Humayun Kabir: ‘১ লক্ষ হাফেজকে দিয়ে কোরান পাঠ করাব, খাওয়া-দাওয়াও করাব’,গীতা পাঠের দিনই ঘোষণা হুমায়ুনের
এরপর আজ ব্রিগেডে ৫ লক্ষ কণ্ঠে পড়া হচ্ছে গীতা। আজ এরই পাল্টা বলতে গিয়ে হুমায়ুন বলেন, "বিজেপি নতুন করে কিছু করছে না। বরাবরই হিন্দুত্বের তাস খেলে। ওরা রাম মন্দিরের এজেন্ডা নিয়ে ক্ষমতায় এসেছেন। ১৯টা রাজ্য দখল করেছে। বাংলা দখলের জন্য গীতা পাঠ করছে।"

মুর্শিদাবাদ: বাবরির পাল্টা রামন্দির, আবার গীতাপাঠের পাল্টা কোরান পাঠ। ধর্মের জিগিড় তুলে বাংলায় যে ভোটের বৈতরণী পার করতে চাইছে রাজনৈতিক দলগুলি তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এতদিন ব্রিগেডে গীতা পাঠের আয়োজন দেখছেন আম-বাঙালি। এবার মুর্শিদাবাদে হয়ত তাঁরা দেখতে পারেন কোরান পাঠ। রবিবার ব্রিগেডে যখন পাঁচ লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ চলছে। ঠিক তখনই পাল্টা এবার মুর্শিদাবাদে কোরান পাঠের আয়োজন করবেন বলে ঘোষণা করলেন ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। তাঁর বক্তব্য, গীতা পাঠ করিয়ে বিজেপি যেমন ক্ষমতা দখল করতে চাইছে, ঠিক তেমনই কোরান পাঠ করিয়ে বিধানসভায় আরও বেশি মুসলমান MLA চাইছেন হুমায়ুন।
বাংলার বুকে বাবরি মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ঘিরে আগে থেকেই তৃণমূলের সঙ্গে গণ্ডোগোল বেধেছিল হুমায়ুনের। দল তাঁকে সাসপেন্ড করতেই ক্ষুব্ধ হুমায়ুন কার্যত বুঝিয়ে দেন তিনি পরোয়া করেন না কোনও কিছুরই। খোদ মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ দাগেন তিনি। এমনকী, তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করার হুমকি দেন বিধায়ক। বলেন, “বাংলায় ৩৭ শতাংশ সংখ্যালঘু আছে। তাদের সিংহভাগের ভোট পেয়ে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন মমতা। খুব অহঙ্কার হয়েছে। চূর্ণ করব আমি। আমি ওঁকে প্রাক্তন করবই।” এরপর গতকাল বাবরি মসজিদের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন হুমায়ুন। সেখান থেকেও তোপের পর তোপ দাগেন। এরপর হুমায়ুনকে বলতে শুরু করেন, সরকারি টাকায় জগন্নাথ মন্দির। বলেন, “উনি কি মন্দির তৈরি করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন?”
এরপর আজ ব্রিগেডে ৫ লক্ষ কণ্ঠে পড়া হচ্ছে গীতা। আজ এরই পাল্টা বলতে গিয়ে হুমায়ুন বলেন, “বিজেপি নতুন করে কিছু করছে না। বরাবরই হিন্দুত্বের তাস খেলে। ওরা রাম মন্দিরের এজেন্ডা নিয়ে ক্ষমতায় এসেছেন। ১৯টা রাজ্য দখল করেছে। বাংলা দখলের জন্য গীতা পাঠ করছে।” হুমায়ুন তখনই বলেন, “আমি মুসলমানদের বেশি বেশি করে বিধানসভায় জেতার জন্য কোরান পাঠের আয়োজন করব। লাখো লোক নিয়ে কোরান পাঠ হবে। তাঁদের আরামসে খাওয়া-দাওয়া করিয়ে দিনভর মুর্শিদাবাদে কোরান পাঠের আয়োজন। আমি ১ লক্ষ হাফেজকে দিয়ে কোরান পাঠ করাব। মুর্শিদাবাদের কোনও জায়গায় প্যান্ডাল করব। তারপর কোরান পাঠ হবে। আর গীতা পাঠ হতেই পারে, সনাতন ধর্মের কোনও মানুষ গীতা পাঠ করতেই পারেন। আমার শ্রদ্ধা রয়েছে।”
