‘SIR-র নামে অধিকার কাড়ছে আর কুকুরের নামে ভোটার কার্ড বানাচ্ছে’, বিজেপি-নির্বাচন কমিশনকে আক্রমণ অভিষেকের

Abhishek Banerjee: অভিষেক বলেন, "এসআইআরের নাম করে ভোটারদের ভয় দেখানো হচ্ছে। সাধারণ মানুষের অধিকার কেড়ে নিচ্ছে। এদিকে কুকুরের নামে ভোটার আইডি কার্ড তৈরি করছে। একটা পার্টিকে সুযোগ করে দেবে বলে এত কিছু, এটা লজ্জার।"

SIR-র নামে অধিকার কাড়ছে আর কুকুরের নামে ভোটার কার্ড বানাচ্ছে, বিজেপি-নির্বাচন কমিশনকে আক্রমণ অভিষেকের
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (ফাইল ছবি)।Image Credit source: TV9 বাংলা

| Edited By: ঈপ্সা চ্যাটার্জী

Jul 28, 2025 | 12:14 PM

কলকাতা: অপারেশন সিদুর নিয়ে সংসদে আলোচনা আজ। যোগ দেবেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়। তার আগেই বিমানবন্দরে বিস্ফোরক তিনি। কেন্দ্রকে বারবার বিঁধলেন পহেলগাঁও ইস্যুতে। একইসঙ্গে বাংলার শ্রমিকদের ভিনরাজ্যে হেনস্থা নিয়েও সরব হন তিনি।

বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকদের একের পর এক রাজ্যে হেনস্থা, বাংলা বলায় পরিযায়ী শ্রমিক বলে আটকে রাখার মতো ঘটনা সামনে আসতেই বাঙালি অস্মিতা নিয়ে সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এ দিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেন, “আমরা সংসদে যখনই সুযোগ পাব, বাংলায় বক্তব্য রাখব। আজ অপারেশন সিদুর নিয়ে আলোচনা রয়েছে, তাতেও বাংলায় কথা বলব। উত্তর প্রদেশ, দিল্লি, ওড়িশা- বিজেপির ডবল ইঞ্জিন শাসিত সরকারে বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকদের হেনস্থা করা হচ্ছে।”

নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে অভিষেক বলেন, “এসআইআরের নাম করে ভোটারদের ভয় দেখানো হচ্ছে। সাধারণ মানুষের অধিকার কেড়ে নিচ্ছে। এদিকে কুকুরের নামে ভোটার আইডি কার্ড তৈরি করছে। একটা পার্টিকে সুযোগ করে দেবে বলে এত কিছু, এটা লজ্জার। গত নির্বাচনে শীতলকুচিতেও দেখেছি যে দিনের আলোয় কীভাবে মেরে ফেলা হয়েছিল ভোটারকে। ২০২৪ সালেও নির্বাচন কমিশনের এই আচরণ দেখেছি। চাটুকাকারিতা, কৃতদাসত্ব করে যাচ্ছে।”

এরপর বিজেপিকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, “যখনই নির্বাচন হোক, আমাদের অসুবিধা নেই, কিন্তু বিজেপির এই নির্লজ্জ রাজনীতি মানা যায় না। বিজেপি বাংলার ইতিহাস জানে না। যে মাটি চারজন নোবেলজয়ী দিয়েছে, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, মাদার টেরেসা, অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়, অমর্ত্য সেন। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি রবীন্দ্রনাথের জন্মস্থান জানেন না। অমিত শাহের নেতৃত্বে বিজেপি নেতারা বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙে। যারা বাংলার মানুষের উপরে অত্যাচার করছে, তারা ২০২১ ও ২০২৪ সালে যে শিক্ষা পেয়েছিল, তা ২০২৬-এ আরও পাবে। বাংলার মানুষ বিশ্বাসঘাতকতা করবে না।”

তৃণমূল সাংসদ কার্যত হুঙ্কার দিয়ে বলেন, “মহারাষ্ট্র, রাজস্থান, গুজরাটে যা হচ্ছে, তা আমরাও করতে পারি, কিন্তু আমাদের তা শিক্ষা নয়। বাংলায় অনেক অবাঙালি থাকেন, আপনারা কেন বিভাজনের রাজনীতি করছেন। বিভাজনের রাজনীতি করতে হলে জঙ্গলমহলে যেখানে বিজেপির ভাল ফল করেছে, সেখানে কাজ বন্ধ করে দিতে পারতাম। তা তো করিনি। আমরা সব জায়গায় সমান কাজ করেছি। এটাই তো রাজনীতি। দেশের সরকারের নীতি তো এটাই হওয়া উচিত। দুর্ভাগ্যজনক এটা। আমরা সরব হব। বিজেপি যদি ভাবে, বাংলার মানুষকে অপমান করে শিক্ষা দেব, তাহলে বিজেপি আরও কঠোর শিক্ষার জন্য প্রস্তুত থাকো।