কলকাতা: রাজ্য সরকার পুরভোট (Municipal Election) নিয়ে কমিশনকে (State Election Commission) চিঠি দেওয়ার পর থেকে জলঘোলা হয়েছে অনেক। বিতর্ক গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত। তবে আপাতত জটিলতা কেটেছে কলকাতা পুরসভার নির্বাচন নিয়ে। আগামী ১৯ ডিসেম্বরেই হচ্ছে পুরভোট। আজ, বৃহস্পতিবার সকালেই ভোটের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। স্বাভাবিকভাবেই প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে শাসক- বিরোধী সব মহলেই। সূত্রের খবর, আগামিকাল, শুক্রবার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করবে শাসক দল তৃণমূল। তবে ৪ বিধায়ক (MLA) টিকিট পাবেন কি না, তা নিয়ে জল্পনা রয়েছে।
বর্তমানে কলকাতা পুরসভার প্রশাসক হিসেবে রয়েছেন রাজ্যের বিধায়ক তথা পরিবহন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। এ ছাড়া প্রশাসক মণ্ডলীতে রয়েছেন আরও তিন বিধায়ক অতীন ঘোষ, দেবব্রত মজুমদার ও দেবাশিস কুমার। তাঁরা প্রত্যেকেই কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন। পুরসভায় তাঁরা দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞ। কিন্তু বর্তমানে তৃণমূল এক ব্যক্তি, এক পদ নীতি কার্যকর করেছে। আর এই চার বিধায়ক ফের কাউন্সিলর হলে দুটি পদের অধিকারী হতে পারবেন। তৃণমূলের তরফে এদের সেই অনুমতি দেওয়া হবে কি না, সেটাই বিবেচনা করা হবে। এই বিষয়ে খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানা গিয়েছে।
২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের সময়েই ‘এক ব্যক্তি এক পদ’ নীতির ঘোষণা করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা। জানিয়েছিলেন, মাস খানেকের মধ্যেই এই নীতি কার্যকর হবে। জেলার সভাপতিরা আর মন্ত্রী হতে পারবেন না, এমনটাও জানিয়েছিলেন তিনি। আবার মন্ত্রীরা জেলা সভাপতির পদে থাকতে পারবেন না বলেও জানানো হয়েছিল। এই নীতি মেনেই ভোটের পরই বেশ কিছু রদবদল করা হয়। জেলা সভাপতি পদ হারান অনেকে। সেই জায়গায় নিয়ে আসা হয় নতুন মুখ। পাশাপাশি বেশ কয়েকটি জেলা সংগঠনকে দুভাগে ভেঙে দেওয়া হয়। রাজ্যের শাসকদলের এই পদক্ষেপকে আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগাম প্রস্তুতি বলে মনে করে রাজনৈতিক মহল। এই সিদ্ধান্তের নেপথ্যেও ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের পরামর্শও থাকতে পারে বলে মনে করা হয়।
সংগঠনের খোলনলচে বদলে ফেলায় জেলা সংগঠন থেকে বাদ যান জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্য়ায়, সৌমেন মহাপাত্র, পুলক রায়, অরূপ রায়, দিলীপ যাদব, বেচারাম মান্না, মহুয়া মৈত্র, পার্থপ্রতিম রায় (কোচবিহার), অখিল গিরি, মৌসম নুর, আবু তাহের, শুভাশিস চক্রবর্তী-সহ আরও অনেকে। তাই এবার পুর নির্বাচনেও সেই নীতি কঠোরভাবে মানা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবারই চারদিনের দিল্লি সফর সেরে কলকাতায় ফিরছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিনই রাজধানী থেকে ফিরছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। কালীঘাটে একটি বৈঠকেরও সম্ভাবনা রয়েছে এ দিন। সেখানে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ‘৩০ এপ্রিলের মধ্যেই বাকি নির্বাচন’, বাংলার পুরভোট নিয়ে হাইকোর্টকে বড় তথ্য এজির
