AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Jiban Krishna Saha: ‘অন্যায় করিনি, দল পাশে থাকবেই’, বললেন বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ

Jiban Krishna Saha: শনিবার সকালে নিজাম প্যালেস থেকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বের করা হয় বিধায়ককে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, 'দল অবশ্যই পাশে আছে।'

Jiban Krishna Saha: 'অন্যায় করিনি, দল পাশে থাকবেই', বললেন বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ
জীবনকৃষ্ণ সাহা
| Edited By: | Updated on: Apr 29, 2023 | 11:53 AM
Share

কলকাতা : শাসক দলের একাধিক নেতা গ্রেফতার হয়েছেন দুর্নীতির অভিযোগে। কেউ জেলে রয়েছেন, আবার কেউ কেন্দ্রীয় সংস্থার হেফাজতে। বিরোধীরা প্রতিনিয়ত এই ইস্যুতে কড়া আক্রমণ শানাচ্ছেন। তবে দলের প্রতি এখনও আস্থাশীল বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। তাঁর দাবি, তিনি অন্যায় করেননি, তাই দল তাঁর পাশে থাকবেই। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। আপাতত সিবিআই হেফাজতে আছেন তিনি। শনিবার সকালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘দল পাশে আছে। আমি কোনও অন্যায় করিনি। দল পাশে থাকবেই।’

তৃণমূল বারবার দাবি করেছে, দলের কোনও সদস্য অন্যায় করলে দল তাঁর পাশে থাকবে না। তবে জীবনকৃষ্ণের দাবি, অন্যায় প্রমাণিত না হওয়ায় দল পাশেই আছে তাঁর। টাকা নিয়ে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এই তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালাতে যায় কেন্দ্রীয় সংস্থা। টানা দু দিনেরও বেশি তল্লাশি চালানোর পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।

শনিবার সকালে নিজাম প্যালেস থেকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বের করা হয় বিধায়ককে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘দল অবশ্যই পাশে আছে, যখন অন্যায় করিনি তখন কেন পাশে থাকবে না! প্রমাণিত হয়েছে কি যে আমি জড়িত আছি? আগে প্রমাণিত হোক।’

এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, ‘আমাদের দল দুর্নীতি বরদাস্ত করবে না। যে যে ক্ষেত্রে প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে, সে ক্ষেত্রে দল কাউকে রেয়াত করেনি, সে মন্ত্রীই হোক বা দলের অন্য কোনও নেতা। কিন্তু সিবিআই তদন্ত করতে না পেরে বিধায়কদের সামাজিকভাবে অপদস্থ করছে। এটা তদন্ত সাপেক্ষ বিষয়। আদালতও ভর্ৎসনা করেছে।’ বিজেপি নেতাদেরও তদন্তের আওতায় আনা হোক বলে দাবি জানিয়েছেন তিনি।

উল্লেখ্য,  নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়ানোর পর প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দলীয় পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়। সরানো হয় মন্ত্রী পদ থেকেও। দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে কুন্তল ঘোষ, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্য়ায়কেও।