এই জিনিসগুলি না থাকলে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করা যাবে না, জানাল নবান্ন
১৬ অগস্ট থেকে শুরু হতে চলা এক মাস ব্যাপী দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারকেই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে চলেছে রাজ্য সরকার। এমনটাই খবর নবান্ন সূত্রে।
কলকাতা: চলতি মাস থেকেই রাজ্যজুড়ে ফের একবার শুরু হচ্ছে দুয়ারে সরকার প্রকল্প। গত বছর এই সরকারি এই কর্মসূচিতে সবথেকে বেশি জোর দেওয়া হয়েছিল স্বাস্থ্যসাথী কার্ড তৈরির উপর। আর এ বছর লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পকে পাখির চোখ করেছে রাজ্য। তাই আগামী ১৬ অগস্ট থেকে শুরু হতে চলা এক মাস ব্যাপী দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারকেই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে চলেছে রাজ্য সরকার। এমনটাই খবর নবান্ন সূত্রে।
নবান্ন সূত্রে খবর, শুক্রবার নবান্নে ভিডিয়ো কনফারেন্সে সমস্ত জেলাশাসকদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। সেই বৈঠকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়, আগের মতোই সমস্ত প্রকল্প দুয়ারে সরকারে থাকবে। কিন্তু, সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারকেই। সূত্রের খবর, মুখ্যসচিব জানিয়েছেন, যারা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত হতে আসবেন তাঁদের স্বাস্থ্যসাথী কার্ড, আধার কার্ড এবং অন্য জাতিভুক্ত হলে সেই জাতির শংসাপত্র থাকা বাধ্যতামূলক। যদি সেই শংসাপত্র কারোর না থাকে, তা তৎক্ষণাৎ তৈরির নির্দেশও দেওয়া হয়েছে নবান্নর পক্ষ থেকে।
উল্লেখ্য, তৃতীয়বার রাজ্যে ক্ষমতায় আসার আগে এই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নামক প্রকল্পের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মমতা। সম্প্রতি তিনি জানান, আগামী সেপ্টেম্বর মাস থেকেই ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পের লাভ পেতে শুরু করবেন বাংলার মহিলারা। তবে তার আগে নাম নথিভুক্ত করাতে হবে। তার জন্য অগস্ট মাসে ফের একবার দুয়ারে সরকারের আয়োজন করছে রাজ্য। এই প্রকল্পের মাধ্যমে তপসিলি ও আদিবাসীদের মাসে ১০০০ টাকা এবং জেনারেল ক্যাটাগরির মহিলাদের মাসে ৫০০ টাকা করে হাত খরচ দেওয়া হবে। আরও পড়ুন: সন্ধ্যা নামতেই অভিষেকের অফিসে হাজির রাজীব! ৩০ মিনিটের বৈঠক, তুঙ্গে ঘর ওয়াপসির জল্পনা