কলকাতা: রাজ্য সরকার পুরভোট (Municipal Election) নিয়ে কমিশনকে (State Election Commission) চিঠি দেওয়ার পর থেকে জলঘোলা হয়েছে অনেক। বিতর্ক গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত। তবে আপাতত জটিলতা কেটেছে কলকাতা পুরসভার নির্বাচন নিয়ে। আগামী ১৯ ডিসেম্বরেই হচ্ছে পুরভোট। আজ, বৃহস্পতিবার সকালেই ভোটের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। স্বাভাবিকভাবেই প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে শাসক- বিরোধী সব মহলেই। সূত্রের খবর, আগামিকাল, শুক্রবার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করবে শাসক দল তৃণমূল। তবে ৪ বিধায়ক (MLA) টিকিট পাবেন কি না, তা নিয়ে জল্পনা রয়েছে।
বর্তমানে কলকাতা পুরসভার প্রশাসক হিসেবে রয়েছেন রাজ্যের বিধায়ক তথা পরিবহন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। এ ছাড়া প্রশাসক মণ্ডলীতে রয়েছেন আরও তিন বিধায়ক অতীন ঘোষ, দেবব্রত মজুমদার ও দেবাশিস কুমার। তাঁরা প্রত্যেকেই কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন। পুরসভায় তাঁরা দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞ। কিন্তু বর্তমানে তৃণমূল এক ব্যক্তি, এক পদ নীতি কার্যকর করেছে। আর এই চার বিধায়ক ফের কাউন্সিলর হলে দুটি পদের অধিকারী হতে পারবেন। তৃণমূলের তরফে এদের সেই অনুমতি দেওয়া হবে কি না, সেটাই বিবেচনা করা হবে। এই বিষয়ে খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানা গিয়েছে।
২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের সময়েই ‘এক ব্যক্তি এক পদ’ নীতির ঘোষণা করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা। জানিয়েছিলেন, মাস খানেকের মধ্যেই এই নীতি কার্যকর হবে। জেলার সভাপতিরা আর মন্ত্রী হতে পারবেন না, এমনটাও জানিয়েছিলেন তিনি। আবার মন্ত্রীরা জেলা সভাপতির পদে থাকতে পারবেন না বলেও জানানো হয়েছিল। এই নীতি মেনেই ভোটের পরই বেশ কিছু রদবদল করা হয়। জেলা সভাপতি পদ হারান অনেকে। সেই জায়গায় নিয়ে আসা হয় নতুন মুখ। পাশাপাশি বেশ কয়েকটি জেলা সংগঠনকে দুভাগে ভেঙে দেওয়া হয়। রাজ্যের শাসকদলের এই পদক্ষেপকে আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগাম প্রস্তুতি বলে মনে করে রাজনৈতিক মহল। এই সিদ্ধান্তের নেপথ্যেও ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের পরামর্শও থাকতে পারে বলে মনে করা হয়।
সংগঠনের খোলনলচে বদলে ফেলায় জেলা সংগঠন থেকে বাদ যান জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্য়ায়, সৌমেন মহাপাত্র, পুলক রায়, অরূপ রায়, দিলীপ যাদব, বেচারাম মান্না, মহুয়া মৈত্র, পার্থপ্রতিম রায় (কোচবিহার), অখিল গিরি, মৌসম নুর, আবু তাহের, শুভাশিস চক্রবর্তী-সহ আরও অনেকে। তাই এবার পুর নির্বাচনেও সেই নীতি কঠোরভাবে মানা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবারই চারদিনের দিল্লি সফর সেরে কলকাতায় ফিরছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিনই রাজধানী থেকে ফিরছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। কালীঘাটে একটি বৈঠকেরও সম্ভাবনা রয়েছে এ দিন। সেখানে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ‘৩০ এপ্রিলের মধ্যেই বাকি নির্বাচন’, বাংলার পুরভোট নিয়ে হাইকোর্টকে বড় তথ্য এজির