
কলকাতা: একদিন আগেই মতুয়াদের বার্তা দিয়েছেন। তৃণমূল থাকতে মতুয়াদের গায়ে আঁচও লাগতে দেবেন না বলে আশ্বাস দিয়েছেন। মতুয়া গড়ের পর এবার তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নজরে দুই সংখ্যালঘু অধ্যুষিত জেলা মালদহ ও মুর্শিদাবাদ। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই এই দুই জেলায় যাচ্ছেন তিনি। সভা করবেন।
পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের এখনও মাস পাঁচেক বাকি। তবে রাজনৈতিক দলগুলি কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে। রণকৌশল তৈরি করছে। এসআইআর আবহে গতকাল মতুয়া গড় বনগাঁয় প্রথম রাজনৈতিক সভা করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা। একুশের বিধানসভা ও চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে মতুয়াদের একটা বড় অংশের ভোট পেয়েছে বিজেপি। এই পরিস্থিতিতে বনগাঁ থেকে মতুয়াদের পাশে তৃণমূল যে রয়েছে, সেই বার্তা দেন মমতা।
মতুয়াদের বার্তা দেওয়ার পর এবার মালদহ ও মুর্শিদাবাদে যাচ্ছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। একসময় এই দুটি জেলা কংগ্রেসের গড় বলে পরিচিত ছিল। এখন মুর্শিবাদে কংগ্রেস কার্যত কোণঠাসা। তবে মালদহে একটি লোকসভা কেন্দ্রে কংগ্রেস জিতেছে। লোকসভা ও বিধানসভায় আসন না পেলেও এই দুই জেলায় বামেরা সক্রিয়। আবার এই দুটি জেলায় ক্রমশ শক্তি বৃদ্ধি করছে বিজেপি। শুধু বিজেপি-ই নয়, এই দুই জেলায় রাজ্যের শাসকদলের চিন্তার কারণ হয়ে উঠছে আইএসএফ ও আসাদউদ্দিন ওয়েইসির দল AIMIM।
বিরোধীরা তো রয়েইছে। তৃণমূলের মাথাব্যথার কারণ দলের অন্দরের দ্বন্দ্বও। মুর্শিদাবাদ ও মালদহে সেই দ্বন্দ্ব বারবার প্রকাশ্যে এসেছে। তার উপর রয়েছেন ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। নিজের দলকেই গত কয়েকমাস ধরে লাগাতার নিশানা করে চলেছেন তিনি। আবার বেলডাঙায় বাবরি মসজিদ তৈরির ঘোষণা করেছেন। তার পাল্টা রামমন্দিরের কথা বলছে বিজেপি। এই নিয়ে রাজনৈতিক তরজাও বাড়ছে।
এই আবহে দুই জেলায় সফরে যাচ্ছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। ৩ ডিসেম্বর মালদহে গাজোলে সভা করবেন তিনি। সভার পর ওই দিনই সড়কপথে বহরমপুরে পৌঁছবেন। পরদিন অর্থাৎ ৪ ডিসেম্বর বহরমপুর স্টেডিয়ামে সভা রয়েছে তাঁর। এই দুই সভা থেকে তৃণমূল নেত্রী কী বার্তা দেন, সেটাই দেখার।