টোপাধ্যায় নন, মহাসচিবও…শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির সভাপতি, আপনি বলুন, কোথায় কখন শৃঙ্খলা রক্ষা করতে হবে, কতটুকু করতে হবে। এটা তো অস্বীকার করার জায়গা নেই, অভিষেকের অফিসে গেলে অভিষেককে পাওয়া যায় না। অফিসের তলায় যাঁরা দায়িত্বে থাকেন তাঁদের পাওয়া যায়।”
একইসঙ্গে এই লাইভে মদন মিত্রকে বলতে শোনা যায়, “দেখুন আন্ডার এস্টিমেট করুন, কিন্তু এতটাও আন্ডার এস্টিমেট করবেন না। আপনারা বলছেন দলের কথা দলেই জানাতে হবে। দলের বাইরে কোনও কথা বলা যাবে না! আপনারা বলবেন কোথায়, কখন যাব দলের অভিযোগ জানাতে? পার্টি তাড়িয়ে দিলে আমি মাথা নীচু করে মেনে নেব। কিন্তু কেউ যদি মনে করেন চমকে-ধমকে সাইজ করে দেব, তাহলে মুশকিল রয়েছে! পার্টি মানে এখনও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।”
মদন মিত্রের এমন ‘বিস্ফোরণ’, অথচ পার্থ চট্টোপাধ্যায় শুধুমাত্র বিষয়টি “আমাদের দলের বিষয়, আমরা দেখে নিচ্ছি” বলেই ক্ষান্ত থাকলেন। এ নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। রাজনৈতিকমহলে প্রশ্ন উঠেছে, তৃণমূলের অন্দরে কি তবে ‘দলের ভিতর দল’ তৈরি হচ্ছে? কারণ, দু’দিন আগেই কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় একইভাবে সরব হয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। এরপরই দেখা যায়, বর্ষীয়ান এই সাংসদকে ঘিরে দলের একাংশ সোশাল মিডিয়ায় সরব হয়েছেন।
কলকাতা: মদন মিত্রের ফেসবুক লাইভ এতদিন শুধু ‘কালারফুল’ ছিল। শনিবার রাতের পর থেকে বেশ ‘মিনিংফুল’ও হয়ে উঠেছে। একইসঙ্গে রাজ্য রাজনীতিতে আলোচ্য বিষয়ও বটে। সাড়ে ২২ মিনিটের ফেসবুক লাইভ ঘিরে শনিবার রাত থেকে শুরু হয়েছে হইচই। লাইভে একের পর এক কটাক্ষের মদন-বাণ! তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে বেশ ‘গরমাগরম’ বক্তব্য রেখেছেন তৃণমূল নেতা, রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্র। এরই মধ্যে রবিবার সাংবাদিক বৈঠক ডাকেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সেখানে অন্যান্য সমস্ত বিষয়ে নিজের স্পষ্ট বক্তব্য করলেও, মদন মিত্রের প্রসঙ্গ উঠতেই ভারী গলা করে বলে দেন, দলের বিষয় দলই দেখে নিচ্ছে। অন্যদের এ নিয়ে মাথা ঘামানোর দরকার নেই।
রবিবারও মদন মিত্র বলেছেন, “পার্টি বার বার বলছে আইনশৃঙ্খলা, শৃঙ্খলা রক্ষা। কিন্তু পার্থ তো খুব ব্যস্ত! তাঁর এত ডিপার্টমেন্ট। তারপর মন্ত্রিসভা! পারছে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন ভারতবর্ষের বিকল্প মুখ। আর অভিষেক ভারতবর্ষের নব যৌবনের দূত। তা হলে আমরা কোথায় যাব? আমাদের বাড়িতে লোক আসলে জিজ্ঞাসা করে ওয়াশরুমটা কোন দিকে? আমরা দেখিয়ে ওদিকে। তেমনি নিয়মরক্ষা কোনদিকে বলে দিলে, সেদিকে যেতে পারি। আমারও যদি কিছু মনে হয় নিয়মরক্ষায় জানাব। পার্টি যদি মনে করে বেআইনি আমাকে চিঠি দেবে, আমি উত্তর দেব।”
অথচ মদন মিত্র প্রসঙ্গে তৃণমূলের মহাসচিব তথা তৃণমূলের শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমাদের দলের ব্যাপার আমাদের বুঝে নিতে দিন।” দলের মহাসচিবের এই সংক্ষিপ্ত বক্তব্য ঘিরে রাজনৈতিকমহলের প্রশ্ন, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর মদন মিত্র তৃণমূলের অন্দরে যে অস্বস্তি বাড়িয়েছেন, তা কি আর বাড়তে দিতে চাইছে না দল?
শনিবার ফেসবুক লাইভে মদন মিত্র বলেছিলেন, “কিছু চুটকি নেতা হঠাৎ আমি দেখছি বলছে, ‘এই জানিস আমি কে’ বলে নাচানাচি করছেন। মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন…আমি বলছি মহাসচিব মহাশয়, আপনি বলছেন আপনি কেবল পার্থ চট্টোপাধ্যায় নন, মহাসচিবও…শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির সভাপতি, আপনি বলুন, কোথায় কখন শৃঙ্খলা রক্ষা করতে হবে, কতটুকু করতে হবে। এটা তো অস্বীকার করার জায়গা নেই, অভিষেকের অফিসে গেলে অভিষেককে পাওয়া যায় না। অফিসের তলায় যাঁরা দায়িত্বে থাকেন তাঁদের পাওয়া যায়।”
একইসঙ্গে এই লাইভে মদন মিত্রকে বলতে শোনা যায়, “দেখুন আন্ডার এস্টিমেট করুন, কিন্তু এতটাও আন্ডার এস্টিমেট করবেন না। আপনারা বলছেন দলের কথা দলেই জানাতে হবে। দলের বাইরে কোনও কথা বলা যাবে না! আপনারা বলবেন কোথায়, কখন যাব দলের অভিযোগ জানাতে? পার্টি তাড়িয়ে দিলে আমি মাথা নীচু করে মেনে নেব। কিন্তু কেউ যদি মনে করেন চমকে-ধমকে সাইজ করে দেব, তাহলে মুশকিল রয়েছে! পার্টি মানে এখনও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।”
মদন মিত্রের এমন ‘বিস্ফোরণ’, অথচ পার্থ চট্টোপাধ্যায় শুধুমাত্র বিষয়টি “আমাদের দলের বিষয়, আমরা দেখে নিচ্ছি” বলেই ক্ষান্ত থাকলেন। এ নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। রাজনৈতিকমহলে প্রশ্ন উঠেছে, তৃণমূলের অন্দরে কি তবে ‘দলের ভিতর দল’ তৈরি হচ্ছে? কারণ, দু’দিন আগেই কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় একইভাবে সরব হয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। এরপরই দেখা যায়, বর্ষীয়ান এই সাংসদকে ঘিরে দলের একাংশ সোশাল মিডিয়ায় সরব হয়েছেন।