TMC: ‘তখন যদি অভিযোগ করতেন, তাহলে হয়তো…’, রাজন্যার দিকে আঙুল তুললেন অতীন-কন্যা প্রিয়দর্শিনী

TMC: রাজন্যার অভিযোগ নিয়ে প্রিয়দর্শিনী বলেন, "ভয়ানক অভিযোগ। যদি হয়ে থাকে, তাহলে যে বা যারা ঘটিয়েছে, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া দরকার। কী কারণে এতদিন চুপ থাকল, তা নিয়ে রাজন্যার উপরও রাগ হচ্ছে।"

TMC: তখন যদি অভিযোগ করতেন, তাহলে হয়তো..., রাজন্যার দিকে আঙুল তুললেন অতীন-কন্যা প্রিয়দর্শিনী
রাজন্যা হালদারকে নিয়ে কী বললেন প্রিয়দর্শিনী ঘোষ?Image Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: সঞ্জয় পাইকার

Jul 06, 2025 | 9:03 PM

কলকাতা: কসবাকাণ্ডের পর বিস্ফোরক তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বহিষ্কৃত নেত্রী রাজন্যা হালদার। তাঁর বিকৃত ছবি তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যদের মোবাইলে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছেন। কিন্তু, তিনি এই নিয়ে এখনও পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেননি। কসবাকাণ্ডের পর তাঁর এই মুখ খোলা নিয়ে সরব হলেন কলকাতা পৌরনিগমের ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষের কন্যা তথা তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের নেত্রী প্রিয়দর্শিনী ঘোষ। এতদিন চুপ থেকে এখন কেন মুখ খুলছেন, সেই প্রশ্ন তুললেন তিনি।

রাজন্যার অভিযোগ নিয়ে প্রিয়দর্শিনী বলেন, “ভয়ানক অভিযোগ। যদি হয়ে থাকে, তাহলে যে বা যারা ঘটিয়েছে, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া দরকার। কী কারণে এতদিন চুপ থাকল, তা নিয়ে রাজন্যার উপরও রাগ হচ্ছে।” এরপরই তিনি বলেন, “মেয়েটি জনপ্রিয় মুখ। একুশে জুলাইয়ের মঞ্চে বক্তৃতা করেছেন। দিদির বাড়িতে বিজয়া করতে গিয়ে তাঁকে সেখানে দেখেছি। যদি ব্যক্তিগতভাবে দিদিকে বলতেন, দিদি নিশ্চয় দেখতেন।

রাজন্যা পুলিশে অভিযোগ না করে কেন এখন মুখ খুলছেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে প্রিয়দর্শিনী বলেন, “কখনও কোনও মহিলা বিদ্বেষী কিছু দেখলে আমিও দলকে জানিয়েছি। সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ করা হয়েছে। আমাদের মতো মহিলাদের কাছে দিদি শেষ আশা ভরসা। দিদিকে চিঠি লিখলে কিংবা বললে আমার মনে হয় না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এটাকে প্রশ্রয় দেবেন। এখনও এফআইআর করেনি। দ্রুত আইনি পদক্ষেপ করা উচিত। নির্দিষ্টভাবে এই সময়টা বেছে নেওয়া, এই সময়টা আমাকে ভাবিয়ে তুলছে।

রাজন্যার ঘনিষ্ঠ বন্ধু প্রান্তিক চক্রবর্তী। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের তিনিও বহিষ্কৃত নেতা। রাজন্যা ও প্রান্তিকের উদ্দেশে প্রিয়দর্শিনী বলেন, “দু’জনেরই তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল। নেতৃত্বকে বলা উচিত ছিল। তৎক্ষণাৎ এই কুকাজ বন্ধ করা উচিত ছিল।” রাজন্যা পদক্ষেপ করলে তারপর এইসব অপরাধপ্রবণতা বন্ধ হয়ে যেতে পারত বলেও তিনি মন্তব্য করেন। প্রিয়দর্শিনী বলেন, ” ওইসময় এটা বন্ধ হয়ে গেলে, তাহলে হয়তো এই অপরাধপ্রবণতা যে বা যারা করছিল, তাদের মাথা থেকে বেরিয়ে যেত। তারা ভাবত যে দল পদক্ষেপ করেছে।

তৃণমূলকে কি বিপাকে ফেলতেই রাজন্যা এখন মুখ খুলছেন? প্রিয়দর্শিনী বলেন, “তৃণমূলকে বিপাকে ফেলার মতো ক্ষমতা রাজন্যার আছে বলে মনে হয় না। ভুলপথে পরিচালনার জন্য অনেকেই থাকবে। এই ধরনের আচরণ করার কারণ জানি না।” রাজন্যার পাশে কি তিনি থাকবেন? প্রশ্ন শুনেই তাঁর বক্তব্য, “রাজন্যা কি দলের পাশে থাকল, এই প্রশ্নটা আগে থাকল?