TMC on Egra Blast: ১০০ দিনের টাকা কেন্দ্র না দেওয়ায় এগরায় ৯ জনের মৃত্যু! জানাল তৃণমূল
TMC on Egra Blast: টুইটে তৃণমূল লিখেছে, 'বিজেপির উদাসীনতায় প্রাণ হারাচ্ছেন নিরীহ মানুষ।'
কলকাতা : ১০০ দিনের টাকা আটকে আছে বলেই বিস্ফোরণ এগরায়? ঘটনার ৪৮ ঘণ্টা পর এমনই যুক্তি দিল তৃণমূল। এগরা-কাণ্ডের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হল বকেয়া ইস্যু। কেন্দ্রের টাকা আটকে রাখা হয়েছে বলেই নাকি বাংলার মানুষ বাধ্য হয়ে বাজি কারখানায় কাজ করছেন। এমনটাই দাবি করা হল তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে। অফিশিয়াল টুইটার হ্যান্ডেলে এমনই অভিযোগ তুলেছে রাজ্যের শাসক দল। তাদের দাবি, কেন্দ্র ১০০ দিনের টাকা দিচ্ছে না বলেই স্থানীয় মানুষজন বাজি কারখানায় কাজ করছেন। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে বারবার সরব হয়েছে শাসক দল। আর এগরার বিস্ফোরণ নিয়ে যখন রাজ্য প্রশাসনের দিকে আঙুল উঠতে শুরু করেছে, তখনই এই অভিনব যুক্তি সামনে আনল তৃণমূল।
টুইটে তৃণমূল লিখেছে, ‘বিজেপির উদাসীনতায় প্রাণ হারাচ্ছেন নিরীহ মানুষ। কেন্দ্র ১০০ দিনের কাজের (MGNREGA) টাকা আটকে রেখেছে। সে কারণেই পূর্ব মেদিনীপুরের মানুষ অবৈধ বাজি কারখানায় কাজ করতে বাধ্য হচ্ছে। দরিদ্র মানুষকে আর কত কষ্ট পেতে হবে?’
প্রশ্ন উঠছে, পুলিশের গাফিলতি আড়াল করতেই কি কেন্দ্রের বঞ্চনার কথা বলছে শাসক শিবির? গ্রামবাসীরা কেন এমন যুক্তি দিচ্ছে না? সেই প্রশ্নও তুলেছেন বিরোধীরা। বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘এটা প্রমাণ হয়ে গেল যে রাজ্যে কেউ কাজ না পেলে রাজ্য দায়িত্ব নিয়ে বোমা কারখানায় কাজ দিয়ে দেবে, তাকে বোমা তৈরিতে সিদ্ধহস্ত করে দেবে। কারণ বোমার প্রাসঙ্গিকতা এখন সমাজে সর্বাধিক।’
বিজেপি নেতার দাবি, রাজ্যের শাসক দল এখন জনবিচ্ছিন্ন, জনরোষের শিকার। গ্রামবাসীদের বক্তব্য যদি এটাই হত, তাহলে তৃণমূলের প্রতিনিধিরা এগরা থেকে পালিয়ে আসতেন না। তাঁর দাবি, পুলিশের সরাসরি হস্তক্ষেপে ভানু বাগ ওই এলাকায় অবৈধ বাজি কারখানা চালাচ্ছিল। তার মতে, ‘এই টুইট আরও একবার প্রমাণ করে দিল যে এই ভানু বাগরা আসলেরই রূপ।’
এগরা বিস্ফোরণের পর এলাকায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কীভাবে দিনের পর দিন অবৈধ বাজি কারখানা চলছিল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিরোধীদের দাবি, টাকাও নিত এগরা থানার পুলিশ। এর আগে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় মনে করিয়ে দিয়েছিলেন, ওই এলাকায় পঞ্চায়েত রয়েছে বিজেপির দখলে। আর এবার দায় চাপানো হল সরাসরি কেন্দ্রের ওপর।